গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তথ্য বলছে, ১৯৮৮ সাল থেকে একইভাবে নানান নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়েছেন পদ্মরাজন। কিন্তু দুর্ভাগ্য,একবারের জন্যও জয়ের স্বাদ পাননি তিনি। প্রতিবেশীরা তাঁকে এই বিষয় নিয়ে মজাও কম করেন না। কিন্তু তাতে পরোয়াই করেন না পদ্মরাজন। এমনকী ভোটে লড়ার অদম্য ইচ্ছা থেকে তাঁকে কেউ টলাতেও পারেন না। তাঁর কাছে নির্বাচনে লড়াটাই জয়ের সমান। হেরে যাওয়াতে কোনও দুঃখ নেই তাঁর। তাই তো আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তামিলনাড়ুর ধর্মাপুরী জেলার কোনও একটি লোকসভা আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন বলে একরকম ঠিকই হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে লোকসভা, সবেতেই প্রার্থী হয়েছেন তিনি। এমনকী গতবারের নির্বাচনে পদ্মরাজনের জমানত বাজেয়াপ্ত পর্যন্ত হয়েছে। তাঁর কাছে বিপক্ষে কোন প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন, সেটা কোনও বিষয়ই নয়। কারণ জয়ের কথা ভাবেনই না ওই বৃদ্ধ। তাঁর কথায়,‘আমি কোনও ভোট পাব এই আশা রাখি না। তবুও মানুষ আমাকে ভোট দেয়। তাতে এটা প্রমাণ হয় লোক আমাকে পছন্দ করে। গণতন্ত্রে যে কেউ ভোটে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু কেউ ভয়ে ভোটে দাঁড়াতে চায় না। আমি সমাজকে সচেতন করতেই বারবার ভোটে দাঁড়াচ্ছি। বোঝাতে চাইছি সাধারণ মানুষও এই কাজটা করতে পারে।’ নির্দল প্রার্থী হওয়ায়, নানা প্রতীকে ভোটে লড়েছেন তিনি। কখনও মাছ, কখনও আংটি আবার কখনও বা টেলিফোন বা টুপি। এবারের লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রতীক হতে পারে টায়ার চিহ্ন। পদ্মরাজন জানিয়েছেন, ‘শেষ নিঃশ্বাস অবধি তিনি ভোটে লড়বেন।’