বিদ্যার জন্য স্থান পরিবর্তন হতে পারে। গবেষণামূলক কাজে সাফল্য আসবে। কর্মপ্রার্থীরা কোনও শুভ সংবাদ পেতে ... বিশদ
এদিকে, চীনের বক্তব্যের পরই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারতও। অরুণাচল প্রদেশকে ‘ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ’ হিসেবে উল্লেখ করে বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, ‘যেমন দেশের অন্যান্য প্রান্তে যান, তেমনই বিভিন্ন সময়ে অরুণাচল প্রদেশেও ভারতীয় নেতারা যাতায়াত করেন। ভারতের এই অবস্থান একাধিক ক্ষেত্রে চীনা নেতৃত্বের কাছে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।’ উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যকে বরাবরই দক্ষিণ তিব্বতের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র চীন। এখনও পর্যন্ত ২১ দফায় আলোচনায় বসেও দু’পক্ষ এই সীমান্ত বিবাদের মীমাংসায় পৌঁছতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে যখনই ভারতীয় কোনও নেতা অরুণাচলে সফর করেছেন, নিয়মিত তার বিরোধিতা করে এসেছে চীন।
অন্যদিকে, শনিবার নাম না করে চীনকে তোপ দেগেছেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু। তাঁর কথায়, ‘অরুণাচল প্রদেশে শিল্পের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিরোধিতায় রাজ্যে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে না।’ সরাসরি নাম না নিলেও খাণ্ডুর নিশানা যে চীনের দিকেই ছিল, তা সহজেই অনুমেয়। পাশাপাশি, ঠিক কোন কোন বিদেশি বিনিয়োগ আটকে গিয়েছে, সে প্রসঙ্গেও নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে ওয়াকবিহাল মহল মনে করছে, চীনের আপত্তিতে ২০০৯ সালের জুনে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের অর্থানুকুল্যে একটি সেচ প্রকল্প শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যাওয়ার ঘটনাটির ইঙ্গিতই দিতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ইটানগরের ইন্দিরা গান্ধী পার্কে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানকার মঞ্চ থেকেই প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আশা করছি আপনার (মোদি) হস্তক্ষেপে এই সমস্যা শীঘ্রই মিটে যাবে। যাতে আমরা শিল্পের এই সম্ভাবনাকে মূলধনে রূপান্তরিত করতে পারি।’