Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। একটা শেষ হলে আর একটা। বাড়িতে টাকা পাঠিয়েও হাতে কিছুটা থাকে। ১০০ দিনের কাজ যতদিন পুরোদমে চলছিল, বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়নি আতাউরের। কিন্তু গত দেড় বছর সেটাও বন্ধ। মোদি নাকি বন্ধ করে দিয়েছেন। ওই কাজের কিছু টাকা পেতেন আতাউর। অনেকদিন আটকে থাকার পর হঠাৎ অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। শুনেছেন মমতাদিদি দিয়েছেন। ওই টাকা দিয়েই বাড়ির জন্য জামা-কাপড় কিনে ডোমকলের বাড়িতে ফিরেছেন। ঈদের ছুটিতে। ভেবেছিলেন পরব মিটলেই ফিরে যাবেন। কিন্তু যাননি। পার্টিই বলল থেকে যেতে। এই ক’দিনের জন্য কিছু টাকা দিয়ে দেবে। বাড়িতে বসে যদি খানিক রোজগার আর খাই-খরচা নিশ্চিত হয়ে যায়, মন্দ কী! আতাউর তাই ঠিক করেছেন, ভোটটা দিয়েই ফিরবেন। আর তো মাত্র কটা দিন। তবে শুধু আতাউর নন, বহু পরিযায়ী শ্রমিক এখন বসে আছেন ভোটেরই অপেক্ষায়। 
ডোমকল পড়ছে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। তবে শুধু এই একটি আসন নয়, তৃতীয় দফায় রাজ্যের যে চারটি কেন্দ্রে ভোট... তার প্রত্যেকটিতে পরিযায়ী শ্রমিকরা একটা বড় ফ্যাক্টর। রাজ্যে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। মুর্শিদাবাদ, মালদহেই সিংহভাগ। এছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা তো রয়েইছে। কেউ রাজমিস্ত্রি, কেউ জোগাড়ের কাজ করেন, কেউ জরিশিল্পী, কেউ গয়না, আবার কেউ আসবাব। ভোট এলেই এই শ্রেণিকে নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির তৎপরতা বেড়ে যায়। তার উপর এবার মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর, মালদহ উত্তর ও মালদহ দক্ষিণে ভোট একইসঙ্গে। প্রত্যেকটি দলই জানে, এই অংশটা একটা কেন্দ্রের ফলাফলের মেরু বদলে দিতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, ৪০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যের খাতায় নথিভুক্ত। সংখ্যাটা আসলে আরও বেশি। যেমন মুর্শিদাবাদেই সাড়ে ছ’লক্ষ এমন শ্রমিক খাতায়-কলমে রয়েছেন। নথিভুক্তির অপেক্ষায় আছেন আরও আড়াই লক্ষ। বেশিরভাগ সংখ্যালঘু এবং এই ভোটব্যাঙ্ক তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খানের তুরুপের তাস। তবে এই বাগানে কাঁটা কি নেই? সেও আছে। বাম-কংগ্রেস জোটপ্রার্থী মহম্মদ সেলিম। পরিযায়ী শ্রমিকদের মতো পরিযায়ী প্রার্থী। প্রতি ভোটেই প্রায় কেন্দ্র বদল করেন তিনি। গতবার রায়গঞ্জে ছিলেন। এবার মুর্শিদাবাদে পৌঁছেছেন বেশ অঙ্ক কষে। গত লোকসভা নির্বাচনে আবু তাহের খান এখানে জিতেছিলেন ২ লক্ষ ২৬ হাজার ভোটে। দ্বিতীয় ছিল কংগ্রেস, তৃতীয় স্থানে বিজেপি, আর চতুর্থ সিপিএম। সেলিম সাহেব অঙ্ক কষেছেন, কংগ্রেস ও সিপিএমের ভোট এক করতে পারলে অসুস্থ আবু তাহেরকে টেক্কা দেওয়া সম্ভব। তার উপর যদি সংখ্যালঘু ভোট একটু বেশি টানা যায়, কেল্লাফতে। তবে প্রশ্ন হল, এতকিছুর পরও কি ২ লক্ষ ২৬ হাজারের মার্জিন টপকে যাওয়া সম্ভব? আবু তাহের সাহেবের কিন্তু এলাকায় জনপ্রিয়তা আছে। আর আছে তৃণমূল সরকারের পরিষেবা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, বার্ধক্যভাতা, পরিযায়ীদের জন্য পরিষেবা... সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া কঠিন। বেশ কিছু বাম-কংগ্রেস জোটের পঞ্চায়েত, রাজ্য সম্পাদকের জন্য গোটা সিপিএমের ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো ফ্যাক্টর তৃণমূলকে বেগ দেবে ঠিকই, কিন্তু তাতেও বিরোধীদের সেফ সিট হয়ে যাবে না মুর্শিদাবাদ। বিজেপি প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষকে তিন নম্বরে রেখে রাজনীতির কারবারিরা এখন থেকেই হিসেব শুরু করেছেন। কেন তাঁদের কাছে এখনও পাল্লা ভারী তৃণমূলের? মোক্ষম একটা কারণ রয়েছে—এককালে সিপিএমের হাতে মার খাওয়া কংগ্রেস কর্মীরা সেলিম সাহেবকে ঢেলে ভোট দেবেন তো? আর এই সংশয় বাম-কংগ্রেস জোটের অন্দরেই। এখন পর্যন্ত যা ছবি, তাতে রানিনগর ও ডোমকল কেন্দ্রে সিপিএম ভোট টানতে পারে। হাওয়া বলছে, একুশের ভোটের তুলনায় রানিনগরে তৃণমূলের লিড কমবে অনেকটা। বরং মমতা বাহিনীকে ডিভিডেন্ড দেবে মুর্শিদাবাদ, ভগবানগোলা, করিমপুর। জলঙ্গি এলাকা এখনও ৫০/৫০ রয়েছে। তবে নিয়ামত শেখ যেভাবে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছেন, হরিহরপাড়ায় তৃণমূলের লিড হিংসে করার মতো হতেই পারে। 
পাশের কেন্দ্র জঙ্গিপুরেও কিন্তু ঈর্ষণীয় অ্যাডভান্টেজ তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের। তিনি সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখে চলেন, বিপদে-আপদে এলাকার মানুষ তাঁকে পাশে পায়, আর হাতেগোনা কয়েকজন নেতা কাঁকড়ার চরিত্র ধার করে পিছন থেকে তাঁকে টানার চেষ্টা করলেও তিনি পাত্তা দেন না। সোজা কথায় জঙ্গিপুরের জেলা সাংগঠনিক সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে দূরে থাকেন খলিলুর সাহেব। বিরল ঘটনা এবং এটাই তাঁর শক্তি। আরও একটি কারণে তাঁর পায়ের নীচের মাটি শক্ত। তিনি প্রথম সারির বিড়ি ব্যবসায়ী। হাজার হাজার মানুষ তাঁর ব্যবসায় জড়িয়ে আছেন। খলিলুর সাহেবের ঝুলিতে যে তাঁদের ভোট যাবেই, সে ব্যাপারে সন্দেহের কোনও জায়গা নেই। একই ব্যবসায় প্রভাবশালী নেতা অবশ্য জঙ্গিপুরের আরও একজন আছেন—জাকির হোসেন। খলিলুর রহমানকে প্রার্থী করায় প্রথমদিকে তাঁর ক্ষোভ খানিকটা প্রকাশ্যেই এসে গিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেকের হস্তক্ষেপের পর তাতে কিছুটা বালি পড়েছে। তবে তাঁর ‘টিম’ কতটা আন্তরিকভাবে কাজ করছে, সেটা বোঝা যাবে জঙ্গিপুর বিধানসভা এলাকার ভোটবাক্স খুললে। জাকির হোসেন পাশে থাকলে এই এলাকায় তৃণমূলের লিড পাওয়া নিশ্চিত। এছাড়া লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ, খড়গ্রামেও অ্যাডভান্টেজ রয়েছে খলিলুর সাহেবের। দাঁড়িপাল্লায় সমানে সমানে রয়েছে বরং নবগ্রাম। এখানে ৮ শতাংশ আদিবাসী ভোট। সংখ্যার হিসেবে ১৬ হাজার। এই অংশটাই নবগ্রামে তৃণমূলের লিড নেওয়ার ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। আর থাকল সাগরদিঘি। বায়রন বিশ্বাস কংগ্রেসের টিকিটে জেতার পর তৃণমূলে চলে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে খানিক বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়েছে। এই বাধা কাটানোটা আপাতত একটা বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের। তবে একটা ব্যাপার নিশ্চিত, জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে রাজ্যের শাসক দল মোটেও টেনশনে নেই। খলিলুর সাহেব জানেন, বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ নিজেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। কোন্দল তাঁর দলেও আছে, তবে তা ধামাচাপা। সুতির তৃণমূল বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের দাদা শাহজাহান আইএসএফের প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন। ফলে ইমানি বিশ্বাস নিজে খলিলুর রহমানের প্রচারে থাকলেও মন পড়ে রয়েছে দাদার কাছে। কংগ্রেস এই কেন্দ্রে আবদুস সাত্তারের নাতি মর্তুজা হোসেনকে প্রার্থী করলেও দিনের শেষে মারাত্মক কিছু করার আশা নিজেরাও দেখাচ্ছে না। কাজেই বহু চেষ্টা করেও এই কেন্দ্রে তৃণমূলের থেকে বেশি এগিয়ে কোনও দলকেই রাখা যাচ্ছে না।
তবে মালদহে এখনও গণি পরিবারকে সামনে রেখেই মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কংগ্রেস। লক্ষ্য একটাই, কোতোয়ালি আবেগ কাজে লাগিয়ে যদি কিছু করা যায়। প্রশ্ন এখানেও আছে। দক্ষিণ মালদহে ডালুবাবুর ছেলে ইশা খান শুধুই তৃণমূলের ভোট কাটবেন? না নিজেও জেতার মতো অবস্থায় পৌঁছে যাবেন? এ ব্যাপারে প্রদেশ পার্টিও নিশ্চিত নয়। তবে ইশা খান অবশ্যই তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হানকে চিন্তায় রেখেছেন। এমনিতেই এই কেন্দ্রের সিপিএম প্রভাবিত এলাকার ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই বিজেপির ঝুলিতে ঢুকে পড়েছে। বাকি যা থাকছে, তা যদি বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর ভাগ্যে থাকে, তাহলে দু’টি বিধানসভা আসনে অন্তত ঘাটতি থাকবে। বিশেষ করে মালদহ শহর এলাকা। সব মিলিয়ে ইংলিশবাজার, মোথাবাড়ি ও বৈষ্ণবনগরে ঘাটতি যে আছে, তা এলাকার নেতারাও ঠারেঠোরে স্বীকার করছেন। অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী এখানে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তিনি ইংলিশবাজারের সিটিং এমএলএ। মাঝে মাঝে বেশ কয়েকদিনের জন্য তাঁকে দেখা যায় না, এলাকায় নিরুদ্দেশ পোস্টারও পড়ে। তারপরও ইমেজ তাঁর খারাপ নয়। বিজেপির অন্দরে একাংশের তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকলেও শ্রীরূপাদেবী আপাতত ইশা খানের দিকে তাকিয়েই আশায় বুক বাঁধছেন। ভোট কাটাকাটির ঠেলায় তিনি যদি এগিয়ে যান।
আর আছেন মৌসম বেনজির নুর। আশা করেছিলেন, উত্তর মালদহে তিনি টিকিট পাবেন। হয়নি। ফলে কিছুটা অভিমান তাঁর হয়েছিল। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে নরমে-গরমে বুঝিয়ে দিয়েছেন, দল আগে। মালদহের দু’টি কেন্দ্রের জন্যই তাঁর কাছে এই বার্তা স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের জন্যও একই নীতি নিশ্চিত করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব—দলের ঠিক করা প্রার্থীর প্রচারে গাফিলতি দেখতে পেলে বিধানসভা ভোট হোক বা পঞ্চায়েত, কোনও টিকিট মিলবে না। 
এই একই সমীকরণ অবশ্য নেত্রী উত্তর মালদহেও বজায় রেখেছেন। জেলায় দলের শীর্ষ থেকে নিচুতলা, সর্বত্র বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে যে, প্রার্থীর দিক থেকে যেন কোনও অভিযোগ কানে না আসে। তাহলে কড়া ব্যবস্থা। মানেটা পরিষ্কার—নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব যাই থাকুক না কেন, সিন্দুকে তুলে রেখে একজোট হয়ে ময়দানে নামতে হবে। জেতাতে হবে। উত্তর মালদহে আরও বেশি করে। কারণ, এই একটি আসন নিয়ে সর্বত্র চর্চা চরমে। সবারই কৌতূহল—কী হয়? বিজেপির আসন। কিন্তু আচমকাই হাওয়া উল্টোদিকে বইতে শুরু করেছে। এখানকার প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় পোড়খাওয়া পুলিসকর্তা, অনেক ঘাটের জল খাওয়া রাজনীতির কারবারি নন। আর উল্টোদিকে সিপিএম থেকে বিজেপিতে আসা আদিবাসী নেতা খগেন মুর্মু। তবে গেরুয়া শিবিরে তাঁর একটা টার্ম সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে। অঙ্কটা তিনিও বোঝেন। জানেন যে, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এই গোটা এলাকাকে হাতের তালুর মতো চেনেন। তাই তিনি পুলিস ও প্রশাসনের ঘুঁটি সাজিয়েই আসরে নেমেছেন। সেক্ষেত্রে খগেন মুর্মুর ভরসা, উনিশে তৈরি হওয়া বিজেপির ছোটখাটো ভোটব্যাঙ্ক, বামেদের ভোট এবং আদিবাসীরা। এই কেন্দ্রের হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল ও রতুয়ায় সংখ্যালঘু ভোটের প্রাধান্য। তৃণমূল নেতারা আশাবাদী, এখানে অন্তত বিজেপি ট্যাঁফোঁ করতে পারবে না। কিছুটা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন কংগ্রেসের প্রার্থী মোস্তাক আলম। এই তিনটি বিধানসভা এলাকায় তিনি নিশ্চিতভাবে ভোট কাটবেন। তবে তা নির্ণায়ক হবে না। সেটা হয়ে উঠতে পারে আদিবাসী ভোট। আর তাই আদিবাসী এলাকা হবিবপুর ও গাজোলেই শেষ বাজি মারতে চাইছেন খগেন মুর্মু। বারবার তাঁদের এলাকায় যাচ্ছেন, পাঁচ সাতজন মাথা বা মোড়লদের নিয়ে ‘উঠোন বৈঠক’ করছেন, আর সঙ্গে প্রচার... ‘এক দলের ব্রাহ্মণ প্রার্থী, আর এক দলের মুসলমান। আপনাদের কথা বলবে কে? আমি বলব।’ খগেন জানেন, তৃণমূল এবার উত্তর মালদহে কিছুটা অ্যাডভান্টেজে থাকলেও টক্কর তিনি দিতে পারবেন। সত্যিই কি তাই? আসলে মালদহ এমন এক জেলা, যেখানে সংখ্যালঘু, আদিবাসী ভোট তো আছে, একইসঙ্গে রয়েছেন তিন লক্ষ মতুয়া ভোটারও। ‘খুড়োর কল’ নাগরিকত্ব নিয়ে যা টালবাহানা শুরু হয়েছে, তাতে এখানকার মতুয়া ভোট নিয়ে গেরুয়া শিবির খুব একটা আশাবাদী হয়ে উঠতে পারছে না। তার উপর মমতাবালা ঠাকুরকে এনে লাগাতার প্রচার চালিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। মোদির মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে কিন্তু একবারের জন্যও এখানে দেখা যায়নি। তাই এই ভোটব্যাঙ্ক ঘিরেও আশার আলো দেখছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
তৃতীয় দফার ভোট দরজায় কড়া নাড়ছে। প্রথম দু’দফার সঙ্গে এবারের ফারাক কোথায়? প্রথমত, মোদির গ্যারান্টি আর শোনা যাচ্ছে না। আর দ্বিতীয়, ৪০০ পারের দাবিও নিরুদ্দেশ। এই দফার আগে বরং চেনা ছকের বিদ্বেষ ভাষণ ফিরে এসেছে। উন্নয়ন বা অর্থনীতির ব্যাপারে গেরুয়া শিবির খানিক নড়বড়ে হতে পারে, ভোটের গুরুত্ব তারা বিলক্ষণ জানে। তারা বোঝে, শুধু প্রার্থীর মুখ দেখে ভোট হয় না। তার জন্য লাগে ইস্যু, সংগঠন। বাংলায় আরএসএস যে কেন্দ্রগুলিতে পেনিট্রেট করেছে, ঠিক সেখানেই বিজেপির সংগঠনকে মজবুত দেখাচ্ছে। আর অন্যত্র? ঘোর সন্দেহ। গেরুয়া শিবিরের তথাকথিত ‘শক্ত ঘাঁটি’তে ভোট শেষ হয়ে যাবে এই দফায়। অঙ্ক কষা চলছে, কী পেলাম-কী হারালাম। তৃণমূল কিন্তু তাল ঠুকছে। তারা আত্মবিশ্বাসী, গত লোকসভা ভোটের মতো ফল উত্তরবঙ্গজুড়েই আর হবে না। এই ভাবনার নেপথ্য-জোর কী? ইস্যু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, বিজেপির ইস্যু সেই ধর্ম। আর তাঁর? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। 
30th  April, 2024
ডাকো নতুন নামে
মীনাক্ষী সিংহ

‘তোমারি নাম বলবো নানা ছলে’—গানের সুরে একথা বলেছেন রবীন্দ্রনাথ, বলেছেন ঈশ্বরকে নানা নামে ডাকবেন। বিশদ

রোগ ধরে দিয়েছে গুজরাত
হারাধন চৌধুরী

রোগনির্ণয় কেন্দ্রের নাম গুজরাত। আসল রোগ ধরে দিয়েছে মোদি-শাহের নিজের রাজ্যই। ভোট রাজনীতির এই অনবদ্য জুটির বিপন্নতা বোধ এবার গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি। তা না-হলে প্রথম পদ্মটি পাঁক এড়িয়ে চয়ন করার কৌশল সেখানেই নেওয়া হল কেন! বিশদ

অধীর মিথ ভাঙবে? নজর কিন্তু বহরমপুরেই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

‘আমার বয়স ৪৯ বছর। আরও ৩০ বছর আমি তোমাদের বিরুদ্ধে লড়ে যাব। সংসদের ভিতরে। সংসদের বাইরে। রাস্তায়, নর্দমায়... সর্বত্র। আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই/স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই। শেষ দেখব। বিশদ

07th  May, 2024
চব্বিশের আসল নায়ককে মোদিজির স্বীকৃতি
পি চিদম্বরম

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার রচনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? সাধারণ মানুষের সমস্যা ও উদ্বেগের কথাগুলি শুনবেন। বিশদ

06th  May, 2024
মতুয়াদের আত্মপরিচয় ভুলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি
গোপাল মিস্ত্রি

বাবা আদর করে নাম রেখেছিলেন হরিদাস। কারণ তিনি ছিলেন শ্রীহরিভক্ত। শ্রীচৈতন্য অনুরাগী, বৈষ্ণব ধর্মের আচার অনুসারী। তাই নিজের নামের সঙ্গে ‘দাস’ শব্দটি যুক্ত না থাকলেও বাবা যশোমন্ত (মতান্তরে যশোবন্ত) ঠাকুর পাঁচপুত্রের নামের শেষেই ‘দাস’ যুক্ত করেছিলেন। বিশদ

06th  May, 2024
সন্দেশখালি, মহিলা ভোট ও গেরুয়া বাক্স!
হিমাংশু সিংহ

এবার মহিলা নিগ্রহে অভিযুক্তও পালাল দেশ ছেড়ে। অতন্দ্র মোদি সরকারকে ফাঁকি দিয়ে। কিংবা বলা ভালো, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অতিসক্রিয় তাবৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিবানিদ্রায় পাঠিয়ে। কিচ্ছুটি করতে পারলেন না পাহারাদার প্রধানমন্ত্রী, নাকি ইচ্ছে করে করলেন না? বিশদ

05th  May, 2024
বঙ্গে বাম-কং জোটই আসল ‘ভোট কাটুয়া’
তন্ময় মল্লিক

অন্য রাজ্যে তৃণমূল প্রার্থী দিলে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের চোখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে যান ‘ভোট কাটুয়া’। অধীর চৌধুরী ও মহম্মদ সেলিমরা আওড়ান ‘দিদিভাই-মোদিভাই’ তত্ত্ব। বিজেপিকে ঠেকাতে না পারার দায় তৃণমূলনেত্রীর ঘাড়ে চাপিয়ে দেন। বিশদ

04th  May, 2024
দেশবাসীর প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

নির্বাচনের মরশুমে নিয়ম হল, রাজনীতির মানুষেরা বলবে, আমরা শুনব। অতএব আমরা শুনে চলেছি। কিন্তু আর একটা ব্যবস্থাও থাকা দরকার ছিল। সেটা হল, আমাদের বলার অধিকার কিংবা প্ল্যাটফর্ম। আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। বিশদ

03rd  May, 2024
আবার সেই ‘ইসলামোফোবিয়া’!
মৃণালকান্তি দাস

ভোটের মুখেই রাজস্থানে সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা উসমান গণিকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি! উসমানের অপরাধ? একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুসলিম সমাজের নাম করে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা কাম্য নয়।’ 
বিশদ

01st  May, 2024
এখন সঙ্ঘ পরিবারই বলছে, পুনর্মূষিকো ভব
সন্দীপন বিশ্বাস

বেজে উঠেছে পতনের বিপদ ঘণ্টা। তার শব্দ শুনতে পাচ্ছে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী। পতনের সেই শব্দে কাঁপছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘গেল গেল’ রব উঠেছে। কিন্তু বিপদের গন্ধ পেয়েই কৌশল বদলে ফেলেছেন মোদিজি। পুরনো কৌশলকে আঁকড়ে ধরেই ডুবন্ত তরীকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। 
বিশদ

01st  May, 2024
কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
একনজরে
২ মে ২০১৮। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালের ফিরতি পর্বের লড়াই। মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে দুরন্ত লড়াই মেলে ধরে বায়ার্ন মিউনিখ। ...

জ্যাক অলিভল প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান রসময় দাস মঙ্গলবার প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর স্ত্রী তপতী দাস এবং দুই পুত্র রাজর্ষি দাস ও রীতেশ দাস ...

বনগাঁ মহকুমার বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা কিংবা নদীয়ার কল্যাণী বা হরিণঘাটা, উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর মূলত কৃষিপ্রধান এলাকা। এইসব এলাকায় উৎপাদিত ফসল দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছতে ...

পর্দার ‘মুন্নাভাই’ মুরলি প্রসাদকে পাশ করাতে গিয়ে পরীক্ষায় বসেছিলেন শিক্ষক রুস্তম পারভি। রিয়েল লাইফে তেমনই কাণ্ড ঘটাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নিট) পরীক্ষার্থীর দাদা। ঘটনাস্থল রাজস্থানের বারমার। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব রেডক্রস দিবস
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস
১৭৯৪ - ফ্রান্সের রসায়ন বিজ্ঞানের জনক এ্যান্থেনিও লেভিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল
১৮২৮- রেড ক্রস এর প্রতিষ্ঠাতা জিন হেনরি ডুনন্টের জন্ম
১৮৬১ - বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৮৬৩ - ভারতে প্রথম রেডক্রস দিবস উদযাপিত হয়
১৯০২ - দক্ষিণ ফ্রান্সে অবস্থিত একটি পাহাড় থেকে বিকট শব্দে হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ায় সেন পিয়ারে নামের একটি শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়
১৯২৯- শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী গিরিজা দেবীর জন্ম
১৯৫৩- গায়ক রেমো ফার্নাডেজের জন্ম
১৯৬২- জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন
১৯৭০ – প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা মাইকেল বেভানের জন্ম
১৯৮১ - কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় স্থায়ী প্রধান বিচারপতি ফণিভূষণ চক্রবর্তীর মৃত্যু
১৯৯৩ - অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা প্যাট কামিন্সের জন্ম
১৯৯৬ - দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবৈষম্য যুগের পরবর্তী নতুন সংবিধান চালু হয়
২০০৮ -  অভিনেতা,পরিচালক ও নাট্যব্যক্তিত্ব জ্ঞানেশ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু
২০২৩ - সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৬ টাকা ৮৪.৪০ টাকা
পাউন্ড ১০৩.১৭ টাকা ১০৬.৬২ টাকা
ইউরো ৮৮.৩৮ টাকা ৯১.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৫৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮১,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ মে ২০২৪। অমাবস্যা ৯/৩০ দিবা ৮/৫২। ভরণী নক্ষত্র ২১/১৫ দিবা ১/৩৪। সূর্যোদয় ৫/৩/৪২, সূর্যাস্ত ৬/২/২৯। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১১/৮ মধ্যে পুনঃ ৩/২৭ গতে ৫/১০ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/৫৯ মধ্যে পুনঃ ১/২৪গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/২৭ মধ্যে। রাত্রি ৮/৫৯ গতে ১০/২৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৮ গতে ৯/৫৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৩৩ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৮ গতে ৩/৪০ মধ্যে। 
২৫ বৈশাখ, ১৪৩১, বুধবার, ৮ মে ২০২৪। অমাবস্যা দিবা ৮/৪৮। ভরণী নক্ষত্র দিবা ১/৫৬। সূর্যোদয় ৫/৪, সূর্যাস্ত ৬/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে ও ১/৪৭ গতে ৫/২০ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/৪৭ মধ্যে ও ১১/৫৬ গতে ১/২২ মধ্যে। কালবেলা ৮/১৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১১/৩৪ গতে ১/১১ মধ্যে। কালরাত্রি ২/১৯ গতে ৩/৪২ মধ্যে। 
২৮ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: লখনউকে ১০ উইকেটে হারাল হায়দরাবাদ

10:27:54 PM

আইপিএল: ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি অভিষেক শর্মার, হায়দরাবাদ ১২০/০ (৬.৩ ওভার) টার্গেট ১৬৬

10:15:03 PM

আইপিএল: ১৬ বলে হাফসেঞ্চুরি ট্রাভিস হেডের, হায়দরাবাদ ৭৯/০ (৪.৪ ওভার) টার্গেট ১৬৬

10:04:52 PM

আইপিএল: হায়দরাবাদকে ১৬৬ রানের টার্গেট দিল লখনউ

09:26:56 PM

আইপিএল: ২৮ বলে হাফসেঞ্চুরি আয়ূষ বাদোনির, লখনউ ১৪৬/৪ (১৯ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

09:19:23 PM

আইপিএল: ২৪ রানে আউট ক্রুণাল পান্ডিয়া, লখনউ ৬৬/৪ (১১.২ ওভার), বিপক্ষ হায়দরাবাদ

08:43:15 PM