নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডল তিহার জেলে বন্দি। তাই দলের শক্তি বজায় রাখতে সাংগঠনিক দক্ষতা দেখে তৃণমূলের কোর কমিটিতে কাজল শেখকে অন্তর্ভুক্ত করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদেও তিনি নির্বাচিত হন। কেতুগ্রাম, আউশগ্রাম ও মঙ্গলকোট- এই তিন বিধানসভার অতিরিক্ত দায়িত্বভারও গ্রহণ করেন। ফলে, লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী অসিত মালের প্রচারে সক্রিয় ছিলেন কাজল। বিভিন্ন জায়গায় প্রচারের পাশাপাশি নিয়মিত জনসংযোগ রেখেছিলেন। তাই নিজের বিধানসভা এলাকায় জয়ের ব্যাপারে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। সোমবার চতুর্থ দফা লোকসভা নির্বাচনের পর তাঁর সেই আত্মবিশ্বাস দ্বিগুণ হয়েছে। তাঁর দাবি, তৃণমূল প্রার্থী নানুর থেকেই কম করে ৮০ হাজার থেকে এক লক্ষ লিড পাবেন। সামগ্রিকভাবে, অসিতবাবু দুই থেকে তিন লক্ষ ভোটে জয়ী হবেন। একইভাবে বীরভূম কেন্দ্রের প্রার্থী শতাব্দী রায়ও এক থেকে দুই লক্ষ ভোটে জয়ী হবেন। এই খুশিতে নানুর বিধানসভার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে এদিন তিনি বিজয় উৎসবে মেতে ওঠেন। এদিন তাঁর পাপুড়ি কার্যালয় থেকে আবির খেলার মাধ্যমে বিজয় উৎসব উদযাপন শুরু হয়। ঢাকের চড়াম চড়াম আওয়াজের তালে গোটা গ্রাম প্রদক্ষিণ করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক বিধান মাজি। শুধু আবির খেলাই নয়, কর্মী-সমর্থক ও গ্রামবাসীদের জন্য জয়ের খুশিতে আনা হয়েছিল ৭০ হাজার মিষ্টি। সেই মিষ্টিও নিজের হাতে এদিন বিলি করলেন কাজল।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ৩৬৫ দিন পড়াশোনা করেছি। তাই কী ফলাফল হবে তা আন্দাজ করা যায়। পাশ তো করবই। এর আগে এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কখনও হয়নি। মানুষ আবেগ ও উচ্ছ্বাসে ভাসছেন। তারজন্যই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এদিন একটি বিজয় মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেখানে নানুরের শহিদ পরিবার সহ বিধানসভার প্রত্যেকটি ব্লক নেতৃত্ব, পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি থেকে শুরু করে, সদস্যদের নিয়ে গোটা গ্রাম প্রদক্ষিণ করেছি। জয়ের যে ব্যবধানের কথা বলেছি তা আগামী ৪ জুন, ফলাফলের দিন মিলিয়ে নেবেন। সেদিন শুধু জোড়া ফুল ফুটবে। আর তাতেই বিরোধীরা চোখে সর্ষে ফুল দেখে বাড়ি ফিরে যাবে।