Bartaman Patrika
আমরা মেয়েরা
 

দশ কাজে জেরবার দশভুজা

এখন মাল্টিটাস্কিং-এর যুগ। সব নিখুঁতভাবে করতে হবে। কিন্তু এত চাপ সামলাবেন কীভাবে?
 
নারী মানেই যেন দশভুজা। বাস্তব জীবনে তাঁর দশ হাত না থাকলেও অধিকাংশ নারী সারাদিন ধরে কাজের যে ফিরিস্তি নিয়ে ঘোরেন, তাতে অনেক ক্ষেত্রেই দু’হাত যথেষ্ট নয়। আধুনিক পরিভাষায় এর নাম ‘মাল্টিটাস্কিং’। একসঙ্গে বহু কাজ দক্ষভাবে সামলে দেওয়া। এই গুণমহিমা নারীদের মধ্যে একটু বেশিই আছে বলে একটা ধারণা তৈরি করা হয়েছে আমাদের সমাজে। আর তাই একশো কাজের ঝামেলা নিয়ে হিমশিম খেতে খেতেও নারীকে প্রমাণ দিতে হয় যে সে দশভুজারই নামান্তর।   

 মহিলাকেন্দ্রিক/ পুরুষকেন্দ্রিক দুই সত্তা
মেয়েদের একার ঘাড়েই সব দায়িত্ব— এই ভাবনাটা অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় মেয়েরাও বিশ্বাস করেন। আর সেই কারণেই প্রত্যাশা পূরণের একটা অসম্ভব চাপ তাঁদের মাথায় চেপে বসে। সেটা না পারলে তখন হতাশা আসে বা অন্য কেউ সেটা নিয়ে সমালোচনা করলেও মনে তার প্রভাব পড়ে। বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছিল সাইকোথেরাপিস্ট রাখি সেনগুপ্তর সঙ্গে। একেবারে আলাদা জায়গা থেকে বিষয়টিতে আলোকপাত করলেন তিনি। জানালেন, ফ্রয়েড-এর অনুগামী কার্ল ইয়ুং-এর কথায় আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে ফেমিনাইন এবং মাস্কুলিন— দু’টি এনার্জিই থাকে। সাইকোথেরাপিস্ট হিসেবে রাখি চেষ্টা করেন, এই দুই এনার্জির মধ্যে একটা ভারসাম্য খোঁজার। তিনি বললেন, সমাজ বা সংস্কৃতি আমাদের কিছু ভূমিকা ঠিক করে দেয়। সেই হিসেবে ফেমিনাইন কোয়ালিটি বা মহিলাকেন্দ্রিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আসে কেয়ার বা যত্ন করা, পাশে থাকা। মাস্কুলিন বা পুরুষকেন্দ্রিক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে থাকে রোজগার, নিরাপত্তা দেওয়া, দৃঢ়ভাব, কিছু ক্ষেত্রে বাউন্ডারি তৈরি করা। প্রয়োজনে এই দুই ভূমিকার ক্রমশ আদানপ্রদান হতে থাকে। একজন পুরুষ হয়তো পরিবারের দরকারে একজন ‘মহিলার দায়িত্ব’ পালন করছেন, আবার কোনও মহিলা একইভাবে পরিবারের পাশে থাকতে ‘পুরুষের দায়িত্ব’ পালন করছেন। এই দুই এনার্জির মধ্যে ভারসাম্য খুঁজতেই হবে।

 একা হাতে একশো কাজ
এবার মাল্টিটাস্কিং করার দিকে নজর ফেরানো যাক। কেন এত কাজ আমার জন্যই বা আমাকেই করতে হয়? এ প্রশ্ন সবার মনেই আসে। কিন্তু এখানে কাজকে দায়ী করার কোনও জায়গা নেই, বললেন রাখি। তাঁর মতে, যে মানুষটি কাজ করছেন, তাঁর কিছু অনুভূতি, আচরণগত গতিবিধি এখানে কার্যকর হচ্ছে। আমরা অন্য কাউকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না, তাই কাউকে দোষ দিয়ে কোনও লাভ নেই। যে মুহূর্তে আপনি ‘ব্লেম’ করা শুরু করলেন, তখনই আপনি একটা লুপ-এর বা বৃত্তের মধ্যে গোল গোল ঘুরতে থাকবেন। তার বাইরে নিজেকে দেখতে পাবেন না। দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে ব্যক্তিকেই বুঝতে হবে যে সে কীভাবে গোটা ব্যাপারটা সামলাবে। মাল্টিটাস্কিং আগেও ছিল। এখনও আছে। আগে ঘরের মধ্যেও মহিলাদের কাজের কোনও হিসেব থাকত না। তাঁরা গুছিয়ে নিজের মতো সব করতেন। এর মধ্যে একটা বিষয় জরুরি। কাজের পাহাড় সামাল দিতে গিয়েও নিজের জন্য, নিজের ভালোলাগার জন্য কিছুটা সময় তাঁরা ঠিক বের করে নিতেন। যেমন দেখা যেত, দুপুরবেলা খাওয়াদাওয়া কাজকর্ম সারার পরে শীতের রোদে বসে সবাই মিলে গল্প করা। তারই ফাঁকে সেলাই। কারও কাগজ পড়া। গল্পে গল্পে মনের কথা ভাগ করে নেওয়া। এগুলো এক ধরনের ‘সেলফ কেয়ার’ বলা যেতে পারে। সারা দিনের পর বিকেল বা সন্ধেয় গা ধুয়ে সাফসুতরো হয়ে বাকি কাজে মন দেওয়ার চল থাকত। তারপর বিশ্রাম। কাজের ফাঁকেই নিজের জন্য সময় খুঁজে নেওয়া এই আর কি।

 নিজের যত্ন
থেরাপিস্ট হিসেবে রাখি সবাইকে একটা কথা মনে করান— নারী-পুরুষ নির্বিশেষে নিজের প্রতি যত্ন এবং নিজের মতো করে কিছু বাউন্ডারি বা সীমানা তৈরি করা, এই দু’টি দিকে নজর দিতে হবে। যখন একজন মহিলাকে অনেক কাজ একসঙ্গে করতে হচ্ছে, সেখানে সে তার ফেমিনাইন এনার্জি ব্যবহার করছে। সে অফিসে কাজের পর বাড়িতে ‘কেয়ারগিভার’। পরিবারের সবরকম দেখভাল করতে গিয়ে তার নিজের প্রয়োজনগুলো চলে যাচ্ছে পিছনের সারিতে। বাচ্চার দেখাশোনা, বাবা-মায়ের দায়িত্ব, শ্বশুরবাড়ির কর্তব্য, বাড়ির কাজ, স্বামীর প্রতি মনোযোগ সব সামলাচ্ছে। অন্যের প্রয়োজন সবসময় প্রায়োরিটি পাচ্ছে। এখন ছবিটা অনেক বদলে গিয়েছে। কিন্তু তাও প্রচুর কাজের দায়িত্ব একজন মহিলার উপর থাকছে। এবার সেই ব্যক্তিমানুষটি কীভাবে সবটা দেখভাল করবে, সেটা অনেকাংশে তার উপরেই নির্ভরশীল। আত্মত্যাগ, নিজের সব ভুলে সবসময় অন্যের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়া ইত্যাদি করতে করতে নিজের সময় হারিয়ে গিয়ে যেটা হয়, যে একসময় অন্যদেরই হতাশা থেকে দোষারোপ করতে শুরু করে সেই ব্যক্তিমানুষ। খেয়াল করলে দেখা যাবে, সবসময় কেউ বলেকয়ে তার ঘাড়ে হয়তো দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়নি। অন্যদের জন্য করছি, ভালো। কিন্তু নিজের খেয়ালও রাখব। দায়িত্ব যদি এসেও পড়ে অন্যকে দোষারোপ করব না।

 সামলানোর পথ   
কীভাবে নিজের যত্ন এবং পাশাপাশি বাকিদের দেখাশোনা একসঙ্গে সম্ভব? রাখি জানালেন, ‘অনেকের মাথায় কাজ করে, লোকে আমাকে কী বলবে? বাবা-মায়ের দায়িত্ব অবশ্যই পালন করবেন। কিন্তু নিজের খেয়ালটাও রাখতে হবে। আমি এক পেশেন্টের কথা জানি, তার বাবার অযৌক্তিক চাহিদা দিনে দিনে বেড়েই চলছিল। উনি ভয় দেখান, অফিসে সবাইকে বলে দেবেন যে তাঁর সন্তান বাবার দেখাশোনা ঠিকমতো করে না। এবার সেই ক্লায়েন্ট ফতুর হয়ে যাচ্ছে অন্যায্য দাবি মেটাতে গিয়ে। তাকে ভয় তাড়া করছে। লোকে তাকে খারাপ ভাববে। সে জানে না সীমারেখা কোথায় টানতে হবে। পরিস্থিতি এমন হলে নিজের দিকে গুরুত্ব দিয়ে আর্থিক পরিকল্পনা করতে হবে। বাচ্চা হোক বা বড়— কারও অযৌক্তিক দাবি মানব না, এই সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। নিজেকে অ্যাসার্ট করতে হবে। দায়িত্ব এড়ানো নয়, দায়িত্ব পালন করেও নিজেকে যত্ন করে চলার অভ্যাস তৈরি করতে হবে। সময় লাগবে, কিন্তু সেটাই একমাত্র উপায়।
সাইকোথেরাপিস্ট পরামর্শ দিলেন, ধরা যাক কর্মরতা মা সারাদিন অফিসের পর বাড়ি ফিরলেন। বাড়ি ফিরতেই বাচ্চা তার কাছে যেতে চাইবে। তার হয়তো সেই মুহূর্তে অসম্ভব ক্লান্ত লাগছে। ছোট বাচ্চাকে বোঝানো সম্ভব নয়, কিন্তু বাচ্চা যত বড় হবে ধীরে ধীরে তাকে বোঝাতে হবে বাইরে থেকে এসে মায়ের একটু সময় লাগবে। মা ফ্রেশ হয়ে আসবে। তারপর কথাবার্তা। এই ধরনের ছোট ছোট কিছু অভ্যাস তৈরি করতে হবে প্রথম থেকে। সেটা পরবর্তীকালে মায়েরই স্পেস তৈরি করবে। বাড়ির বাকিদেরও সেটা বোঝাতে হবে— মা এসে পরে কথা বলবে, একসঙ্গে খাবে, পাশে শুয়ে গল্প শোনাবে, সবই হবে। নিজের জন্য কিছু সময় চেয়ে নিলে মায়ের মনে যেন কোনও অপরাধবোধ বা গিল্ট তৈরি না হয়। এই চেষ্টাটা সেই ব্যক্তিমানুষটির তরফেই প্রয়োজন। 
বাচ্চা কেন পরিচারিকা বা আয়ার কাছে রয়েছে, তা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য বাড়ির লোক যদি করেন, সেটাও বাচ্চার কাছে মা সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করে দেয়। এই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য মাকে আগে থেকে রাশ টানতে হবে বাড়ির লোকের অভ্যাসে। এটাও এক ধরনের প্রতিরোধ। নিজের সুস্থতা বজায় রাখার মধ্যে কোনও অপরাধ নেই। বাড়ি এসে বাচ্চার সঙ্গে কাটানোর মুহূর্তের আগে পর্যন্ত আমার নিজের একটু সময় চাই— এটা মাকে মানতে হবে নিজের জন্যই।
এর পাশাপাশি দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। আমি কারও মা, দিদি, স্ত্রী বা আরও  নানা কিছু। সব আমার ঘাড়েই দায়িত্ব— কখনও নয়। এখানেই 
দায়িত্ব ভাগ নেওয়ার প্রসঙ্গ আসবে। নিজের মানসিক এবং শারীরিক যত্ন নিতে হবে। রাগ দুঃখ বাদ দিয়ে জীবন নয়। রাখি জানালেন, আজকাল একটা চালু কথা— ‘টক্সিক পজিটিভিটি।’ অর্থাৎ যাই ঘটুক না কেন, আমায় পজিটিভ থাকতে হবে। সবসময় পজিটিভি ভাবো, পজিটিভ থাকো। কেন? 

 সবসময় পজিটিভ?
রাখি জানাচ্ছেন, এই ভাবনাটা কখনও স্বাভাবিক নয়। জীবনের নানা আবেগ যেমন রাগ দুঃখ আনন্দ ঘৃণা, সবই থাকবে। রাগ হল, কিন্তু আমি সেটাকে ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠলাম। এটা হল আবেগের স্বীকৃতি। যা আমার মনের ভেতরে চলছে, তাকে আমি স্বীকৃতি দিয়েই পেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলাম।  তাহলেই নিজের যত্ন নেওয়া সম্ভব। কিছুটা স্পিরিচুয়াল হেল্প নিতে পারেন। এছাড়া উপায় হল জার্নাল লিখে রাখা। এই লেখার মধ্যে কোনও ‘ঠিক-ভুল’ নেই। যা মনে হবে, তাই লিখে রাখা। নিজের জন্য। এটা কারও সঙ্গে শেয়ার করার জন্য নয়। লিখে ফেললে মাথা হালকা হয়ে গেল। একমাস বাদে সেটা পড়লে আমারই বুঝতে সুবিধা হবে, আমার প্যাটার্নটা কীরকম? আমি কী চাই? সেইমতো আমি এগব। এর সঙ্গে মেডিটেশন বা ব্রিদিং এক্সারসাইজ-ও খুব কাজে দেয়। 
কেউ ধরুন হতাশায় ভুগছেন। থেরাপিস্টের কাছে গেলেন বা নিজের বোঝার চেষ্টা করলেন, নিজের ভিতরে কী কী জমে আছে। মেডিটেশনে বোঝার চেষ্টা করলেন, কী কী ধরনের জটিলতা রয়েছে। রাখি বোঝালেন, একে কার্ল ইয়ুং-এর ভাষায় বলা যায়, নিজের অন্ধকার ছায়াচ্ছন্ন ভাবটিকেও (‘ডার্ক শ্যাডো’) মেনে নেওয়া। এরপরেই আসে ইতিবাচক মনোভাব। জমে থাকা আবেগ বেরিয়ে আসে ব্রিদ ওয়ার্কের মাধ্যমে। তাঁর কথায়, ‘ডার্ক শ্যাডো বের করে দিচ্ছি। ইনহেল করছি পজিটিভিটি।’ কেউ যদি ব্লগ লিখতে চান, সেটা করুন। মনের সব ক্ষোভ, রাগ উগরে দিন। লিখতে লিখতে তিনি আসলে নিজেকেই সাহায্য করছেন। ধীরে ধীরে তাঁর সৃষ্টিশীলতাও বাড়ে। 

 কাজের হতাশা
কাজের জায়গায় সামলে ওঠা আর একটি বিষয়। কাজ বা চাকরির জায়গায় যদি কোনও ক্ষোভ হতাশা জন্মে থাকে, সেটা নিয়ে বাড়ি ফেরা বা উল্টো দিক থেকে বাড়ির নানা চাপ মাথায় নিয়ে অফিস করা— এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা অনেকেই হই। রাখি বলেন, ধরা যাক কারও সঙ্গে বস খারাপ ব্যবহার করছে, বা ইউনিয়ন পিছনে পড়েছে। ক্রমেশ দেখা যায় সে একটি ব্লেমিং চক্রের শিকার হচ্ছে। এক্ষেত্রে করণীয় কী? তার মানে সবাই ভুল আমি ঠিক, এটা ধরে এগলে চলবে না। আমাকে নিজের জায়গাটা বুঝে কথা বলতে হবে। এক্ষেত্রেও বাউন্ডারি থাকা দরকার। নিজের জায়গাটা বুঝিয়ে বলাও দরকার। কখনও কোনও বিষয়ে অন্যায়ের শিকার হচ্ছি মনে হলে খোলাখুলি কথা বলুন, কিন্তু কাউকে আক্রমণ করে নয়। 
এমন ছোট ছোট কিছু বিষয় দৈনন্দিন জীবনে মাথায় রাখলে কাজের বোঝা মাথায় চেপে বসবে না। পদ্ধতিগত কৌশলেই সামলে উঠবেন অনেকটা। 
অন্বেষা দত্ত
04th  January, 2025
বাঁধা গতের বাইরে চাকরির সুযোগ: ডিজিটাল মার্কেটিং

চলতি বিষয় না পড়লে চাকরি বা আয়ের সুযোগ কেমন? তা নিয়েই চলছে এই বিভাগ। মতামত জানালেন বিশেষজ্ঞরা।  বিশদ

04th  January, 2025
পাঁচমারিতে সম্পূর্ণ মহিলাচালিত হোটেল

একটু অলস ছুটি কাটাতে চাইলে মধ্যপ্রদেশের পাঁচমারি হতেই পরে আপনার আদর্শ ঠিকানা। এখানে পাহাড়, প্রকৃতি, ভিউ পয়েন্ট সবই পাবেন। আবহাওয়া এখানে সারা বছরই ভালো থাকে। ফলে শীত বা গ্রীষ্ম, সব ছুটিতেই বেড়ানোর জন্য অনবদ্য পাঁচমারি। বিশদ

04th  January, 2025
সোলো ট্রাভেলারদের পাল্লা ভারী

বন্ধু নাকি পরিবার, কাদের সঙ্গে বেড়াতে যেতে পছন্দ করেন আপনি? যে দলেই আপনার ভোট পড়ুক না কেন, ২০২৫-এ মহিলাদের মধ্যে সোলো ট্রাভেলারদের দিকেই পাল্লা ভারী। সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে ট্যুরিজম মার্কেটের একটি গবেষণা থেকে এমন তথ্যই উঠে আসছে। বিশদ

04th  January, 2025
নববর্ষে শপথ নেওয়া হয় ভাঙার জন্যই

আর মাত্র কয়েকটা দিন পরেই আবার নতুন একটা বছর শুরু হতে চলেছে। প্রতিবারই নববর্ষের আগমন উপলক্ষ্যে সকলের হৃদয়ে নানা আশা, উদ্দীপনা। বছরের বাকি দিনগুলোর থেকে প্রত্যক্ষ পার্থক্য না থাকা সত্ত্বেও নিজেদের মনের অনুভূতিকে গুরুত্ব দিয়ে নিজেদের উন্নত জীবনযাত্রার স্বার্থে নানা শপথ গ্রহণ করি। বিশদ

28th  December, 2024
জগদ্বন্ধুর রেজোলিউশন 

উফ!’ ঘুমের মধ্যে কঁকিয়ে উঠল হেড অফিসের বড়বাবু জগদ্বন্ধু। সেই চিৎকারে ঘুম ভেঙে গেল গীতার। ‘আ মোলো যাঃ! এই বয়সে ঘুমের মধ্যে কী এমন স্বপ্ন দেখলে যে কঁকিয়ে উঠছ?’  বিশদ

28th  December, 2024
বাংলার প্রাণখোলা আন্তরিকতায় মুগ্ধ ক্যাথি

মাস চারেক আগে কলকাতার মার্কিন কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন ক্যাথি জাইলস-ডিয়াজ। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, সিকিম সহ উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্যের ভার তাঁর কাঁধে। একান্ত আলাপচারিতা ‘বর্তমান’-এর সঙ্গে।
বিশদ

28th  December, 2024
ঐতিহ্যের আদিবাসী উৎসব আয়োজনে টিএসএফ

দেশের প্রান্তিক ও প্রাচীন জনগোষ্ঠীকে এক ছাতার নীচে এনে তাদের উন্নয়নের পথ আরও প্রশস্ত করাই লক্ষ্য টাটা স্টিল ফাউন্ডেশন-এর। গত নভেম্বরে পাঁচ দিন ব্যাপী ছিল তারই উদযাপন।
বিশদ

21st  December, 2024
বাঁধা গতের বাইরে চাকরির সুযোগ, ট্রাভেল কনসালট্যান্ট

চলতি বিষয় না পড়লে চাকরি বা আয়ের সুযোগ কেমন? তা নিয়েই চলছে এই বিভাগ। মতামত জানালেন বিশেষজ্ঞেরা।  বিশদ

14th  December, 2024
শহরে আর শীত পড়ে না!

নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমছে, কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ছে। জলাভূমি, খাল, নদী ভরাট করার ফলে জলচক্রে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। প্লাস্টিক, আবর্জনা ইত্যাদি ফেলায় তা জলভাগের উপরে ভাসছে ফলে জল বাষ্প হয়ে উপরে যেতে পারে না। বিশদ

14th  December, 2024
ডায়েট ও এক্সারসাইজ ছাড়াই কমল ১৯ কেজি! ভাইরাল ভিডিও

কোনও কঠিন ডায়েট নয়, রুটিনে নেই কঠোর এক্সারসাইজ। তাতেও ওজন কমেছে ১৯ কেজি! এক অস্ট্রেলিয়ান মহিলার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল! বিশদ

14th  December, 2024
চালক ও সওয়ারি দুই আসনেই নারী

চালকের আসনে নারীবাহিনী। সওয়ারিও হবেন মহিলারাই। বেঙ্গালুরুতে অ্যাপ ক্যাব সংস্থা উবের মহিলাদের জন্য এমন অভিনব উবের মোটো লঞ্চ করল। প্রাথমিকভাবে ২৫০ জন মহিলা উবের চালককে নিয়ে শুরু হল এই নতুন উদ্যোগ। বিশদ

14th  December, 2024
মানবাধিকার রক্ষায় উদ্যোগ

রাতে যদি আপনার প্রতিবেশীর ঘরে চিৎকার শুনতে পান, আপনি কি চুপ করে থাকেন? স্কুলের কোনও শিশু হিংসাত্মক ঘটনার শিকার হলে আপনি কি নিষ্ক্রিয় দর্শকের মতো তাকিয়ে থাকেন? বিশদ

14th  December, 2024
বদল আসুক বিয়ের রীতিতে

একটা সময় ছিল যখন হিন্দুশাস্ত্রে বাল্যবিবাহের প্রচলন ছিল। মেয়েদের বাচ্চাবেলায়, যখন তাদের পুতুল খেলার বয়স, তখনই বিয়ে দেওয়া হতো। সেই সময় কন্যা সম্প্রদানের প্রথাটি চালু হয়।
বিশদ

07th  December, 2024
বিয়ের পর নতুন পরিবারে  মানিয়ে নেওয়ার উপায়

বিয়ে দু’জন মানুষের নয়। বিয়েতে আসলে দুই পরিবারের সম্পর্ক তৈরি হয়। আজন্মের চেনা গৃহকোণ ছেড়ে মেয়ে যায় শ্বশুরবাড়ি। নতুন পরিবারে নতুন মানুষদের সঙ্গে মানিয়ে সংসার শুরু করে সে। আবার এখন বহু দম্পতি আলাদা বাড়িতে থাকেন বিয়ের পর থেকেই।
বিশদ

07th  December, 2024
একনজরে
লালসার শিকার বানাতে শিশু ও মেয়েদের প্রস্তুত করছে একদল পাকিস্তানি যুবক। দীর্ঘদিন ধরে ব্রিটেনে এ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ উঠে আসছে। তবুও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন। এবার জাতীয় স্তরে তদন্তের আর্জি জানাল হিন্দু কাউন্সিল ইউকে। ...

গতবছর দেশজুড়ে গাড়ি বিক্রির হার ২০২৩ সালের তুলনায় সার্বিকভাবে ৯ শতাংশ বেড়েছে। এই সাফল্যে বড় ভূমিকা নিয়েছে দু’চাকার গাড়ি। এই দাবি করেছে গাড়ি বিক্রেতাদের সংগঠন ...

১৯ জানুয়ারি হতে চলেছে ‘দ্য স্টেটসম্যান ভিন্টেজ অ্যান্ড ক্লাসিক কার র‌্যালি’। এবার এই র‌্যালি ৫৪ বছরে পা দিল। নতুন প্রজন্মের কাছে প্রাচীন গাড়িগুলির ইতিহাস তুলে ...

আরামবাগে মোবাইলের দোকান থেকে কয়েক লক্ষ টাকার সামগ্রী চুরির ঘটনায় জড়িত বসিরহাট গ্যাং। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে এবং সূত্র মারফত পুলিস ওই গ্যাংয়ের এক সদস্যকে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১০২৫: সোমনাথ মন্দির ধ্বংস করলেন সুলতান মামুদ
১৩২৪:  ভেনিসিয় পর্যটক ও বনিক মার্কো পোলোর মৃত্যু
১৬৪২: বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর মৃত্যু
১৮০৬: ব্রিটেন উত্তমাশা অন্তরীপ দখল করে নেয়
১৮৬৭: আফ্রিকান আমেরিকানরা ভোটাধিকার লাভ করে
১৮৮৪: সমাজ সংস্কারক ব্রহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেনের মৃত্যু
১৯০৯: সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর জন্ম
১৯২৬: বাদশা হোসেন বহিষ্কার। ইবনে সাউদ হেজাজের নতুন বাদশা। দেশের (হেজাজ) নাম পরিবর্তন করে সৌদি আরব করা হয়।
১৯২৬:  কিংবদন্তি ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী তথা ওড়িশি নৃত্যের জন্মদাতা কেলুচরণ মহাপাত্রের জন্ম 
১৯৩৫: প্রবাদপ্রতিম অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবীর জন্ম
১৯৩৫: মার্কিন গায়ক এলভিস প্রেসলির জন্ম
১৯৩৯: অভিনেত্রী নন্দার জন্ম
১৯৪১: ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দের প্রয়াণ
১৯৪২: ইংরেজ পদার্থবিদ স্টিফেন হকিংয়ের জন্ম
১৯৫৭: অভিনেত্রী নাফিসা আলির জন্ম
১৯৬৩: প্রথমবারের মতো লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির বিখ্যাত পেইন্টিং ‘মোনালিসা’ আমেরিকার ন্যাশনাল গ্যালারী অব আর্টে প্রদর্শন
১৯৬৫: অভিনেতা দেবশঙ্কর হালদারের জন্ম
১৯৬৬: বিশিষ্ট চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক বিমল রায়ের মৃত্যু
১৯৮৪: প্রথম ভারতীয় মহিলা পাইলট সুষমা মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৯৯০: অভিনেত্রী নুসরত জাহানের জন্ম

08th  January, 2025


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.৯৮ টাকা ৮৬.৭২ টাকা
পাউন্ড ১০৫.৩২ টাকা ১০৯.০৫ টাকা
ইউরো ৮৭.১৯ টাকা ৯০.৫৪ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৭,৫০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৭,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৪,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৯,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৯,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী ১৫ দিবা ১২/২৩। ভরণী নক্ষত্র ২১/২৫ দিবা ৩/৭। সূর্যোদয় ৬/২২/৪২, সূর্যাস্ত ৫/৪/৪৬। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে পুনঃ ১২/১০ গতে ৩/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/২৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪৪ গতে ১/২৩ মধ্যে।
২৪ পৌষ, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫। দশমী দিবা ১১/৪৬। ভরণী নক্ষত্র দিবা ২/৫০। সূর্যোদয় ৬/২৫, সূর্যাস্ত ৫/৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫০ মধ্যে ও ১/৩১ গতে ২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৮ গতে ৯/৩১ মধ্যে ও ১২/১১ গতে ৩/৪৪ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২৫ মধ্যে। কালবেলা ২/২৫ গতে ৫/৫ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৫ গতে ১/২৫ মধ্যে। 
৮ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল: চেন্নাই-ওড়িশা ম্যাচ ড্র, স্কোর ২-২

10:42:12 PM

বিনোদন জগতে শোকের ছায়া, প্রয়াত জনপ্রিয় মালায়লাম গায়ক পি জয়চন্দ্রন

10:39:00 PM

অস্ট্রেলিয়া সফর সেরে বিশাখাপত্তনামের এয়ারপোর্টে নামতেই নীতিশ কুমার রেড্ডিকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ভক্তদের

10:27:00 PM

জোকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল একাধিক ঝুপড়ি
ভরসন্ধ্যায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড! জোকার কাছে ডায়মন্ড হারবার রোডের ধারে আগুন ...বিশদ

10:11:11 PM

উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় সরযূ নদীর ঘাটে শুরু সন্ধ্যা আরতি

10:00:00 PM

দিল্লিতে মানসরোবর পার্ক মেট্রো স্টেশনের কাছে আগুন, মৃত ১
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিধ্বংসী আগুন লাগল দিল্লির মানসরোবর পার্ক মেট্রো স্টেশনের ...বিশদ

09:58:11 PM