বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভিডিও কনফারেন্সের আবেদন করেছিলেন কেজরিওয়াল। এদিন দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে সেই আর্জিরই শুনানি ছিল। তবে দু’পক্ষের বাদানুবাদেই উঠে এল নানান তথ্য। তারপরই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গুরুতর অভিযোগ করেন আতিশী।
তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে তিহার সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আপ নেতৃত্বের দ্বৈরথ শুরু হয়েছে। এর আগে আতিশী দাবি করেছিলেন, জেলে যাওয়ার পর কেজরিওয়ালের ওজন সাড়ে চার কেজি কমেছে। তিনি টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। অথচ তাঁর স্বাস্থ্যে দিকে ঠিকঠাক নজর দেওয়া হচ্ছে না। যদিও ইডি এই অভিযোগ মানতে নারাজ। আদালতে সাফাই দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী জোহেব হুসেনের দাবি, আম আর মিষ্টি খেয়ে ব্লাড সুগার বাড়িয়ে জামিন নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন কেজরিওয়াল। চায়েও অতিরিক্ত চিনি খাচ্ছেন। যাতে মেডিক্যাল গ্রাউন্ডে জামিন পাওয়া যায়।
যদিও আদালতে আপের আইনজীবী বিবেক জৈন পাল্টা দাবি করেন, ইডির দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা। সংবাদমাধ্যমের নজর আকর্ষণের জন্য এই সমস্ত অভিযোগ করছে। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর শুক্রবারের জন্য ওই শুনানি মুলতবি করে দেন বিচারক। একইসঙ্গে কেজরিওয়ালের শারীরিক অবস্থার ব্যাপারে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবও চেয়ে পাঠানো হয়।
দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে ইডি। এখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন।