ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন ডিস্কো কিং বাপি লাহিড়ী। আজও মুম্বইয়ের বিখ্যাত লাহিড়ী হাউজের সংসারে যেন তাঁর নীরব উপস্থিতি। ‘বাপি মাছ খেতে ভালোবাসত। আমি রোজ ওর জন্য দুই থেকে তিন রকম মাছের পদ রান্না করি। হলঘরে ছবিটার সামনে সাজিয়ে দিই। আমি না থাকলেও বাড়িতে যাঁরা থাকেন তাঁরা বাপির খাবার বেড়ে দেন। তখন যেমন চলত, এখনও তেমন’, স্বাভাবিক ছন্দে বলছিলেন চিত্রাণী।
সম্প্রতি বাংলা ছবিতে বাপি লাহিড়ীর শেষ সুর করা গানের প্রকাশ অনুষ্ঠানে কলকাতায় এসেছিলেন চিত্রাণী। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, আলমগীর, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত অভিনীত বাপ্পা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ‘আমার লবঙ্গলতা’র সবক’টি গানের সুর এক রাতে তৈরি করেছিলেন প্রয়াত সুরকার। ‘হয়তো বাপি বুঝতে পেরেছিল ওর সময় আর বেশি নেই’, মেঘ জমতে শুরু করেছে চিত্রানীর চোখে। ‘বাংলা গান তৈরি করতে ভালোবাসত ভীষণ। একটু ফাঁক পেলেই শোওয়ার ঘরের বিছানায় বসেই হারমোনিয়াম বাজিয়ে হয়তো কোনও কীর্তনের সুর ভাঁজছে, না হলে লোকগীতির। বাপির মধ্যে আরও অনেক সুর ছিল, জানেন’, গলা ধরে আসে চিত্রাণীর।
চিত্রাণী জানালেন, বাপির প্রয়াণের পর কোনও কিছু বন্ধ হয়নি লাহিড়ী হাউজে। ধুমধাম করে দুর্গাপুজো, গনেশ পুজো হয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পার্টিও বন্ধ হয়নি। ‘বিরাট হল ঘরটায় চেয়ারের উপর বাপি বসে থাকে। যেমন থাকতো। শান, কুমার শানু, বাবুল সুপ্রিয়, সোনু নিগম সবাই আসে ওঁদের বাপিদার সঙ্গে আড্ডা মারতে। ঋতুপর্ণা তো মুম্বই এলেই একবার বাপিদার সঙ্গে দেখা করতে আসবেই। বাপি ঋতুকে ভীষণ স্নেহ করত। সারাদিন স্টুডিওতে, বাড়িতে বাপির গান বাজে। ওর ওই গলার আওয়াজটার মধ্যেই আমি অনুভব করি, বাপি সব সময় আমার পাশে আছে ছায়ার মতো’, বললেন চিত্রাণী।
এখন চিত্রাণীর অবসর কাটে তিন নাতিকে নিয়ে। ছেলে বাপ্পার দুই পুত্র সন্তান। মেয়ে রিমার এক ছেলে, রেগো। সে ইতিমধ্যেই সঙ্গীতের দুনিয়ায় কড়া নাড়তে শুরু করেছে। ‘দশম শ্রেণির ছাত্র রেগোর গলায় ওর দাদুর স্বর। আমি ওর গান শুনে মাঝেমধ্যে চমকে উঠি। মনে হয় নাতির গলাতে ফিরে এসেছে বাপি লাহিড়ী’, চিত্রানীর চোখে তখন পরিতৃপ্তির প্রসন্নতা।