Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

৩৩
ইছামতী নদীতে সাঁতার কাটতে তিনি বড়ই ভালোবাসতেন। বলতেন, ইছামতী আমাকে উজাড় করে অনেক কিছু দিয়েছে। কিন্তু সেই ইছামতীর কাছ থেকেই তিনি পেলেন প্রবল আঘাত। ওই নদীর কোলে চিরতরে হারিয়ে গেলেন তাঁর ছোট বোন, তাঁর জীবনের অন্যতম সেরা বন্ধন জাহ্নবী, যাঁকে তিনি আদর করে জাফরি নামে ডাকতেন।
তিনি তখন কলকাতার মেসে থাকেন। ভগ্নীপতি পঞ্চানন চট্টোপাধ্যায়ের অকাল মৃত্যুর পর বোন জাহ্নবীর জীবনটা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কৃপায় হয়ে উঠেছিল দুর্বিষহ। বোনের এই নিদারুণ যাতনা বিভূতিভূষণ সহ্য করতে পারতেন না। তিনি বোনকে বললেন, আর কত লাঞ্ছনা তুই মুখ বুঝে সহ্য করবি। তুই চল আমার সঙ্গে। পিতৃসম বড়দাদার অনুরোধে পুত্র ও কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে জাহ্নবীদেবী চলে এলেন বড়ভাইয়ের আশ্রয়ে। বিভূতিভূষণ বনগাঁ ডাকবাংলোর পাশে বারো টাকা দিয়ে দু’কামরার একটা ঘর ভাড়া নিলেন। জমে উঠল ভাই-বোনের সংসার।
কিন্তু সুখ দীর্ঘস্থায়ী নয়। পঞ্চাননবাবু মারা যাওয়ার আগে জাহ্নবীদেবী এক কন্যা সন্তানের মাতা হন। কিন্তু পিতার অকাল মৃত্যুর দায় বহন করতে হয়েছিল সদ্যোজাত সেই কন্যা সন্তানকে। তাকে চট পেতে শুইয়ে রাখা হতো বাড়ির বাইরের নারকেল গাছের তলায়। স্বভাব কবি বিভূতিভূষণকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এই দৃশ্য। তিনি তাঁর দিনলিপির পাতায় নিজের অশ্রুজল দিয়ে লিখলেন সেই কাহিনী, ‘ও আপন মনে হাসত— কিন্তু সবাই বলত আহা কি হাসি, আর হাসতে হবে না, কে তোমার হাসি দেখচে? ওর অপরাধ ও জন্মাবার পর ওর বাবা মারা গেল। সত্যি ওর হাসি কেউ চাইতো না। ওর বাবা তো মারা গেল, ওর মার সংকটাপন্ন অসুখ হল— ওকে কেউ দেখত না। ওর খুড়িমা বললে, টাকা পাই তো ওকে মাইয়ের দুধ দিই। ওকে নারকেল তলায় চট পেতে শুইয়ে রাখত উঠানে— আমার কষ্ট হতো— কিন্তু আমি কি করব? আমি তো আর স্তন্যদুগ্ধ দিতে পারিনে। আনওয়ানটেড স্মাইল। কিন্তু সে হাসি কোথায় অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে গত মঙ্গলবার থেকে— খয়রামারির মাঠে ওর বালিশটা পড়ে আছে সেদিন দেখেছি। এছাড়া আর কোন চিহ্ন কোথাও রেখে যায়নি ও। পুওর লিটল মাইট। কিন্তু আমি বলি এ হাসি শাশ্বত।’
ইছামতীর কোলে জাফরি চিরআশ্রয় নিলেও এরপর বনগাঁ বিভূতিভূষণকে দিল দুহাত ভরে। সার্কেল ইনস্পেকটর হয়ে এই শহরে এলেন ষোড়শীকান্ত চট্টোপাধ্যায়। আর এই মানুষটির পরিবারের ভালোবাসাব বন্ধনে এবার আবদ্ধ হবেন স্বয়ং বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়।
‘পথের পাঁচালী’ ততদিনে লিখে ফেলেছেন বিভূতিভূষণ। আর সেই লেখা পাঠকের মনে তুলেছে প্রবল আলোড়ন এবং সেই লেখা পড়ে আপ্লুত হয়েছিলেন তন্ত্রসাধক ষোড়শীকান্তের মেজ কন্যা কল্যাণীদেবী। আদর করে তাঁর পিতা তাঁকে রমা নামে ডাকতেন। অপু-দুর্গা-সর্বজয়া-ইন্দির ঠাকুরণ-হরিহরের স্রষ্টা তাঁদের বাড়ির এত কাছে থাকেন শুনে তিনি প্রায় লাফিয়ে উঠলেন।
খবরটা তাঁকে দিয়েছিলেন তাঁর পিসিমা নির্মলা দেবী। তিনি দুঃখ করে বলেছিলেন, ইস, মা-টা চলে গেল ইছামতীর বুকে। কী খারাপ খবর। এখন ওই ছোট ছোট দুটো শিশুকে ওই চালচুলোহীন মানুষটা একলা কী করে সামলাবেন!
কল্যাণী দেবী পিসির কথা শুনে ভেবেছিলেন মানুষটি বোধহয় সংসার বৈরাগী সন্ন্যাসী গোছের কোনও লোক। তিনি পিসির কাছে জানতে চাইলেন, লোকটা কি সন্ন্যাসী?
পিসি বললেন, সন্ন্যাসী হতে যাবেন কেন! বহুদিন আগে তাঁর স্ত্রী গত হয়েছেন। জীবনের অন্যতম বন্ধন ছোটবোনটিও চলে গেল! বউ নেই তো, তাই তাঁর সংসারও নেই!
কল্যাণী দেবী বললেন, তুমি তাঁকে চেনো?
পিসি বললেন, আমি কেন, তুইও চিনিস। কত গল্প, নভেল তিনি লিখেছেন। এই তো কদিন আগেই তুই তাঁর লেখা পথের পাঁচালী পড়ছিলিস।
কল্যাণী দেবী বললেন, তাই, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়! তুমি আমাকে তাঁর কাছে নিয়ে যাবে!
পিসি বললেন, নিয়ে যাব, তবে মানুষটাকে একটু সামলাতে দে। শোকটা একটু কমুক। তারপর নিয়ে যাব তোকে। কল্যাণী দেবীও তখন অল্পবিস্তর সাহিত্য চর্চা করেন। তিনি পিসিকে চেপে ধরলেন তাঁর স্বপ্নের লেখক বিভূতিভূষণকে সামনাসামনি দর্শন করার জন্য।
সেইসময় ঈশ্বরের অবিরাম কষাঘাতে জর্জরিত বিভূতিভূষণ। অসহায়, অনাথ দুই ভাগ্নে ও ভাগ্নীকে বুকে চেপে দিন কাটছে তাঁর প্রাণপ্রিয় বনগাঁ শহরে।
আর ঠিক সেই ক্ষণে তাঁর জীবনে এলেন ষোড়শীকান্তের মেজ কন্যা কল্যাণী চট্টোপাধ্যায়। সেদিন ছিল পাঁচই অগ্রহায়ণ। বিভূতিভূষণের বাড়ির দরজার কড়া নাড়লেন নির্মলা দেবী, সঙ্গে ষোলো বছরের ভাইঝি কল্যাণী।
দরজা খুলে দিল সদ্য মাতৃহারা সেই ছোট্ট মেয়েটি।
নির্মলা দেবী জানতে চাইলেন, বিভূতিভূষণবাবু বাড়িতে আছেন?
শোকে আচ্ছন্ন সেই মেয়েটি বলল, বড়মামা বাড়িতে আছেন, আমি ডেকে দিচ্ছি।
কিছুক্ষণের মধ্যে বিভূতিভূষণ ভেতরের ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন।
নীরবতা ভঙ্গ করলেন নির্মলা দেবী। তিনি বললেন, আজ এইসময় আমাদের এখানে আসাটা বোধহয় ঠিক হয়নি। আমি আপনার মনের অবস্থার কথা জানি। কিন্তু আসতে বাধ্য হলাম আমার এই ভাইঝির জন্য। ও আপনার লেখার ভীষণ ভক্ত।
বিভূতিভূষণ খুব মৃদু স্বরে বললেন, ভালোই করেছেন আজ এসে। বনগাঁর পাট আমার চিরতরে চুকল বোধহয়! এদের দুজনকে পাঠিয়ে দেব ঘাটশিলায় আমার ভাইয়ের কাছে। তারপর আবার ভেসে পড়ব এই পৃথিবীর বুকে।
নির্মলা দেবী বললেন, সে কী! কেন? এই শহরকে আপনি কত ভালোবাসেন।
কিশলয় ঠাকুর তাঁর ‘কালের কবি’ গ্রন্থে লিখছেন, বিভূতিভূষণ বললেন, ঠিকই বলেছেন আপনি। এই বনগাঁ, বারাকপুরকে আমি যে কত ভালবাসি, সে কথা কেউ জানে না। কেউ নেই আমার বারাকপুরে। তবু ছিল জাহ্নবী, তখন চালকিতে, তার পরে এখানে। একমাত্র অবশিষ্ট বোন আমার, তাকেও হারালাম ওই ইছামতীতে।’
সময়ও বোধহয় তখন স্তব্ধ হয়ে শুনছেন বিভূতিভূষণের সেই আর্তনাদ। সেইসময় মামার কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে সদ্য মাতৃহারা দুই বালক-বালিকা।
এর বেশকিছু বছর বাদে ঘটল সেই অলৌকিক ঘটনাটি। কল্যাণী দেবীর সঙ্গে এবার বিবাহ হবে বিভূতিভূষণের। আবার নতুন করে সংসারের বন্ধনে আবদ্ধ হবেন তিনি। তবে তিনি পুনরায় বিবাহে রাজি ছিলেন না। তুলেছিলেন বয়সের অজুহাত। কল্যাণী দেবী ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন হবু স্বামীর সেই ঠুনকো অজুহাত। তিনি সেদিন প্রণাম করেছিলেন তাঁর জীবনের প্রথম ভালোবাসাকে। আর বিভূতিভূষণ! বাড়ি ফিরেই বসেছিলেন প্ল্যানচেটে। এসেছিলেন তাঁর মা মৃণালিনী দেবী। বিবাহের অনুমতি চেয়েছিলেন মায়ের কাছ থেকে। মা সানন্দে অনুমতি দিলেন।
মায়ের অনুমতি পেয়ে আবার মাথায় টোপর পরলেন বিভূতিভূষণ। আর সেই মাসটাও ছিল অগ্রহায়ণ, তারিখটি ছিল সতেরো। কল্যাণী দেবীর সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা হয়েছিল এমনই এক অগ্রহায়ণ মাসে। (ক্রমশ)
ছবি: মিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে
অলংকরণ: চন্দন পাল
27th  October, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
পুষ্করের সাবিত্রী মা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

পর্ব-৩৫

রাজস্থান ভ্রমণে এসে পুষ্কর তীর্থে স্নান করে ভারতের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাবিত্রী পাহাড়ে সাবিত্রী মাতাকে দর্শন করেন না এমন যাত্রী নেই বললেই চলে।
আজমির থেকে পুষ্করের দূরত্ব ১১ কিমি।  
বিশদ

10th  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়  

৩৫

ঔপন্যাসিক উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৩৩৪ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে ‘বিচিত্রা’ পত্রিকা প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হল এক নতুন যুগের। জন্ম হল উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় নামে এক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠানের। সম্পর্কে তিনি ছিলেন কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মামা।   বিশদ

10th  November, 2019
সম্পর্ক
সম্পন্ন চৌধুরী 

রাত প্রায় বারোটা
মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। থামার কোনও লক্ষণই যেন নেই। কিন্তু গরমটা কিছুতেই যেন কমছে না। মানে বৃষ্টিটা আরও হবে। গোটা বাড়িটাই প্রায় জলে ভরে গেছে। ঘরের ভিতরেও জল ঢুকবে ঢুকবে করছে। 
বিশদ

10th  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
দেশনোকের করণীমাতা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

পর্ব-৩৪

দেশনোকের করণীমাতার প্রসঙ্গে এবার আসা যাক। ইনি রাজস্থানের মরু অঞ্চলে রাজ পরিবারের আরাধ্যা দেবী। করণীমাতার মন্দির হচ্ছে পৃথিবীবিখ্যাত মন্দির, অসংখ্য ইঁদুরের জন্য এই মন্দির ‘চুহা মন্দির’ নামে প্রসিদ্ধ। সেবার রাজস্থান ভ্রমণের সময় মুলতানি ঘাঁটির কোলায়েতে গিয়েছিলাম কপিলমুনির মন্দির ও পবিত্র সরোবর দেখতে।  
বিশদ

03rd  November, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩৪

সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে। জমে উঠল বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতির সুখের সংসার। আর সেই দৃশ্য দেখে বিধাতা বোধহয় একটু মুচকি হেসেছিলেন, হয়তো মনে মনে বলেছিলেন, বিভূতিভূষণ, সুখ নয় , তোমাকে আমি পৃথিবীতে পাঠিয়েছি সৃষ্টি করার জন্য, সুখভোগের অধিকারী তুমি নও!  
বিশদ

03rd  November, 2019
পরম্পরা
বিনতা রায়চৌধুরী 

প্রাণগোপাল সরকার জমিদার না হলেও গ্রামের একজন অত্যন্ত সম্পন্ন গৃহস্থ। বিঘের পর বিঘে জমিতে তাঁর ধান চাষ হয়। ধান-চালের ব্যবসায়ে প্রাণগোপাল সবদিক থেকেই সার্থক। তারসঙ্গে সে সৎ-ও। তাঁর অধীনস্থ কোনও কর্মচারীকে সে ঠকায় না।  
বিশদ

03rd  November, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
সিদ্ধপীঠ রাজরপ্পা
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 এবার ছিন্নমস্তা দেবীর কথা বলি। দশমহাবিদ্যার ভয়ঙ্করী রূপের প্রকাশ ছিন্নমস্তায়। এটি হল মহাদেবীর অন্তর্মুখী রূপ। এঁর স্বরূপ অনুধাবন করার শক্তি একমাত্র সাধকের পক্ষেই সম্ভব। ছিন্নশির হয়েও ইনি জীবিত থাকেন। চতুর্দিকে এঁর বসন। অর্থাৎ ইনি দিগবসনা। বিশদ

27th  October, 2019
ঝাঁপ
পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়

 বাবলু তিনতলার ছাদ থেকে দূরের চার্চের ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে আছে। ঘড়ির কাঁটা ঘুরে চলেছে। সেকেন্ডের কাঁটা ঘুরে ঘুরে বারোটার কাছে যাচ্ছে। আর কয়েকটা মুহূর্ত। তারপর-ই বাবলু ঝাঁপ দেবে। নিজেকে ছিন্নভিন্ন করে শেষ করে দেবে। এখন ছাদের এক কোণায় এসে ও দাঁড়িয়েছে। এখানটাতে রেলিং নেই।
বিশদ

20th  October, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

 নদীর বালুচরে পথ চলতে চলতে হঠাৎই একটি বালি সংগ্রহকারী লরি এসে পড়ায় আমরা তারই সাহায্যে এগিয়ে গেলাম অনেকটা পথ। এইভাবে বিশেষ একটি জায়গায় যাওয়ার পর যেখানে লরি থেকে নামলাম সেখান থেকে একই নদী-কাঠের গুঁড়ির সাঁকোয় কতবার যে পার হলাম তার ঠিক নেই। বিশদ

20th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

 এই দাম্পত্য জীবন কিন্তু মোটেই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ঠিক ষোলো মাসের মাথায় পুজোর পর পরই একই দিনে আগে মা কামিনী দেবী এবং তার কিছুক্ষণ পরেই চলে গেলেন মেয়ে গৌরী দেবী। মহামারীর আকারে সেবার বাংলায় প্রবেশ করেছিল ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো এক জ্বর। সেই জ্বরে কিছুক্ষণের তফাতে একই পরিবার থেকে অকালে ঝরে গেল দুটি প্রাণ। বিশদ

20th  October, 2019
পুণ্য ভূমির পুণ্য ধুলোয়
মণিকূটের বিগ্রহ, পর্ব-৩১
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

তিব্বতের লোহিত সরোবর থেকে বয়ে আসা সাংমা (ব্রহ্মপুত্র) নদের তীরে পাহাড় নদী ও নানা দেব-দেবীর মন্দিরে ভরা এক অন্য তীর্থভূমির কথা এবার বলব। তার কারণ স্থানটি গুয়াহাটি শহর থেকে মাত্র ৩২ কিমি দূরে— হাজো। এটি হল নানা ধর্মসমন্বয়ের ক্ষেত্র। অনেকেই কিন্তু এই স্থানটির সম্বন্ধে পরিচিত নন। 
বিশদ

13th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় 

৩১

‘মরণ রে,
তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান ।
মেঘবরণ তুঝ, মেঘজটাজুট,
রক্ত কমলকর, রক্ত অধরপুট, 
তাপবিমোচন করুণ কোর তব বিশদ

13th  October, 2019
সাত বছরের ফাঁদে
ভগীরথ মিশ্র 

ভর-দুপুরে সদর বাজার দিয়ে হাঁটছিল শুখা।
পান্তু নাগের গোপন ডেরায় যাচ্ছে সে। কেন জানি, খুব জরুরি তলব দিয়েছে পান্তু।
এলাকার মুকুটহীন-সম্রাট রামতনু শিকদারের বাঁ হাত হল পান্তু নাগ। মানুষজন জলশৌচ জাতীয় যাবতীয় নোংরা-ঘাঁটা কাজগুলো তো বাঁ হাত দিয়েই করে। সেই হিসেবে পান্তু রামতনুর বাঁ হাতই।  
বিশদ

13th  October, 2019
ছায়া আছে কায়া নেই 
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়

সুকুমার রায়। শিশুসাহিত্যিক ও ভারতীয় সাহিত্যে ‘ননসেন্স রাইম’-এর প্রবর্তক। তিনি একাধারে লেখক, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, রম্যরচনাকার, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার ও সম্পাদক। তিনি ছিলেন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পুত্র।  বিশদ

29th  September, 2019
একনজরে
লাহোর, ১১ নভেম্বর (পিটিআই): বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি পেতে দেরি হওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের (৬৯)। তাঁর দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। পরিবারের অনুরোধে শুক্রবারই চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে রাজি হয়েছেন শরিফ।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যস্তরের পরিসংখ্যান আমাদের প্রয়োজন হয়। কিন্তু, কীভাবে তৈরি করা হয় সেই সব পরিসংখ্যান? ধরা যাক, ভারতের কোনও রাজ্যে গত এক বছরে শিশুদের অপুষ্টির হার বেশি। এই হিসেব কি পুরোপুরি সঠিক? বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ...

সংবাদদাতা, লালবাগ: জিয়াগঞ্জের বিলকান্দিতে স্ত্রীকে ভোজালি দিয়ে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী তেনু মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। রবিবার গভীর রাতে জিয়াগঞ্জ সিটি স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।  ...

নয়াদিল্লি, ১১ নভেম্বর (পিটিআই): উৎসবের মরশুম আর নয়া মডেল। এই দুইয়ের জেরে নিম্নগতি থেকে সামান্য হলেও মাথা তুলল গাড়ি শিল্প। অক্টোবরে যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি বাড়ল ০.২৮ শতাংশ। অর্থাৎ গাড়ি বিক্রি হয়েছে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ২৭ ইউনিট। যেখানে গত বছরের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮২১: রুশ সাহিত্যিক ফিওদর দস্তয়েভস্কির জন্ম
১৮৮৮: স্বাধীনতা সংগ্রামী মৌলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম
১৯১৮: শেষ হল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ
১৯৩৬: অভিনেত্রী মালা সিনহার জন্ম

11th  November, 2019


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৬৯.৭০ টাকা ৭২.৮৫ টাকা
পাউন্ড ৮৯.০৬ টাকা ৯৩.৩৬ টাকা
ইউরো ৭৬.৭৩ টাকা ৮০.৪৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,৬৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৬৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৭,২২০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৪,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৪,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ কার্তিক ১৪২৬, ১২ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, পূর্ণিমা ৩৩/৪ রাত্রি ৭/৪। ভরণী ৩৭/৩১ রাত্রি ৮/৫১। সূ উ ৫/৫০/৫২, অ ৪/৫০/৩৮, অমৃতযোগ দিবা ৬/৩৪ মধ্যে পুনঃ ৭/১৮ গতে ১০/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৭ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ৯/১১ গতে ১১/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ৩/১৪ মধ্যে পুনঃ ৪/৫৮ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/১৩ গতে ৮/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৬ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৬ মধ্যে। 
২৫ কার্তিক ১৪২৬, ১২ নভেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, পূর্ণিমা ৩২/৪৫/৪৭ রাত্রি ৬/৫৮/২০। ভরণী ৩৯/৩০/৩৪ রাত্রি ৯/৪০/১৫, সূ উ ৫/৫২/১, অ ৪/৫১/১৮, অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/২৯ গতে ১১/৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৬ গতে ৮/১৯ মধ্যে ও ৯/১২ গতে ১১/৪১ মধ্যে ও ১/৩৮ গতে ৩/২৪ মধ্যে ও ৫/১০ গতে ৫/৫৩ মধ্যে, বারবেলা ৭/১৪/২৬ গতে ৮/৩৬/৫০ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৪/৪ গতে ২/৬/২৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৮/৫৩ গতে ৮/৬/২৯ মধ্যে। 
মোসলেম: ১৪ রবিয়ল আউয়ল 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। বৃষ: কর্মসূত্রে সন্তানের ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৪০: ফরাসি ভাস্কর অগ্যুস্ত রদ্যঁর জন্ম১৮৯৩: পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তরেখা ...বিশদ

07:03:20 PM

মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারিকে নিন্দনীয় আখ্যা কংগ্রেসের
মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করাকে নিন্দনীয় বলে আখ্যা দিল কংগ্রেস। ...বিশদ

07:59:24 PM

মহারাষ্ট্রে জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন 
অবশেষে রাষ্ট্রপতি শাসনই জারি হল মহারাষ্ট্রে। রাজ্যপালের সুপারিশে সই করে ...বিশদ

05:40:00 PM

  টাস্ক ফোর্স নিয়ে বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হল?
বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্থ এলকায় গিয়ে কালকের মধ্যে নবান্নে রিপোর্ট জমা দিতে ...বিশদ

05:07:23 PM

 আজব কাণ্ড! পেঁপের পেটেই মিলল পেঁপে
পেঁপের পেটেই পেঁপে মিলল। শুনলে অবাক লাগলেও বাস্তবে এটাই ...বিশদ

04:43:28 PM