ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
অটো চালকরা বলেন, দীর্ঘদিনের পুরনো লঝঝড়ে অটো পরিবর্তন করার দাবি বহুদিন ধরে উঠছিল। সেই দাবি মেনে নিয়ে প্রশাসন বিএস-৪ মডেলের তিন চাকার অটো এবং চারচাকার ম্যাক্সিক্যাব চালানোর অনুমোদন দিয়েছে। সেগুলি পেট্রলে চলবে। কাজেই প্রশাসনের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। সেগুলি একই রঙের হওয়ায় ভালো হয়েছে। এক রংয়ের গাড়ি পাশাপাশি চললে এই শহর দেখতেও সুন্দর লাগবে। রঙ দেখেও নাগরিকরা গাড়ি চিনতে পারবেন।
পরিবহণ দপ্তরের এক আধিকারিক অবশ্য বলেন, ম্যাক্সিক্যাবের রং প্রশাসন থেকে নির্ধারণ করা হয়নি। যে কোম্পানি গাড়ি তৈরি করেছে, সেই কোম্পানিই ম্যাক্সিক্যাবের বডিতে এই রং করে দিয়েছে। অটো চালকরা এই রঙয়ের প্রশংসা করার ফলে আমরা খুশি হয়েছি।
শহরবাসীর অভিযোগ, শিলিগুড়ি শহরের রাস্তায় চলাচলকারী সিটি অটোগুলি কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। সেগুলির অধিকাংশই ১৫ বছরের বেশি পুরোনো। দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়তে সেগুলি পরিবর্তন করার দাবিও দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন এই শহরের বাসিন্দারা। অবশেষে সিটি অটো চালকদের বিভিন্ন সংগঠন ও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করার পর সেগুলি পরিবর্তন করার কাজ শুরু হল।
এদিন শহরের কোর্ট মোড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ৮ জন সিটি অটো চালকের হাতে ম্যাক্সিক্যাবের চাবি তুলে দেওয়া হয়। সেই চালকদের মধ্যে দু’জন মহিলা চালকও রয়েছেন। সেই অনুষ্ঠানে পর্যটনমন্ত্রী ছাড়াও আরটিও সোনম লেপচা, শিলিগুড়ি মহকুমাশাসক সুমন্ত সহায়, দু’জন এআরটিও অবিন অধিকারী ও সুশান্ত অধিকারী, পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। চালকদের হাতে তুলে দেওয়া ম্যাক্সিক্যাবগুলির প্রতিটিরই রঙ উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাসের মতো নীল-সাদা। সেগুলি বিএস-৪ মডেলের। সেগুলিতে ৬-৭ জন যাত্রী বসতে পারবেন।
একই সঙ্গে এদিন ওই মঞ্চ থেকে ১১জন টোটো চালকের হাতে ই-রিকশার চাবি তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই রিকশাগুলিরও কয়েকটির রং নীল-সাদা। টোটো চালকরা বলেন, নিয়ম অনুসারে প্রশাসনের কাছে টোটো দিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে সরকার নির্ধারিত ই-রিকশা দিয়েছে। আগে টোটোর কোনও রেজিস্ট্রেশন ছিল না। ছিল না নম্বরপ্লেট। ফলে অনেকেই টোটোর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতেন। এবার আর সেধরণের কোনও প্রশ্ন থাকবে না। ই-রিকশর রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। রোড ট্যাক্সও দেওয়া হয়েছে। চালকের কাছে থাকছে লাইসেন্স। রিকশায় লেগেছে সবুজ নম্বর প্লেট।
তবে, শিলিগুড়ি শহরে ম্যাক্সিক্যাব চালানোর কোনও নিয়ম নেই বলে অটো চালকদের একাংশ জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে শহরের রাস্তায় ম্যাক্সিক্যাব চালানো যাবে না বলে আরটিও নির্দেশিকা জারি করেছিল। তা সত্ত্বেও শহরের রাস্তায় কেন ম্যাক্সিক্যাব নামানো হল তা বুঝতে পারছি না। পরিবহণ দপ্তরের এক আধিকারিক অবশ্য বলেন, নতুন করে কোনও ম্যাক্সিক্যাব রাস্তায় নামানো হয়নি। পুরনো সিটি অটোর বদলে নামানো হয়েছে ম্যাক্সিক্যাব। চালকদের মতামত নিয়েই তা করা হয়েছে। কাজেই এ ব্যাপারে কোনও বিতর্ক থাকতে পারে না।