খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর করোনা বিষয়ক সর্বভারতীয় রিসোর্স পার্সন এবং প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি ডাঃ কৃষ্ণকুমার আগরওয়াল বলেন, করোনা আক্রান্ত একবার হাঁচলে, কাশলে পরিবেশে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ ভাইরাস নির্গত হয়। তিন ফুট বা এক মিটারের মধ্যে কেউ না থাকলে ভাইরাসগুলি ভূপৃষ্ঠ বা সারফেস-এ গিয়ে পড়ে। আর কোনও ব্যক্তি থাকলে তার মুখ, নাক, পোশাক প্রভৃতি জায়গায় ড্রপলেট বা হাঁচির কণা ছিটকে যায়। সেই কণা হাতে লেগে দ্বিতীয় ব্যক্তির মুখ, চোখ, নাক ইত্যাদিতে লাগলেই মহাবিপদ!
পিজি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ বলেন, করোনা ভাইরাস ছড়ায় দু’ভাবে। এক, তিন ফুট বা এক মিটারের মধ্যে কেউ থাকলে আক্রান্তের হাঁচি থেকে নির্গত ভাইরাস তার মুখ, নাক এবং চোখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করবে। করোনার মূল লক্ষ্য শ্বসনতন্ত্র এবং নিউমোনিয়া ঘটিয়ে শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেওয়া। উল্লেখযোগ্য হল, এই তিন অঙ্গেরই শ্বসনতন্ত্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে। দুই, ড্রপলেট সংক্রমণের মাধ্যমে ছড়ানো। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশির বাষ্পীয় কণা তিন ফুট বা এক মিটারের মধ্যে থাকা কোনও ব্যক্তি বা কোনও তল বা পৃষ্ঠে পড়লে এবং সে জায়গায় কেউ হাত দিয়ে সেই হাত মুখ, নাক বা চোখে দিলে সংক্রামিত হতে পারে। মানুষ কীভাবে বুঝবে যে করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন? তাছাড়া বাজারে বা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বের হলেও তো প্রচুর মানুষ পরস্পরের সংস্পর্শে আসে? প্রশ্নের উত্তরে সৌমিত্রবাবু বলেন, মনে রাখবেন, এজন্যই দরকার সামাজিক দূরত্ব। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বের হলেও পাশের মানুষটির সঙ্গে এক মিটারের দূরত্ব রাখুন। সর্দি-কাশি হয়ে থাকলে মাস্ক পড়ুন। আরও একটি বিষয় মনে রাখবেন, করোনা আক্রান্ত পাশ দিয়ে চলে গেল আর আপনি আক্রান্ত হয়ে পড়লেন, এমন হয় না। কমপক্ষে ১৫ মিনিট এক মিটারের মধ্যে সংস্পর্শে থাকলে তখন এমন ঘটতে পারে। তাও মনের মধ্যে কোনও আশঙ্কা থাকলে, বহু জায়গায় দরজা-জানালার হাতল সহ বহু সারফেস-এ স্পর্শ করে থাকলে বাড়িতে এসে হাতটা ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন।