উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
তবে অতীতের উপনির্বাচনগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও, তারা সব বুথে ছিল না। মূলত স্পর্শকাতর বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা ছিল। এবারও সেই ব্যবস্থাই বহাল থাকছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই সূত্র আরও জানাচ্ছে, অতীতে সর্বাধিক ৪০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ছিল। এবার তার থেকে ৫ থেকে ১০ শতাংশ অতিরিক্ত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তবে এবারের তিনটি বিধানসভার উপনির্বাচনে সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর হল করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্র। ইতিমধ্যে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সেখানকার থানার ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ করা হলেও তার সারবত্তা খুঁজে পায়নি কমিশন।
করিমপুরের পাশাপাশি উত্তেজনার পারদ চড়ছে খড়্গপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রেও। এই দুটি কেন্দ্রে তৃণমূল-বিজেপি’র মধ্যে জোর লড়াই চলছে। সেই লড়াইয়ের ফল বাংলার রাজনৈতিক পটভূমিতে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলবে। কারণ, খড়্গপুর হল রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের কেন্দ্র। সেই কেন্দ্র ছিনিয়ে নিতে মরিয়া তৃণমূলের তরুণ তুর্কি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মাটি কামড়ে প্রচার চালাচ্ছেন। আর করিমপুর হল তৃণমূল এমপি মহুয়া মৈত্রের সম্মানের লড়াই। তাই দু’দলের লড়াইয়ে জোর উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হবে। চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। তাই সেই কাজ ভালো করে করার জন্য জেলাশাসকদের নির্দেশ দিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। বুধবার কলকাতায় কমিশনের সদর দপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলাশাসকদের সেই নির্দেশ দেওয়া হয়। শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক তাঁর জেলায় মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি থাকায় তাতে অংশ নিতে পারেননি। সেই সঙ্গে ভোটার তথ্য যাচাইয়ের কাজ ১০০ শতাংশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন পর্যন্ত ৯৬ শতাংশ ভোটারের তথ্য যাচাই হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তা ১০০ শতাংশ করার জন্য এদিন জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।