Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

হারানো বইয়ের খোঁজে

রূপক বর্ধন রায়: সন্দীপদা, মানে ‘কলকাতা লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্রের’ স্থাপক এবং লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রাহক সন্দীপ দত্ত চলে গেছেন প্রায় দেড় বছর হল। বছর চারেক আগে খোলামেলা এক আড্ডায় সন্দীপদা বলেছিলেন, “৭২এ স্কটিশে বাংলা অনার্স পড়ার সময় আমি মাঝেমাঝেই ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে যেতাম। মে মাসের একটা ঘটনা। … দেখলাম বহু পত্রিকা একজায়গায় জড়ো করা আছে। … কৌতূহলী হয়ে প্রশ্ন করলাম যে এগুলো দড়ি দিয়ে বাঁধা আছে কেন? … বললেন এগুলো ফেলে দেওয়া হবে, কারণ এগুলো নিয়মিত বেরোয় না আর এগুলো বাঁধাই করা অসুবিধে। আমার খুব অপমান বোধ হল। নিজের কাগজের প্রতি অপমান, গোটা লিটল ম্যাগাজিনের প্রতি অপমান। ” আমরা যারা সন্দীপদাকে কলেজ জীবন থেকে ওই লাইব্রেরির অনুষঙ্গেই একটু আধটু চিনতাম, তার মানবিক দোষ-গুণের সঙ্গে যাদের অল্প হলেও আত্মিক সংযোগ ছিল তাদেরকে ওনার এই সংরক্ষণ-প্রবণতাই প্রভাবিত করতো সব থেকে বেশি। অনেকের মত, ব্যক্তিগত ভাবে, আমি এই ধারাটা বাড়ি থেকে, মূলত বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি বলে ওকে বুঝতে পারতাম। আমার জীবনের একাধিক বন্ধু, এমনকি অনেক বয়সের বন্ধুও আমি এই আর্কাইভিং-এর সুত্রেই পেয়েছি। সন্দীপদা সেই আড্ডায় একাধারে গর্ব এবং দুঃখ করেই বলেছিলেন, “আজকে, একটাও বাণিজ্যিক পত্রিকার কোনও লাইব্রেরি নেই, কিন্তু লিটল ম্যাগাজিনের আছে, মিনি হলেও আছে।” 
বিগত বারো বছরের প্রবাস যাপনে, নিজের গবেষণা এবং কাজের ফাঁকে যেটুকু সময় পেয়েছি এমনই নানান ‘আর্কাইভ’-এর গল্প সংগ্রহ করার চেষ্টায় থেকেছি। তেমন কাহিনী কখনো মধ্যযুগীয় কোনো শহরের  লোকসাহিত্যের ঝুলি হয়ে ধরা দিয়েছে, আবার কখনও দেড়শো বছর আগের এক হারিয়ে যাওয়া চিত্রকারের নিজের হাতে সই করা বইয়ের প্রথম কপির আকারে। আর, গল্পগুলো আমার পাঠকদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে-নিতে দেখেছি শেষমেশ তারা শিল্প, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান এবং সর্বোপরি মানবিক সৃজনশীতালর ঐতিহাসিক ধারবিবরণীই হয়ে উঠতে চেয়েছে, হতে চেয়েছে হাজারো বিভিন্নতার মাঝেই এক অদৃশ্য সমপ্রবাহের বিরাসত। এও তেমনই এক গল্প। 
২০১৯ সালে জার্মানি ছেড়ে দক্ষিণ ফ্রান্সের নিস শহরে বাসা বাঁধার পর থেকে একটা ঠিকঠাক ইংরেজি বইয়ের লাইব্রেরির জন্য মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে। ফরাসি তেমন জানি না, কাজেই মূগ্ধতার মাঝেও বিরাট বিরাট গ্রন্থাগারগুলো আমায় আমার অপারগতার আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছিলো। আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। বছর খানেক চলার পর একটা ছোট্টো ইংরেজি গ্রন্থাগারের খবর পাই। নাম, ‘দা আমেরিকান-ইংলিশ লাইব্রেরি’। খুঁজতে গিয়েই হোচট খেলাম। এক ব্রিটিশ গীর্জার ঠিকানা দেওয়া, কিন্তু সে জায়গায় কোথাও বই পত্রের কনো চিহ্নও নেই! কী করা যায় ভাবতে ভাবতে গুগলে পাওয়া টেলিফোন নম্বরে ফোন করলাম। বার তিনেক বেজে যাওয়ার পর এক ভদ্রমহিলা তুললেন। আমার সমস্যার কথাটা বলায় ভদ্রমহিলা খোঁজার রাস্তাটা বাতলে দিলেন। লাইব্রেরি চার্চে নয় চার্চের পিছন দিকে, যেখানে আগে গীর্জার প্রশাসনিক অফিস ছিল, তার বেসমেন্তে অবস্থিত। প্রায় হাতরে হাতরে, বাগান, পিছনের লোহার  গেট, কলিং বেলের শর্ট সার্কিট সামলে, পুরনো সিড়ি বেয়ে নামতে নামতে বিস্ময়ে খেয়াল করলাম এ এক ঐতিহাসসিক পিঠস্থান, আমার মত সংরক্ষণ পিপাসু বইপোকাদের ঠেক। আলাপ হল টেলিফনে কথা হওয়া ভদ্রমহিলার সঙ্গেও; নাম জুডিথ কিরালি। পেশায় ইতিহাসবিদ, নেশায় এই ঐতিহাসিক লাইব্রেরির ওয়ার্কিং কমিটির মধ্যমণি। কথায় কথায় লাইব্রেরির বিবর্তনের প্রসঙ্গ আসে। জুডিথ্ বলে চলেন, আমি মুগ্ধ শ্রোতার মত শুনি।
নিস শহরের এই আমেরিকান-ইংলিশ লাইব্রের দক্ষিণ ইউরোপের সবথেকে বড় ইংরেজি গ্রন্থাগার। ১৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তা এই নব্য-গথিক হোলি ট্রিনিটি ইংলিশ গীর্জার ক্যাম্পাসে অবস্থিত। চার্চটি ১৮৬০-১৮৬২ সালের মধ্যে ইংরেজ স্থপতি থমাস স্মিথের বদান্যতায় তৈরি হয়। পরবর্তীতে অ্যারন মেসায়া চার্চ হল এবং দক্ষিণে একটি লাইব্রেরি যোগ করেন। ১৯৫৯ সালে সেই লাইব্রেরিটি ভেঙে ফেলা হয় এবং সেটি বর্তমানের ছোট্ট বাড়িটার বেসমেন্টে উঠে আসে। গ্রন্থাগার স্থাপনা এবং তার পরবর্তী ১০০ বছরের ইতিহাসও কম রোমহর্ষক নয়।  ১৮০০ সালের প্রথম দিকে,  ভূমধ্যসাগরীয় আবহাওয়ায় আকৃষ্ট হয়ে ইংরেজ অভিজাতরা নিস-এ আসতে শুরু করেন। এরাই  শহরে ইংরেজি ভাষাভাষী নানান ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, একটি চার্চ এবং এই ছোট্ট লাইব্রেরি টি চালু করেন। প্রথম প্রথম, মানে ১৮৫২ সালে নিজেদের মধ্যে ধর্মীয় বই বিনিময়ের মাধ্যমে গ্রন্থাগারের কাজ শুরু হয়।  বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে রাণি ভিক্টোরিয়ার নিয়মিত যাতায়াতের ফলে নিস শহর জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে; তার সঙ্গে গ্রন্থাগারেরও। রাণী নিজে সেখানে কখনও গিয়েছিলেন কিনা তা যদিও জানা যায়নি।
কাট টু; ২০১৯ সাল…
নিস ইংলিশ গ্রন্থাগারের অফিসে লিঅঁ (Lyon) পাবলিক লাইব্রেরি থেকে একটি ফোন আসে। জানানো হয় যে তারা কিছু পুরানো বইয়ের বাক্স পেয়েছে; সেগুলোর উপরে নিস লাইব্রেরির স্টিকার লাগানো। অবাক করার মতই বিষয়! ফ্রান্সের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লিঅঁর গ্রন্থাগারে অন্য লাইব্রেরী বাক্স ভর্তী বই থাকলে কতৃপক্ষের তো জানার কথা! তাহলে ঘটেছিল কী?
বস্তুত,  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, ১৯৪৩ সালে, নিস ইংলিশ লাইব্রেরি এক কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হয়। এক জার্মান অফিসার সেখানে নিয়মিত আসা যাওয়া শুরু করেন। তাতে রক্ষে নেই, লাইব্রেরির বহু মূল্যবান বই তার ব্যক্তিগত সংগ্রহের জন্যও বাজেয়াপ্তও হতে থাকে। তাছাড়া, স্থানীয় ইংরেজি ভাষাভাষী ফ্রিম্যাসন এবং অন্যান্য গোপন ফ্যাসি বিরোধী সংগঠনগুলোও সে  লাইব্রেরিতেই তাদের নিয়মিত বৈঠক। কাজেই, পরিস্থিতি ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠায় লাইব্রেরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন কর্তৃপক্ষ। এমত পরিস্থিতে, লাইব্রেরির বইগুলোকে রক্ষা করার স্বার্থে, প্রত্যেক সদস্য তাদের ব্যক্তিগত দায়িত্বে কিছু পরিমাণে বই নিজেদের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলেন। সুইস কনসুলও বিপুল পরিমাণ বই নিরাপদ স্থানে স্থানান্তর করতে সাহায্য করেন। ১৯৪৪ সালে আমেরিকান ৬ষ্ঠ নৌবহরের আগমন হেতু পর এবং যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর লাইব্রেরিটি আবারও সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সদস্যদের ব্যক্তিগত নিরাপদ আশ্রয় থেকে বইগুলোও ধিরে ধিরে ফিরে আসতে শুরু করে। এক পুরনো, তৎকালীন ছোট্ট সদস্যা, মিসেস হেলেন ক্যাম্পবেল নাকি জানিয়েছেন, খুব ভুল না হলে ষাটের দশকের প্রথম দিকেও তিনি লিঅঁ থেকে পার্সেল পেয়েছিলেন। এবং সম্প্রতি লিওঁ পাবলিক লাইব্রেরিতে যে বইগুলো পাওয়া গিয়েছিল, তা সুইস কনসুল দ্বারা রক্ষিত বইগুলোরই অংশ। কথাগুলো বলতে বলতে জুডিথের চোখ ছল ছল করে ওঠে। নির্বাক লড়াই, মৌন প্রতিবাদের জোর এমনই! হাজার অত্যাচারের সামনে একটা ছোট্ট শহরের অস্ত্রহীন মানুষের তাদের সংস্কৃতির প্রতি কী  স্থির মমত্ববোধ!
আমাদের প্রথম দিনের আড্ডা শেষ হয়। জুডিথ জানান দিনের কাজ শেষ, এবার বন্ধ করার পালা। ৪০ ইউরোর বার্ষিক গ্রাহক হয়ে, বি্ভোর আমি, সেদিনের মত বেরিয়ে আসি। এরপর কভিড। বছর দেড়েকের সার্বিক স্তব্ধতা। ২০২১ সালের অগাস্ত মাসে ফিরে গিয়ে দেখি অনেক কিছুই পালটে গেছে। লাইব্রে্রি আজকাল আর রোজ খলে না। সপ্তাহে দুদিন দুঘন্টা, ব্যাস! তবে ভালো দিক, আরো কিছু মানুষ পুরনো বইগুলোর স্বার্থে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে যোগ দিয়েছেন। তাতিয়ার সঙ্গে আলাপ হয়। স্বাধীন তথচিত্র নির্মাতা তাতিয়া কভিডের পর-পরই লাইব্রেরির চিন্তায় ছুটে এসেছেন;  নিয়ে একটি ভিডিও সিরিজ তৈরি করছেন তিনি। এই নিরলস উৎসাহের কারণ জানতে চাওয়ায় তাতিয়া বলেন, “জায়গাটা আমার খুব পছন্দের। এ আরেকটি জগৎ, টাইম-ট্রাভেলের মত। এখানে কোনোরকম নিয়ম-নাইতির বাধ্যবাধকতা নেই। এখানকার আবহাওয়ার স্বাচ্ছন্দ্য আমাকে মুগ্ধ করে। আমাদের এই ছোট্ট লাইব্রেরি আজকের ইঁদুর  দৌড়ের বাইরে এ শহরের মানবিক মুখ।” তাতিয়া এবং লাইব্রেরির অন্যান্য সদস্যরা প্রায়ই তাদের আর্থিক সংগ্রামের কথা বলেন। ব্রেক্সিট এবং কোভিড-১৯-এর প্রভাবের কারণে তাদের সমস্যার অন্ত নেই। টাকা আসেনা আগের মত। দিনগুলো তবুও কেটে যায়। কিছু প্রাণবন্ত বইপ্রেমীদের রোজনামচার অংশ হিসাবে এই “ছোট্ট” সাংস্কৃতিক ও মানবিক ঐতিহ্যের কেন্দ্রটি নিজের ছন্দে টিকে থাকে। সঙ্গীত সুরকার এবং কমিটির সচিব ড্রেক ম্যাব্রি যেমন বলেন, “হ্যা, আমাদের একটা লক্ষ্য অবশ্যই আছে, কিন্তু সেখানে পৌছনোর কোনো তাড়া আমাদের নেই।”
এই আমার বিগত ৪ বছরের বৌদ্ধিক আশ্রয়। ২০০, ৩০০, ৪০০ বছরের পুরনো বইগুলোর গন্ধে মজে থাকতে থাকতে, অক্ষরবৃত্তের ইতিহাসে ডুবে যেতে যেতে জুডিথ, তাতিয়াদের অবাক হয়ে দেখি, তাদের সংরক্ষণ প্রবণতা, ইতিহাসের প্রতি তাদের আত্মতসর্গ আমায় আরো ভাবিয়ে তোলে, নিজেকে প্রশ্ন করায়। আমি পারিনা, আমরা পারিনা? তখন সন্দীপদার কথা মনে পড়ে, কলেজ জীবন, ইউনিভার্সটি জীবনের দিনগুলোয়, লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরির দুপুরগুলোয় ফিরে যাই মনে মনে। পৃথিবীর দুই প্রান্তের, দুই ভিন্ন সংস্কৃতির, দুটো সম্পূর্ন আলাদা যাপনের অভ্যন্তরে ফল্গু ধারার মত বয়ে চলা মানুষের বোদ্ধিক সমপ্রবাহ এই বিচ্ছিন্নতার যুগেও আশার প্রদীপটুকু জ্বালিয়ে রাখে। এই অনন্ত জ্ঞান প্রবাহের মাঝে, আমি এক বিনম্র আশ্রয় খুঁজে পাই। বুঝি, এমনই আরও অনেক গল্প, সাংস্কৃতিক ঐশ্বর্য, এবং মানবিক সংহতির নিদর্শন আমাদের দৈনন্দিন টানাপোড়েনের আনাচে কানাচেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমার কাজ তাদের খোঁজে লেগে থাকা; ইতিহাস চেতনা নিজেই এক রাজনৈতিক জীবনধারা!
 গ্রাফিক্স : সোমনাথ পাল
 সহযোগিতায় : উজ্জ্বল দাস
17th  November, 2024
সাধারণতন্ত্র  ৭৫

একমাস আগে, ২৫ জুন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। ২২ জুলাই পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সামনে বসে থাকা বিরোধীদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আপনারা এতকাল আমাকে আক্রমণ করে বলতেন আমি নাকি ডিক্টেটর। স্বৈরাচারী। অথচ আমি মোটেই স্বৈরাচারী ছিলাম না।’ একটু থেমে তাকালেন  সকলের দিকে।
বিশদ

26th  January, 2025
মেহফিল-এ ডোভার লেন
সায়নদীপ ঘোষ

পাঁচের দশকের একদম শুরুর দিকের কথা। সিংহি পার্কের বিজয়া সম্মিলনি। নাটক, আধুনিক গান আর শাস্ত্রীয় সঙ্গীত মিলিয়ে তিনদিনের জমজমাট অনুষ্ঠান। দেখা গেল, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রতি পাড়ার মানুষদের আগ্রহ সবথেকে বেশি। সই দেখে পাড়ার যুবকরা ঠিক করলেন, শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বার্ষিক অনুষ্ঠান করতে হবে। বিশদ

19th  January, 2025
‘না’ বলার সুযোগ ছিল না
পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়

আটের দশকের কথা। ডোভার লেনে বাজাবেন উস্তাদ জাকির হুসেন। কিন্তু কোনও কারণে আসতে পারেননি উনি। এদিকে অনুষ্ঠানের মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। তিন ঘণ্টা আগে বাড়িতে হাজির উদ্যোক্তারা। ‘না’ বলার কোনও সুযোগ ছিল না। গাড়ি করে নিয়ে গেলেন। বিশদ

19th  January, 2025
দার্জিলিংয়ে স্বামীজি

স্বাস্থ্য উদ্ধারের জন্য চারবার দার্জিলিং গিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। আতিথ্য নিয়েছিলেন মহেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বলেন ভিলা’য়, বর্ধমানরাজের প্রাসাদ ‘চন্দ্রকুঠী’তে। সেই ‘বলেন ভিলা’ আজ নিশ্চিহ্ন। কেমন আছে ‘চন্দ্রকুঠী’? খোঁজ নিলেন অনিরুদ্ধ সরকার  
বিশদ

12th  January, 2025
শীতের সার্কাস
কৌশিক মজুমদার

আমাদের দক্ষিণবঙ্গে শীত আসে দেরিতে, যায় তাড়াতাড়ি। জয়নগর থেকে মোয়া আসা শুরু হয়েছে। স্বর্ণচূড় ধানের খই দিয়ে তৈরি, উপরে একফালি বাদামি কিশমিশ। রোদের রং সোনা হয়েছে। সকালের রোদ বাড়তে বাড়তে পা ছুঁলেই মিষ্টি এক উত্তাপ। বিশদ

05th  January, 2025
বছর শেষে কোন পথে দেশ
সমৃদ্ধ দত্ত

‘তালা খুলে দাও!’ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে বললেন অরুণ নেহরু। ১৯৮৬ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ। শাহবানু মামলা নিয়ে হিন্দুরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। খোদ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও গুপ্তচর সংস্থাগুলি তেমনই রিপোর্ট দিচ্ছে। রাজীব গান্ধী উদ্বিগ্ন। তিনি বুঝতে পারছেন, ক্রমেই রাজনীতির মধ্যে হিন্দুত্ব প্রবেশ করছে। বিশদ

29th  December, 2024
আকাশ ছোঁয়ার শতবর্ষ

কলকাতা বিমানবন্দরের ১০০ বছর! গড়ের মাঠের এয়ারফিল্ড থেকে দমদমার মাঠে বিমানবন্দর গড়ে ওঠার কাহিনি রূপকথার মতো। সেই অজানা ইতিহাসের খোঁজে অনিরুদ্ধ সরকার
বিশদ

22nd  December, 2024
অজানা আতঙ্ক ডিজিটাল অ্যারেস্ট
সৌম্য নিয়োগী

পুলিস নেই, হাতকড়া নেই, গারদ নেই... স্রেফ ইন্টারনেট যুক্ত কম্পিউটার বা ট্যাবলেট নিদেনপক্ষে একটা স্মার্টফোন থাকলেই ব্যস— ইউ আর আন্ডার অ্যারেস্ট থুড়ি ডিজিটাল বিশদ

15th  December, 2024
আজমিরের দরবারে
সমৃদ্ধ দত্ত

 

আজমির দরগায় কি মহাদেবের মন্দির ছিল? আচমকা এমন এক প্রশ্ন ঘিরে তোলপাড় দেশ। যুক্তি, পাল্টা যুক্তির মধ্যেই ইতিহাসের পাতায় চোখ বোলাল ‘বর্তমান’ বিশদ

08th  December, 2024
উমা থেকে দুর্গা

বিভূতিভূষণের সেই দুর্গা বইয়ের পাতা থেকে উঠে এল সত্যজিতের ছবিতে। সারা জীবনে একটি ছবিতে অভিনয় করে ইতিহাস হয়ে আছেন। কিন্তু নতুন প্রজন্ম মনে রাখেনি তাঁকে। ১৮ নভেম্বর নিঃশব্দে চলে গেলেন তিনি। ‘পথের পাঁচালী’-র দুর্গা, উমা দাশগুপ্তকে নিয়ে লিখেছেন সুখেন বিশ্বাস।
বিশদ

01st  December, 2024
পাগল হাওয়া
দেবজ্যোতি মিশ্র

কবি, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতকার... কোনও বিশেষণই তাঁর জন্য যথেষ্ট নয়। তিনি সলিল চৌধুরী। শতাব্দী পেরিয়েও বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে তাঁর গান। জন্মশতবর্ষের সূচনায় ‘গুরুবন্দনা’য় কলম ধরলেন দেবজ্যোতি মিশ্র বিশদ

24th  November, 2024
ট্রাম্পের আমেরিকা
মৃণালকান্তি দাস

‘ইফ হি উইনস’, এই শিরোনামেই টাইম ম্যাগাজিন গত মে মাসে সংখ্যা প্রকাশ করেছিল। সেই সংখ্যায় সাংবাদিক এরিক কোর্টেলেসা জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে বহুযোজন এগিয়ে গিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশদ

10th  November, 2024
ভাইজানের বিপদ
সমৃদ্ধ দত্ত

এই গ্রুপটাকে সবাই একটু ভয় পায়। কলেজের মধ্যে এই চারজন সর্বদাই একসঙ্গে থাকে। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে চলে আসে দুপুর গড়াতেই। আর সেখানেই তাদের ঘোরাফেরা সবথেকে বেশি। হুড খোলা একটা মাহিন্দ্রা জিপ চালায় যে, তার আসল নাম বলকারান ব্রার। বিশদ

03rd  November, 2024
কাজীর কালীবন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

ভয়ে হোক বা ভক্তিতে, মা কালীর মধ্যে কিন্তু একটা ব্যাপার আছে। যে কারণে কেরেস্তানি কবিয়াল অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি সাহেবের লেখা পদেও ‘শ্যামা সর্বনাশী’কে পাওয়া যায়, শোনা যায় ‘জয় কালীর ডঙ্কা’। আবার ত্রিপুরার নারায়ণপুরের মৃজা হুসেন আলিকে জয় কালীর নামে যমকেও তাচ্ছিল্য করতে দেখি। বিশদ

27th  October, 2024
একনজরে
খালিস্তানি ও গেরুয়া সন্ত্রাস নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্রিটেন! ব্রিটিশ সরকারের একটি নথি থেকে সেই তথ্যই মিলছে। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সেই নথি সম্প্রতি ফাঁস হয়ে পড়েছে। সেখানে মোট ছ’টি ক্ষেত্রকে ব্রিটেনের নিরাপত্তার জন্য ‘নয়া বিপদ’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ...

গভীর রাতে ওয়্যারলেস মেসেজে বদলি করা হল দক্ষিণ গোয়ার পুলিস সুপার সুনীতা সাওয়ান্তকে। রাজ্যের বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপের নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির। ...

হুগলি জেলায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচি পরিদর্শন করে গেলেন রাজ্যের অন্যতম অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রোশনি সেন। বুধবার তিনি হুগলি জেলায় এসেছিলেন। ...

মুর্শিদাবাদের পর্যটনের সার্বিক উন্নয়নে ভাগীরথীর উপর আমানিগঞ্জ-খোশবাগ ফুটব্রিজ তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। এবার এই দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিলেন নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
aries

পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস
শহীদ দিবস
১৬৪৯ - ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম চার্লসের শিরোচ্ছেদ করা হয়
১৯০৩- ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরির উদ্বোধন করলেন লর্ড কার্জন
১৯৩০- কিংবদন্তী ফুটবলার সমর বন্দ্যোপাধ্যায়ের (যিনি বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে পরিচিত) জন্ম
১৯৩৩ - জার্মানীর চ্যান্সেলর হন এডলফ হিটলার
১৯৪৮- নাথুরাম গডসের গুলিতে নিহত মহাত্মা গান্ধী
১৯৪৮- ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরির নামকরণ হল ন্যাশনাল লাইব্রেরি
১৯৮২ - ৪০০ লাইন দীর্ঘ ১ম কম্পিউটার ভাইরাস কোড এল্ক ক্লোনার লিখেন রিচার্ড স্ক্রেন্টা। এটি এ্যাপল কম্পিউটারের বুট প্রোগ্রাম ধ্বংস করে দেয়
১৯৯৪ - পিটার লেকো সর্বকনিষ্ঠ গ্রাণ্ডমাস্টারের মর্যাদা পান
২০২০- ভারতের কেরলে প্রথম করোনা আক্রান্ত (মেডিক্যাল স্টুডেন্ট) এক রোগী শনাক্ত করা হয়



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৯৮ টাকা ১০৯.৭২ টাকা
ইউরো ৮৮.৭৪ টাকা ৯২.১১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮১,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮১,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৭,৫৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ ২৪/৩৫ দিবা ৪/১১। শ্রবণা নক্ষত্র ২/১৫ দিবা ৭/১৫ পরে ধনিষ্ঠা নক্ষত্র ৫৮/৪৫ শেষরাত্রি ৫/৫১। সূর্যোদয় ৬/২০/৩১, সূর্যাস্ত ৫/১৯/২৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৬ গতে ৩/৪৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৪ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ২/৩৫ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৫০ গতে ১/২৮ মধ্যে।
১৬ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫। প্রতিপদ সন্ধ্যা ৫/৪১। শ্রবণা নক্ষত্র দিবা ৮/৪৮। সূর্যোদয় ৬/২৩, সূর্যাস্ত ৫/১৯। অমৃতযোগ রাত্রি ১/৮ গতে ৩/৪২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ১০/৪৩ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। কালবেলা ২/৩৫ গতে ৫/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৫১ গতে ১/২৯ মধ্যে। 
২৯ রজব। 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
এক্সিট পোলের হিসেব অনুযায়ী জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে জয়ী ফ্রেডরিচ মের্জের নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল জোট

11:13:00 PM

আইএসএল লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন মোহন বাগান, পরপর দু’বার এই খেতাব জিতল সবুজ-মেরুন শিবির

10:54:11 PM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন বিরাট কোহলি

10:21:00 PM

একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রান পূর্ণ করলেন কোহলি

10:14:41 PM

মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হলেন এক মহিলা ও শিশু

10:01:00 PM

দুর্গাপুরের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে বাইকের ধাক্কায় এক সাইকেল আরোহীর মৃত্যু

10:01:00 PM



Loading...