ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
ময়নাগুড়ি নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত এই কৃষক বাজারে প্রতিদিন পাইকারি ও খুচরো বাজার বসে। এই বাজার এলাকায় ধানের ও মুড়ির পাইকারি বাজার ও বসে। অভিযোগ, বাজারের বর্তমানে পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে ধানের পাইকাররা এই বাজারে বিক্রির জন্য ধান নিয়ে এসেও তা বাজারে বিক্রি না করেই চলে যান। গোটা বাজার এলাকা থার্মোকলের বাক্স দিয়ে ভর্তি। বাজারের আনাচকানাচ এখন শৌচালয়ে পরিণত হয়েছে। বাজারের নর্দমাগুলির হাল বেহাল। নিকাশি ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। জলের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। তার উপর ধানহাটির সামনে থাকা শৌচালয় বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। এছাড়াও এই কৃষক বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছে শুয়োর।
এদিন বাজারের এই পরিস্থিতি দেখে আকাশ থেকে পড়েন অমিতাভবাবু। তিনি বলেন, আমি গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলাম যে এই বাজারে দিনের বেলায় মদের আসর বসে। খবর পেয়ে আমি এদিন এসে নিজের চোখে দেখতে পেলাম বাজারে কয়েকজন বসে মদ খাচ্ছে। এই বাজারের উপর দিয়ে মহিলারা যাতায়াত করেন। আমি এদিন সকলকে সতর্ক করে দিয়েছি। এরপর এখানে কাউকে মদ খেতে দেখলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও বাজারে থার্মোকলের স্তুপ যেভাবে পড়ে রয়েছে তা কখনও সুস্থ সমাজে থাকতে পারে না। দুর্গন্ধে টেকা দায় হয়ে পড়েছে। আমি বাজারের মৎস্যব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বললাম। তাঁদের শীঘ্রই থার্মোকলের ব্যবহার কমাতে বলেছি। বাজারের যত্রতত্র জল জমে রয়েছে। সেসব থেকে হঠাৎ রোগের সৃষ্টি হতে পারে। আমি অতি দ্রুত আজকের পরিস্থিতি নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সঙ্গে আলোচনায় বসে কী কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় তা দেখছি।
ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবম রায় বসুনিয়া বলেন, আমাদের কর্মতীর্থ ভবনের কাজ চলছে। সেই কাজ শেষ হয়ে গেলেই আমরা ওই বাজার সংস্কারে হাত দেব। এছাড়া ওই বাজার সমাজবিরোধীদের আড্ডায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। এব্যাপারে পুলিস-প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।
নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গোপাল সরকার বলেন, কৃষক বাজারে নিকাশির সমস্যার শীঘ্রই সমাধান করা হবে। সে ব্যাপারে আমি লোক ঠিক করেছি। অতি দ্রুত কাজ শুরু হবে। এছাড়াও ওই বাজারে সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্যের ব্যাপারে আমরা ব্যবসায়ী মহলে আলোচনা করে প্রশাসনের দ্বারস্থ হব। ওই বাজারের সঙ্গে শত শত মানুষের রুটি রোজগার জড়িত। সেখানে মদ-জুয়ার আসর চলতে পারে না। এর আগেও আমি নিজে বাজারে ঢুকে জুয়ার আসরে হানা দিয়েছিলাম। আবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।