শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, দু’দফায় কৃষিদপ্তর আতমা প্রকল্পে ২ কোটি টাকা পেয়েছে। এই অর্থের একটি বড় অংশ চাষিদের সোলার ট্র্যাপ যন্ত্র কিনে দেওয়ার জন্য খরচ হয়েছে। দু’ধরনের সোলার ট্র্যাপ যন্ত্র রয়েছে। ছোট যন্ত্রের দাম ১৭২০ টাকা এবং বড় যন্ত্রের দাম ৩২৫০ টাকা। চাষিদের নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে উৎসাহিত করতে আতমা প্রকল্পে বিভিন্ন ব্লকে আমন ধান, সব্জি ও ফুলের কয়েকশো প্রদর্শনক্ষেত্র গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি প্রদর্শন ক্ষেত্রে নয়া প্রযুক্তির জন্য চার হাজার টাকার প্যাকেজ রয়েছে। কোথাও ওই প্যাকেজে দু’টি ছোট যন্ত্র বা একটি বড় যন্ত্র রাখা হচ্ছে। পটাশপুর-২, কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লক, নন্দীগ্রাম-২ রেয়াপাড়া ব্লক, খেজুরি-২, ভগবানপুর-১, মহিষাদল ব্লক সহ কয়েকটি ব্লকে সোলার ট্র্যাপ দেওয়া হয়েছে। কীভাবে কাজ করে নয়া প্রযুক্তির সোলার ট্র্যাপ যন্ত্র? কৃষি আধিকারিকরা জানান, যন্ত্রটি কৃষিক্ষেত্রে পোকামাকড় ধরার ফাঁদ হিসেবে কাজ করবে। পোকামাকড় মারার জন্য চাষিরা কীটনাশক ব্যবহার করেন কিংবা মাঠে বিদ্যুতের আলো জ্বালিয়ে রাখেন। সোলার ট্র্যাপ যন্ত্রটি তিন পায়া একটি স্ট্যান্ডের উপর বসানো। স্ট্যান্ডের মাথায় একটি তিন ওয়াটের মোনোক্রিস্টালাইন সোলার প্যানেল রয়েছে। দিনভর বিদ্যুৎ তৈরি হবে এবং সন্ধ্যায় জ্বলে উঠবে একটি আলট্রা ভায়োলেট এলইডি ল্যাম্প। এই আলো পোকাদের আকর্ষণ করবে। পোকারা এসে আলোর তলায় রাখা জলে পড়ে মারা যাবে। চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ধরে জ্বলবে এই আলো।
জেলার সহ কৃষি অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) মৃণালকান্তি বেরা বলেন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রথম এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। চাষিরা মাসখানেক ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই সাফল্য পেয়েছেন। এক একটি যন্ত্র ৬-৭ বছর ধরে ব্যবহার করা যায়। প্রথমে চাষিদের উৎসাহিত করতে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। চাষিরা অভ্যস্ত হয়ে গেলে তাঁরা নিজেরাই এটি কিনতে পারবেন। দেড় থেকে দু’বিঘা জমির জন্য একটি বড় সোলার ট্র্যাপ ভালোভাবে কাজ করতে পারবে। নয়া যন্ত্র ব্যবহারে কীটনাশকের খরচ বাঁচবে, ফসলে বিষও মিশবে না। কৃষিদপ্তরের এক আধিকারিক জানান, আতমা প্রকল্পে পুকুরে মুক্তো চাষ, কড়কনাথ মুরগি চাষ, কিচেন গার্ডেন বা মৌমাছি পালনের মতো বিকল্প চাষে গত এক বছর ধরে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এবার উদ্ভাবনমূলক চাষের জন্য উৎসাহিত করতে পরিকল্পনা করা হয়েছে। কোথাও আগ্রহী চাষিদের মাশরুমের বীজ তৈরি, কোথাও ছাদে বাগান তৈরির মতো নতুন ধরনের চাষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে তাঁদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও দেওয়া হবে। সেজন্য পুজোর ছুটির আগে জেলায় ৩০ লক্ষ টাকা এসেছে। চলতি সপ্তাহে তা পাঠানো হবে বিভিন্ন ব্লকে।