ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
এস্তোনিয়ার বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক রায়ান বাবেল। তবে দুরন্ত খেলেছেন মেম্ফিস ডিপেও। গোল করা ছাড়াও দু’টি অ্যাসিস্ট রয়েছে তাঁর। উল্লেখ্য, নেদারল্যান্ডসের অপর দুই গোলদাতা হলেন ডিপে ও ভিনালডাম। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল কোম্যান-ব্রিগেড। বিরতির পর আক্রমণের চাপ বাড়িয়ে বাকি তিনটি গোল তুলে নেয় ডাচরা। গোটা ম্যাচে ৭১ শতাংশ বল পজেশন ছিল নেদারল্যান্ডসের। ১৯ মিনিটে ব্লাইন্ডের পাস থেকে দলকে কাঙ্ক্ষিত লিড এনে দেন বাবেল (১-০)। দ্বিতীয় গোল আসে ৪৭ মিনিটে। এবার মেম্ফিস ডিপের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ব্যবধান বাড়ান সেই বাবেলই (২-০)। এই গোলের পর এস্তোনিয়া কার্যত আত্মসমর্পণ করে। ৭৬ মিনিটে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে দলের তৃতীয় গোল ডিপের (৩-০)। তাঁকে বল বাড়িয়েছিলেন ম্যাথিস ডি লিট। ম্যাচের অন্তিম লগ্নে ডিপের পাস থেকে দলের চতুর্থ তথা শেষ গোলটি ভিনালডামের (৪-০)। এদিকে, গত ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারের ধাক্কা কাটিয়ে উঠে জয়ের পথে ফিরল জার্মানি। সোমবার বেলফাস্টে গ্রুপ-সি’র ম্যাচে তারা ২-০ গোলে হারাল নর্দান আয়ারল্যান্ডকে। তবে এই ম্যাচ জিতলেও রক্ষণ নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকবে কোচ জোয়াকিম লো’র। গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়ের কমপক্ষে তিনবার দক্ষতার শীর্ষে উঠে দলের নিশ্চিত পতন রোধ না করলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেই পারত বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। প্রথমার্ধে জার্মানিকে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে নর্দান আয়ারল্যান্ড। এই পর্বে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। বিরতির পর হ্যালস্টেনবার্গের দুরন্ত ভলি কাঙ্ক্ষিত লিড এনে দেয় জার্মানিকে (১-০)। ম্যাচের বয়স তখন ৪৮ মিনিট। সংযোজিত সময়ে জার্মানির দ্বিতীয় গোল নাবরি (২-০)। পাঁচ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পেয়ে গ্রুপ-সি’র শীর্ষে জার্মানি।
ম্যাচের পর কোচ জোয়াকিম লো বলেন, ‘এই জয় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। নেদারল্যান্ডসের কাছে হার মানার পরেও ছেলেরা হতোদ্যম হয়নি। নর্দান আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যাওয়া উচিত ছিল আমাদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ছেলেরা প্রাপ্ত সুযোগ কাজে লাগিয়েছে।’