গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সমীক্ষায় বলা হয়েছে, শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের পরও দেশের বহু যুবক-যুবতী নামমাত্র বেতনের চাকরি পাচ্ছেন। আর তার থেকেও বড় দুশ্চিন্তার কারণ, কাজের সুরক্ষা নেই। তাই যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের পেশায় আসতে চাইছেন না তাঁরা। ফল? বাড়ছে বেকারত্ব। নরেন্দ্র মোদি এখন সবথেকে বেশি জোর দিচ্ছেন নারীশক্তির উপর। মহিলা ভোটকেই চব্বিশের ভোট জয়ের অন্যতম মন্ত্র হিসেবে দেখছেন তিনি। অথচ ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনের রিপোর্ট বলছে, বেকারত্বের জ্বালায় সবথেকে বেশি ভুগছে ভারতের নারীরাই। স্নাতক ডিগ্রি থাকা যুবক ও যুবতীদের বেকারত্ব সবথেকে বেশি ভারতে। তার মধ্যেও যুবতীদের কর্মহীনতা ৫ গুণ বেশি।
এখানেই শেষ নয়। গ্রামীণ ভারতের অর্থনীতিকে নয়া ভারতের চালিকাশক্তি হিসেবে দাবি করেছে মোদি সরকার। অথচ আইএলও বলছে, গ্রামীণ ভারতে নিয়মিত রোজগার আছে, যুব সমাজের এমন প্রতিনিধি মাত্র ১৭ শতাংশ। এই ইস্যুতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের আক্রমণ, ‘এখন তো আর বিরোধীরা বলছে না। আন্তর্জাতিক নিরপেক্ষ সংস্থার রিপোর্ট এই ভয়াবহ তথ্য দিচ্ছে। আপনার অমৃতকাল নিয়ে এবার কিছু উত্তর দিন!’ সিটুর সাধারণ সম্পাদক তপন সেন বলেন, ‘পরিস্থিতি আরও মারাত্মক। ঠিকা এবং চুক্তির কর্মক্ষেত্রে অবাধে ছাঁটাই চলছে।’ সিপিআই নেতা ডি রাজা বলেন, ‘কর্পোরেট দেশে সম্পদ লুট করছে। আর গরিব আরও গরিব হচ্ছে। মোদি সরকারের অর্থনীতির ফর্মুলা এটাই!’
এই রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানে অবশ্য সার কথাটি বলেছেন মোদি সরকারেরই মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অনন্ত নাগেশ্বরণ। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ‘সরকার হস্তক্ষেপ করলেই যে সব সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, এমন ভাবনাটাই ভুল। বেকারত্ব দূর করা কেন্দ্রের পক্ষে সম্ভব নয়।’