Bartaman Patrika
 

মুকুন্দদাস ও তাঁর স্বদেশি যাত্রা

 চারণকবি মুকুন্দদাসের ব্রত ছিল পালাগানের মধ্যে দিয়ে দেশবাসীকে বিদেশি শাসকের বিরুদ্ধে জাগিয়ে তোলা। মুকুন্দদাস ও তাঁর স্বদেশি যাত্রা নিয়ে লিখেছেন সন্দীপন বিশ্বাস।

মঞ্চ ঘিরে গ্রামবাসীদের ভিড়। যাত্রাপালা দেখে সকলের রক্ত উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে। ইংরেজ শাসকের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত হচ্ছে ক্ষোভ। প্রধান গায়ক-অভিনেতার একের পর এক গান দোলা দিচ্ছে তাঁদের হৃদয়ে—
‘ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে/
মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে।...’
কিংবা
‘বান এসেছে মরা গাঙে খুলতে হবে নাও/
তোমরা এখনও ঘুমাও...।’
গায়ক মঞ্চের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ঘুরে ঘুরে গাইছেন। পরনে গেরুয়া আলখাল্লা, মাথায় পাগড়ি, বুকে ঝুলছে মেডেল। পায়ে বিদ্যাসাগর চটি। তাঁর গানে উদ্বেল মানুষ। তিনি হলেন মুকুন্দদাস। তিনি চারণকবি। তাঁর স্বদেশি যাত্রা ছিল গণজাগরণের হাতিয়ার। তাই সেই যাত্রাপালা পড়েছিল শাসক ইংরেজদের রোষানলে।
ছোটবেলায় নাম ছিল তাঁর যজ্ঞেশ্বর। অধুনা বাংলাদেশের বিক্রমপুরে ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে তাঁর জন্ম। তবে সন-তারিখ নিয়ে মতান্তর আছে। ছেলেবেলায় বাবার সঙ্গে তাঁরা চলে আসেন বরিশালে। ছোট্ট যজ্ঞেশ্বরের মনে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং আন্দোলনের বাসনা জাগিয়ে তুলেছিলেন অশ্বিনীকুমার দত্ত। বাল্যকালে পড়াশোনায় তাঁর মন বসেনি। কৈশোরে খুলে বসলেন মুদির দোকান। তার মধ্যেই চলতে লাগল স্বেচ্ছাচারী জীবন। বন্ধুদের নিয়ে গুন্ডামি করাটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। দস্যু রত্নাকর হয়ে উঠেছিলেন বাল্মীকি। যজ্ঞেশ্বরেরও মুকুন্দ হয়ে ওঠা যেন এক অলৌকিক আখ্যান। রোজ তিনি ঘুমিয়ে থাকেন আর ভোরবেলা তাঁর বাড়ির পাশ দিয়ে নগরকীর্তনের দল পরিক্রমায় বের হয়। সেই গানে ঘুম ভেঙে গেলে বিরক্ত হন যজ্ঞেশ্বর। রোজ তাঁর কানে সেই নামগান প্রবেশ করে। শুনতে শুনতে গানের কথাগুলো মুখস্থ হয়ে গিয়েছে। মুদির দোকানে বসে সেই কথাগুলো ভাবতে ভাবতে তিনি তন্ময় হয়ে যান। কী গভীর উপলব্ধি! এত প্রেম কৃষ্ণ নামে! ছুটে যান সান্ধ্য কীর্তনের আসরে। দু’চোখ ভেসে যায় তাঁর। তন্ময়তায় ডুবে যান। একদিন তিনি ও তাঁর বন্ধুরা মিলে যে যাত্রা বা গানের আসর ভণ্ডুল করে দিয়ে আনন্দে হা হা করে হেসে উঠতেন। আজ তিনিই সঙ্গীত ও পালাকীর্তনের অকূল সাগরে আনন্দযাত্রী। একদিন সংকোচের সঙ্গে গেলেন সেই নগরকীর্তনের দলের কাছে। দলের প্রধান বরিশালের বিখ্যাত কীর্তন গায়ক বীরেশ্বর গুপ্ত। যজ্ঞকে দেখে বললেন, ‘এসো। তোমাকে তো প্রায়ই দেখি আমার গানের আসরে। আমার দলে গান গাইবে?’
যজ্ঞেশ্বর বললেন, ‘আমি কি পারব? আমি মুদির কারবারি আর আমাকে তো সবাই বলে যজ্ঞাগুণ্ডা।’
বীরেশ্বর বললেন, ‘বাইরে তুমি যাই হও, ভিতরে তুমি গৌরাঙ্গ। তোমার মধ্যে আমি গৌরভাব দেখতে পাচ্ছি।’
ঢুকে পড়লেন কীর্তন দলে। শুরু হল শিক্ষা। চলল শাস্ত্র পাঠ। বদলে গেলেন আমূল। শৌখিন পোশাক ছেড়ে ধরলেন শ্বেতবস্ত্র। বিভিন্ন মেলায় ঘুরে ঘুরে শুনতে লাগলেন পালাকর্তাদের গান।
এখান থেকেই একদিন তিনি হয়ে উঠলেন মুকুন্দদাস। সন্ন্যাসী রামানন্দ অবধূতের কাছ থেকে দীক্ষা নেন। তিনিই যজ্ঞার নামকরণ করলেন মুকুন্দদাস। বৈষ্ণব সাধক মুকুন্দদাস একদিন হয়ে উঠলেন কালীভক্ত। শ্যাম থেকে শ্যামার পদতলে আশ্রয় নিলেন তিনি। বরিশালের সনাতন ঠাকুর বা সোনা ঠাকুরের কালীমন্দিরে বসে তিনি গান গাইতেন। সেই গান শুনে অশ্বিনী দত্ত বললেন, ‘যজ্ঞা, তুই শক্তির গান বাঁধ। যে শক্তির উল্লাসে মানুষ উজ্জীবিত হবে দেশমাতৃকার শৃঙ্খল মুক্ত করতে।’ নতুন দিশা পেলেন মুকুন্দদাস। বুঝে গেলেন তাঁর পথ কোন দিকে।
১৯০৫ সালে দেশ উত্তাল বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে। এই সময় তিনি লিখলেন ‘মাতৃপূজা’। সেই পালা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে নতুন দল গড়লেন। কিন্তু বায়না নেই তো! পালা আসরস্থ হবে কী করে! মায়ের নাম করে নৌকা নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। দুর্গাপুজোর মহাসপ্তমীর রাতে নবগ্রামের পুজোমণ্ডপে অভিনীত হল সেই পালা। তারপর একে একে বায়না আসতে লাগল। খোরাকি বায়নাতেই আসরে আসরে অভিনয় করতে লাগলেন। ফরিদপুর, ইদিলপুর, চাঁদপুর। নৌকা এগিয়ে চলল। ছড়িয়ে পড়তে লাগল মুকুন্দদাসের নাম। বাংলার মানুষ সেই পালা দেখে স্বদেশি আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার অনুপ্রেরণা পেলেন। ‘ভেঙে দাও রেশমী চুড়ি, বঙ্গনারী কভু হাতে আর প’রো না।’ মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে সেই গান।
স্বদেশি বর্জনের যে ডাক নেতারা দিয়েছিলেন, মুকুন্দদাসের গান তাতে ঘৃতাহুতি দিল। তাঁর স্বদেশি যাত্রা নতুন করে দেশপ্রেমের আগুন জ্বালিয়ে দিল বাংলার বুকে। ইংরেজ শাসক ভীত হয়ে তাঁর ‘মাতৃপূজা’ নাটকটি বাজেয়াপ্ত করল। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হল। কিছুদিন বরিশাল জেলে রাখার পর ইংরেজদের মনে হল এখানকার জেলে তাঁকে রাখা ঠিক হবে না। তাই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল দিল্লি। তিন বছরের কারাদণ্ড শেষে মুক্তি পেলেন। বেরিয়ে দেখেন তাঁর জীবন শূন্য করে চলে গিয়েছেন তাঁর পত্নী সুভাষিণী। জেলে যাওয়ার পরপরই সন্তান প্রসব করতে গিয়ে মৃত্যু হয় সুভাষিণীর।
ভাঙা মন। বুঝতে পারেন না এখন উপায় কী! দল গড়ার মতো টাকাও হাতে নেই। জীবনযাপনের জন্য আবার খুলে বসলেন মুদির দোকান। কিন্তু প্রতিবেশী ললিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী একদিন তাঁকে ডেকে নিজের গয়না তাঁর হাতে দিয়ে বললেন, ‘ভাই, এই নাও এগুলো বন্ধক দিয়ে আবার দল খোলো। মুদির দোকান চালানো তোমার কাজ নয়। তুমি মানুষকে জাগিয়ে তোলো।’ উৎসাহিত হয়ে মুকুন্দদাস আবার দল খুললেন। আবার শুরু করলেন পালা লেখা।
লিখলেন ‘সমাজ’ নামের একটি পালা। বুঝলেন কলকাতায় যেতে হবে। সেখানকার মানুষকে শোনাতে হবে তাঁর গান। ততদিনে আবার ডাক আসতে শুরু করেছে। একদিন চার টাকায় আসরে পালা গাইতেন। এখন নাম হয়েছে। রেট দাঁড়িয়েছে পঁচিশ টাকা। ‘সমাজ’ পালায় তিনি বিষয়বস্তু করে তুললেন সমাজের বিভিন্ন খারাপ দিকগুলিকে। পণপ্রথা, জমিদারদের অত্যাচার, অস্পৃশ্যতা ইত্যাদি।
একদিন জোড়াসাঁকোয় কবিগুরুর বাড়িতে গিয়ে তিনি গান শোনালেন। তাঁর উদাত্ত কণ্ঠে মোহিত রবীন্দ্রনাথ। তিনি তাঁকে শিখিয়ে দিলেন তাঁর ‘বিধির বাঁধন কাটবে তুমি’ এই গানটি। বললেন, ‘মঞ্চে মঞ্চে তুমি এই গানটি গেও’। মুকুন্দদাসের সঙ্গে দেখা হল নজরুল ইসলামের। তিনিও তাঁর গান শুনে মুগ্ধ। কবি নিজেও শোনালেন তাঁর গান। ‘কারার ওই লৌহকপাট’ ও অন্য কয়েকটি গান। মুকুন্দদাসকে উপহার দিলেন তাঁর দুটি বই। ‘অগ্নিবীণা’ এবং ‘বিষের বাঁশি’। তাতে লিখে দিলেন, ‘চারণসম্রাট মুকুন্দদাসকে উপহার’। মুকুন্দদাস হয়ে গেলেন চারণকবি।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের মেয়ের বিয়ে। দেশবন্ধু চিঠি লিখলেন অশ্বিনী দত্তকে। মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে তিনি পালাগানের আসর বসাবেন। সেখানে মুকুন্দদাসকে গাইতে হবে। সেই আসরে গান গেয়ে সাড়া ফেলে দিলেন তিনি। সেখানে তিনি ইংরেজ বিলাসিতায় আসক্ত আধুনিক মহিলাদের ব্যঙ্গবিদ্রুপ করেছিলেন। গানের শেষে দেশবন্ধু তাঁকে পরিয়ে দিলেন সোনার মেডেল। সেই আসরে উপস্থিত ছিলেন কবি প্রিয়ংবদা দেবী। তিনি কবির প্রশংসা করে তাঁকে উপহার দিলেন সোনার সেফটিপিন। সেই আসরে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিস কমিশনার। তিনি আড়ালে ডেকে মুকুন্দদাসকে বললেন, ‘দারুণ গান করেছেন। তবে আর নয়। এবার কলকাতা ছাড়ুন। আপনাকে গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা চলছে।’ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ও তাঁর গান পছন্দ করতেন। তিনি মুকুন্দদাসকে উপহার দিয়েছিলেন একটি রুপোর লাঠি।
তাঁর ‘পল্লিসেবা’, ‘কর্মক্ষেত্র’, ‘পথ’, ‘সাথী’, ‘ব্রহ্মচারিণী’ প্রভৃতি পালার মধ্য দিয়ে তিনি ব্যঙ্গবিদ্রুপে বিদ্ধ করেছেন অসাম্য, অন্যায় আর কুশিক্ষাকে। জমিদার বাড়িতে গানের আসরে তিনি জমিদারি ব্যবস্থার খারাপ দিকগুলিকে তীব্র ব্যঙ্গ করতেও ভয় পেতেন না।
আসর থেকে আসরে ছুটছে দল। এদিকে শরীর আর নিচ্ছে না। মাঝে মাঝেই জ্বর হয়। সব ক্ষেত্রে পুরো পালায় অভিনয় করতে পারেন না। একটি-দুটি গান করেন মাত্র। কিন্তু গান বন্ধ করা যাবে না। কালীপুজোর সময়। অনেক বায়না। তাঁর উপর নির্ভর করছে দলের সকলের পরিবারের ভরণপোষণ। অসুস্থ শরীর নিয়ে চলল পালাগান। কলকাতায় এসে জ্বর বাড়ল। ১৯৩৪ সাল। অনেকগুলি পালার বায়না আছে শহরে। কিন্তু তিনি নিজেই চলে গেলেন সব পালার অভিনয় অসম্পূর্ণ রেখে।
তাঁর যাত্রাপালা ছিল ভিন্নধারার। ব্রজমোহন রায়, মতিলাল রায়ের মতো তিনি পালা রচনা করেননি। তাঁর পালায় ছিল গানের আধিক্য। সেই গানের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কথা বলে তিনি যেন নবনাট্যের প্রস্তাবনাও করে গিয়েছিলেন। একইসঙ্গে যাত্রাপালা এবং স্বাধীনতার আন্দোলনেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
অঙ্কন : সুব্রত মাজী
01st  February, 2020
যুদ্ধের ন্যায় ও ন্যায়ের যুদ্ধ 

ন্যায় কোনটা? আর অন্যায়টাই বা কী? এ নিরূপণ করা খুবই দুরূহ। যুদ্ধের প্রাক্কালে উভয়পক্ষই দাবি করে তাঁরাই ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ করছে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের আগে কৃষ্ণ দাবি করেছিলেন তিনি ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করছেন, তাই পাণ্ডবদের সহায়তা করছেন। কিন্তু কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল সেই দাবি? কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কি সত্যিই ন্যায় রক্ষিত হয়েছিল সদাসর্বদা?
বিশদ

22nd  February, 2020
পঞ্চদশ সাউথ এশিয়ান থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল 

আমাদের রাজ্যের মানুষদের মনে একটা ধারণা আছে বিদেশে গিয়ে বুঝি বাঙালিরা নিজেদের কৃষ্টি সংস্কৃতি ভুলে যায়। ধারণাটা পুরোপুরি ভুল না হলেও, এই ধারণার একটা বিপ্রতীপ দিকও আছে। যেখানে দেখা যায় বিদেশে বসবাসকারী বাঙালিরা নিজেদের ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি রক্ষা করার জন্য আপ্রাণ লড়াই যাচ্ছেন।  
বিশদ

22nd  February, 2020
একই বৃন্তে... 

মুসলমান যুবক আলম ভালোবাসে হিন্দু যুবতী সোনালিকে। সোনালির মা বাবা এ সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না। বিয়ে করার আগে অগত্যা সোনালীকে নিয়ে আলম বাংলাদেশে তার নিজের বাড়িতে আসে। আলমের মাও কিন্তু ধর্মের কারণেই মেনে নিতে পারেন না এই সম্পর্ক। সোনালি কিন্তু হাল না ছেড়ে জিতে নেয় আলমের মায়ের মন। 
বিশদ

22nd  February, 2020
একই বৃন্তে... 

মুসলমান যুবক আলম ভালোবাসে হিন্দু যুবতী সোনালিকে। সোনালির মা বাবা এ সম্পর্ক কিছুতেই মেনে নিতে পারেন না। বিয়ে করার আগে অগত্যা সোনালীকে নিয়ে আলম বাংলাদেশে তার নিজের বাড়িতে আসে। আলমের মাও কিন্তু ধর্মের কারণেই মেনে নিতে পারেন না এই সম্পর্ক। সোনালি কিন্তু হাল না ছেড়ে জিতে নেয় আলমের মায়ের মন। 
বিশদ

14th  February, 2020
পঞ্চদশ সাউথ এশিয়ান থিয়েটার ফেস্টিভ্যাল 

আমাদের রাজ্যের মানুষদের মনে একটা ধারণা আছে বিদেশে গিয়ে বুঝি বাঙালিরা নিজেদের কৃষ্টি সংস্কৃতি ভুলে যায়। ধারণাটা পুরোপুরি ভুল না হলেও, এই ধারণার একটা বিপ্রতীপ দিকও আছে। যেখানে দেখা যায় বিদেশে বসবাসকারী বাঙালিরা নিজেদের ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি রক্ষা করার জন্য আপ্রাণ লড়াই যাচ্ছেন। 
বিশদ

14th  February, 2020
মিনার্ভা নাট্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র আয়োজিত
৫ম জাতীয় নাট্য উৎসব 

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে মিনার্ভা নাট্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের পঞ্চম ‘জাতীয় নাট্য উৎসব’। মিনার্ভা থিয়েটার, রবীন্দ্র সদন ও মধুসূদন মঞ্চ, এই তিনটি প্রেক্ষাগৃহে আটদিন ধরে চলবে এই নাট্য উৎসব। আগামীকাল রবীন্দ্র সদনে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় উৎসবের উদ্বোধন।  
বিশদ

14th  February, 2020
প্রেমের ঘেরাটোপে শয়তানের পদচারণা 

আ কনফেশন অব সাইকোফেনিক— আলোচনাটা এভাবে শুরু করা যায়। জালের ঘেরাটোপের মধ্যে শুরু হয় নাটক— বলা ভালো একটি গল্প বলতে থাকা অনাটক এটি। একটি অন্তরঙ্গ ঘরে, কুলকুল জলের শব্দে, জালের মধ্যে গাঢ় বেগুনি আলোয় ভেসে ওঠে কতকগুলি বিমূর্ত হাত।
বিশদ

14th  February, 2020
যুদ্ধের ন্যায় ও ন্যায়ের যুদ্ধ 

ন্যায় কোনটা? আর অন্যায়টাই বা কী? এ নিরূপণ করা খুবই দুরূহ। যুদ্ধের প্রাক্কালে উভয়পক্ষই দাবি করে তাঁরাই ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ করছে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের আগে কৃষ্ণ দাবি করেছিলেন তিনি ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করছেন, তাই পাণ্ডবদের সহায়তা করছেন। কিন্তু কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল সেই দাবি? কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কি সত্যিই ন্যায় রক্ষিত হয়েছিল সদাসর্বদা?
বিশদ

14th  February, 2020
এনএসডি-র আদিরঙ মাতিয়ে দিল দ্বারোন্দা 

ইউক্যালিপটাসের সুউচ্চ গাছগুলোর মাথায় মেঘমুক্ত পশ্চিমাকাশে ধ্রুবতারাটা জ্বলজ্বল করছিল। শেষ লগ্নে এসেও শীত তার দাপট জানান দিচ্ছে তীব্র হিমেল হাওয়ায়। তবু বোলপুরের দ্বারোন্দা গ্রামের মুক্ত প্রান্তরে মানুষের ভিড় কম নয়। চলছে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা (এনএসডি) আয়োজিত ‘আদিরঙ’ অর্থাৎ আদিবাসী রঙ্গোৎসব। 
বিশদ

14th  February, 2020
কাঁকিনাড়ায় নাট্য উৎসব 

গত ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর কাঁকিনাড়ায় দু’দিনের জন্য নাট্য উৎসবের আয়োজন করেছিল ‘কাঁকিনাড়া স্বস্তি নাট্য শিল্পম’। রথতলা রাজলক্ষ্মী বালিকা বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে ওই উৎসবের আয়োজন করা হয়। এবার ছিল চতুর্থ বর্ষ। উৎসবের উদ্বোধন করেন নাট্যকার চন্দন সেন।  
বিশদ

08th  February, 2020
ভারত রঙ্গ মহোৎসবে উপল ভাদুড়ী 

প্রতি বছর ভারত রঙ্গ মহোৎসবের দিকে পাখির চোখ থাকে ভারতবর্ষ সহ কলকাতার নাট্যদলগুলো। কিন্তু বাস্তবে ক’জনেরই বা সেই সৌভাগ্য হয়, এই নাট্যোৎসবে নিজস্ব দলের নাট্য প্রযোজনা মঞ্চস্থ করার! সেই ভাগ্যবানদের মধ্যে অন্যতম ‘দমদম শব্দমুগ্ধ নাট্যকেন্দ্র’। কারণ এবার ২১ তম ভারতরঙ্গ মহোৎসবে স্থান পেয়েছে রাকেশ ঘোষ নির্দেশিত দমদম শব্দমুগ্ধ’র ‘উপল ভাদুড়ী’ নাটকটি। 
বিশদ

08th  February, 2020
মানব মনের গভীরে 

সম্প্রতি ‘দৃষ্টি এখন’ প্রযোজিত পোস্ট মডার্ন অ্যাবসার্ড নাটক ‘দ্য ডার্কনেস ডিগার’ মঞ্চস্থ হল মুক্তাঙ্গন প্রেক্ষাগৃহে অভিষেক দেবরায়ের রচনা ও নির্দেশনায়। নাটকে দুটিমাত্র চরিত্র, সুদীপ (পলাশ হালদার) ও শুভঙ্কর (নাট্যকার-নির্দেশক নিজে)। 
বিশদ

08th  February, 2020
হত্যাকারী কে? 

একটি হত্যা এবং সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘনিয়ে ওঠা রহস্য নিয়ে সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের নাটক ‘আততায়ী’। ‘নান্দীরঙ্গ’র সাম্প্রতিক প্রযোজনা। অলিভার চেজ এবং স্টিইওয়ার্ট বুরকে-এর নাটকের বঙ্গীয়করণ ঘটিয়েছেন নির্দেশক সোমনাথ মুখোপাধ্যায়।  
বিশদ

08th  February, 2020
এত ভঙ্গ বঙ্গদেশ তবু রঙ্গে ভরা 

গুপ্তকবি কবেই এমন কথা বলে গিয়েছিলেন, কিন্তু আজও, এই একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকের শুরুতেও সে কথা অকাট্য হয়েই আছে। এমন এক একটি কাহিনী বাংলা সাহিত্য জুড়ে ছড়িয়ে আছে যেখানে রঙ্গরস উপচে পড়ছে।  
বিশদ

08th  February, 2020

Pages: 12345

একনজরে
বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ। আর সেই আগুনে তিনটি বাড়ি ভস্মীভূত হল। জলের অভাবে আগুন নেভাতে পারলেন না বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভরতপুর থানার গোপালপুর গ্রামে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ...

পুরো দেশে কান ঝালাপালা বিজেপির ‘মোদি কি গ্যারান্টি’র প্রচার। ঢাক পেটানো হচ্ছে ডাবল ইঞ্জিনের। কেন্দ্রে গত ১০ বছর সরকারে নরেন্দ্র মোদি। ঝালোরে গত ২০ বছর ...

শহরজুড়ে ফ্লেক্স-ব্যানার। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ধাক্কায় শহর মুড়েছে প্লাস্টিকের পতাকা এবং আরও কিছু প্লাস্টিকের তৈরি প্রচার সামগ্রীতে। ভোট মিটলে সেগুলির প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যায়। হয়ে ওঠে বর্জ্য। রাস্তার ধারে পড়ে থাকে। ...

কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সোনা চুরির ঘটনা। পুলিসের জালে দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত সহ ৬। গত বছর টরেন্টোর প্রধান বিমানবন্দর থেকে ৪০০ কেজির সোনার বার ও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৪৫১: দিল্লির বাদশাহ আলম শাহ সিংহাসন ছাড়েন
১৭৭০: ক্যাপ্টেন কুক অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেন
১৮৮২: বিবর্তনবাদের স্রষ্টা চার্লস ডারউইনের মৃত্যু
১৮৬৭: ভারতীয় পণ্ডিত ও কলকাতা হিন্দু সমাজের বিশিষ্ট নেতা স্যার রাজা রাধাকান্ত দেব বাহাদুরের মৃত্যু
১৯০৬: নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিজ্ঞানী  পিয়ের ক্যুরির মৃত্যু
১৯০৯: শ্রীরামকৃষ্ণ অনুশাসনের স্বামী লোকেশ্বরানন্দ জন্ম গ্রহণ করেন
১৯৩৩: ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আম্পায়ার ডিকি বার্ডের জন্ম
১৯৪৫: জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সুরেখা সিক্রির জন্ম
১৯৪৮: বাংলা রঙ্গমঞ্চের অভিনেত্রী তারা সুন্দরী প্রয়াত হন  
১৯৫৫: শিকারি ও লেখক জিম করবেটের মৃত্যু
১৯৫৪: পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দু এবং বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়
১৯৫৬: অভিনেতা মুকেশ ঋষির জন্ম  
১৯৫৭: শিল্পপতি মুকেশ আম্বানির জন্ম
১৯৫৮: সাহিত্যিক অনুরূপা দেবীর মৃত্যু
১৯৬৮: অভিনেতা আরশাদ ওয়ারশি’র জন্ম
১৯৭২: ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রিভাল্ডোর জন্ম  
১৯৭৫: ভারত প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট উৎক্ষেপন করে
১৯৭৭: ভারতীয় দীর্ঘ জাম্পার অঞ্জু ববি জর্জের জন্ম
১৯৮৭: রুশ টেনিস খেলোয়াড় মারিয়া শারাপোভার জন্ম  
১৯৯৫: ভারতীয় ক্রিকেটার দীপক হুড্ডার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.০৩ টাকা ৮৪.১২ টাকা
পাউন্ড ১০২.৮৭ টাকা ১০৫.৫০ টাকা
ইউরো ৮৮.০২ টাকা ৯০.৪৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৪,১০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৪,২০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
18th  April, 2024

দিন পঞ্জিকা

৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী ৩৬/৫৮ রাত্রি ৮/৫। মঘা নক্ষত্র ১৪/১০ দিবা ১০/৫৭। সূর্যোদয় ৫/১৬/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৫৪/৪২। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৭ মধ্যে পুনঃ ৭/৪৭ গতে ১০/১৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/১৪ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২৫ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৬ গতে ১১/৩৫ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৬ বৈশাখ, ১৪৩১, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪। একাদশী রাত্রি ৮/৫৬। মঘা নক্ষত্র দিবা ১২/১১। সূর্যোদয় ৫/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ১০/১৫ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৫ মধ্যে ও ৪/২০ গতে ৫/৫৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩২ গতে ৯/০ মধ্যে ও ২/৫০ গতে ৩/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৭ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৫/১৬ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৭ গতে ১১/৩৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৬ গতে ১০/১২ মধ্যে। 
৯ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: চেন্নাইকে ৮ উইকেটে হারাল লখনউ

11:30:00 PM

আইপিএল: ৮২ রানে আউট কেএল রাহুল, লখনউ ১৬১/২ (১৭.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

11:15:12 PM

আইপিএল: ৫৪ রানে আউট কুইন্টন ডিকক, লখনউ ১৩৪/১ (১৫ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:57:07 PM

আইপিএল: ৪১ বলে হাফসেঞ্চুরি ডিককের, লখনউ ১২৩/০ (১৪.১ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:53:44 PM

আইপিএল: ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি কেএল রাহুলের, লখনউ ৯৮/০ (১০.৪ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:34:00 PM

আইপিএল: লখনউ ৫৪/০ (৬ ওভার), টার্গেট ১৭৭

10:13:07 PM