গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সম্প্রতি দ্বিতীয়বার বাবা হয়েছেন বিরাট। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পরিবারের পাশে থাকতে প্রায় দু’মাসের ছুটিতে ছিলেন তিনি। খেলেননি দেশের মাটিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজও। কোহলির বক্তব্য, ‘এখন আমি দুই সন্তানের বাবা। জীবনকে অন্যভাবে ভাবতে শিখেছি। পরিবারকে সময় দেওয়াটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত দু’মাস আমরা বিদেশে ছিলাম। সেখানে কেউই আমাদের চিনতেন না। তাই সাধারণ মানুষের মতোই রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে পেরেছি। আমার মেয়ে বড় হচ্ছে। ওর সঙ্গে আমার বন্ডিংটা খুবই মধুর। সময়টা দারুণভাবে কেটেছে।’ এক প্রশ্নের উত্তরে তাঁর আরও সংযোজন, ‘ছুটি থেকে ফেরার পরই আইপিএল। একেবারে ভিন্ন পরিবেশ। মানুষের স্লোগানে গমগম করছে চারিদিক। সবাই আমার নামে চিত্কার করলেও সেদিকে তাকাতে পারছি না। কারণ, গত দু’মাসে এই অভ্যাসটাই চলে গিয়েছে। তবে আবারও মাঠে ফিরে ভালো লাগছে।’
সোমবার বেঙ্গালুরুতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাঞ্জাব তুলেছিল ৬ উইকেটে ১৭৬। তাদের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান ক্যাপ্টেন শিখর ধাওয়ানের (৪৫)। জবাবে ৪ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছয় বেঙ্গালুরু (১৭৮-৬)। ৪৯ বলে বিরাট কোহলির জয়সূচক ৭৭ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ১১টি চার ও ২টি ছক্কায়। শুধু রান নয়, কাগিসো রাবাডা-অর্শদীপ সিংদের বিরুদ্ধে স্টেপ আউটে তাঁর দৃষ্টিনন্দন শট মন ভরিয়েছে অনুরাগীদের। বিরাট কোহলি বলছিলেন, ‘টি-২০’তে প্রতিনিয়ত উন্নতি করতে হবে। আমি কভার ড্রাইভ ভালো খেলি এবং তা কাগিসো, অর্শদীপরা জানে। স্বাভাবিকভাবেই ওই লেংথে ওরা বল করবে না। তাই ব্যাটার হিসেবে প্রতিনিয়ত শটে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করি।’
বেঙ্গালুরুর অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি বিরাট। তাঁর মন্তব্য, ‘আরসিবি’র অনুরাগীদের মুখে হাসি ফোটাতে সবরকমভাবে চেষ্টা করব। পাশাপাশি খেলাটাকেও উপভোগ করতে চাই। কারণ, কেরিয়ারের শেষে এই পরিসংখ্যান নিয়ে মাথাব্যথা থাকবে না। বরং সফরের স্মৃতিগুলি সঙ্গে রয়ে যাবে। জাতীয় দলের ড্রেসিং-রুমে রাহুল ভাইও (কোচ রাহুল দ্রাবিড়) একই কথা বলেন।’