নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বালির ঘাট নিয়ে বচসার সূত্রপাত। তার প্রেক্ষিতে ৩ জুন ২০১০ সালে খুন হন লাভপুরের বুনিয়াডাঙার বাসিন্দা জরিনা বিবির তিন ছেলে জাকের আলি, কোটন শেখ ও ওইসুদ্দিন শেখ। আরএক ভাই সানোয়ার শেখ গুরুতর জখম অবস্থায় প্রাণভয়ে পালিয়ে যান। বালিরঘাটের সালিশি সভায় লাভপুরে নবগ্রামের বাড়িতে ডেকে তাঁদের পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে মনিরুল ইসলাম সহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে। সেইসময় তিনি সদ্য ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন।
তার প্রেক্ষিতে পরের দিন লাভপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সানোয়ার শেখ। যদিও মামলা তোলার হুমকির জন্য জরিনা বিবির পরিবার গ্রামছাড়া হয়ে যায়। তাঁর নাতি ও নাতনিকেও অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকী, হত্যাকাণ্ডের বেশ কিছুদিন পরে মনিরুলকে প্রকাশ্য সভায় ‘তিন ভাইকে পায়ের তলা দিয়ে পিষে মারার’ কথা দম্ভের সঙ্গে বলতেও শোনা যায়। তবে অভিযুক্ত হলেও ২০১৪ সালের প্রাথমিক চার্জশিটে মনিরুল ইসলাম সহ ২২ জনের নাম বাদ যায়। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে মনিরুল ছাড়া পেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি, মামলাটি ধীরগতিতে চালানোর অভিযোগে অভিযোগকারী সানোয়ার শেখ কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন। পুনরায় তদন্ত শুরু হলে সাক্ষীদের জবানবন্দির ভিত্তিতে দ্বিতীয় চার্জশিটে মনিরুল ইসলাম, মুকুল রায় সহ আরও ২৩ জনের নাম জড়ায়। যদিও পরবর্তীতে তাঁরা উভয়েই জামিন পান। এরপর এই মামলার এদিন ‘রেকর্ড হস্তান্তর’ করার দিন ছিল বোলপুর আদালতে। মামলার বিষয়ে সরকারি আইনজীবী ফিরোজ পাল বলেন, মামলা সল্টলেকের ময়ূখ ভবনের বিশেষ আদালতে স্থানান্তরিত করেছেন বিচারক।