Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বন্ড রহস্য ও ব্যান্ডিটস!
সন্দীপন বিশ্বাস

ফেলুদার কপালে চিন্তার ভাঁজ। চোখদুটো যেন গভীর কোনও রহস্যের ভিতরে ডুব দিয়েছে। কাউচে বসে সামনের দিকে ঝুঁকে। হাত দু’টো জোড়া। তার উপরে থুতনিটা রেখে গভীর চিন্তায় ডুবে আছে। 
সামনের চায়ের কাপ থেকে যেন পাকিয়ে উঠছে রহস্যের ধোঁয়া। চুপ করে বসে তার দিকে তাকিয়ে তোপসে। ওদিকে লালমোহনবাবু প্লেটে চা ঢেলে ‘সুড়ুৎ’ শব্দ করে সেটা খেলেন। এরপর উসখুস হয়ে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলেন। তোপসে মুখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দিল, এখন কোনও কথা বলবেন না। 
একটু পরে ফেলুদা বিড়বিড় করে স্বগতোক্তির মতো করে বললেন, ‘নিশ্চিন্তে আর থাকা গেল না রে তোপসে!’ 
সেই কথার রেশ টেনে লালমোহনবাবু চোখ বড় বড় করে বললেন, ‘ভেরি সাসপিশাস্‌ অ্যান্ড মিস্টিরিয়াস!’
তোপসে বলল, ‘এখানেও দেখছি ডক্টর হাজরা অ্যান্ড মন্দার বোস জুটি। অর্থাৎ ভণ্ড ভবানন্দ ও তার চ্যালা।’
ফেলুদা গম্ভীর হয়ে বলল, ‘হুম, কিংবা বলতে পারিস মগনলাল ও মছলিবাবা। জুটি দেখলেই বুঝবি, কোনও গণ্ডগোল আছে। আর টাক মাথার লোক দেখলেই সাবধান!’
জটায়ু সেই কথা শুনে একটা বিষম খেলেন। আর একটু হলে মুখের চা ছিটকে পড়ত। চায়ের কাপটা নামিয়ে তিনি নিজের টাকে হাত বুলিয়ে নিলেন। মুখটা কুঁচকে তাকালেন ফেলুদা আর তোপসের দিকে।
ফেলুদা বলল, ‘দ্যাখ, ছিল বন্দে ভারতের স্লোগান। সেটার আড়ালে চলছিল বন্ড-এ ভারতের লুকাছুপি খেলা। একদিকে মগনলাল বাবাজি অন্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির হুঙ্কার ছাড়ছেন, অন্যদিকে তাঁরই লাখ টাকার পোশাকে লেগে গেল দুর্নীতির পাঁক। বোঝা গেল, ইলেকশন বন্ডের খেলায় রাজনীতিকরা আসলে বন্ডেড লেবার।’
তোপসে বলল, ‘পুরো খেলাটা মগনলাল এমনভাবে খেলেছেন, যাতে ফুল ক্যাশ অন্যের ঘরে না ঢোকে। শুধু নিজেদের তহবিলেই আসে শিল্পপতিদের টাকা। তার জন্য অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে ইডি, সিবিআইকে।’
লালমোহনবাবু বললেন, ‘সিরেফ ম্যায় খাউঙ্গা, কিসিকো খানে নেহি দুঙ্গা।’
ফেলুদা বলল, ‘একেবারে ঠিক বলেছেন লালমোহনবাবু। ব্ল্যাকমেল পলিটিক্স। আমরা এতদিন চোর দেখেছি, এবার তো ডাকাত ধরা পড়ে গেল।’ 
লালমোহনবাবু বললেন, ‘ডেকয়েট, এরা কি আরাবল্লির ডেকয়েটের মতোই ভয়ঙ্কর?’
ফেলুদা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে বলল, ‘না লালমোহনবাবু, এরা তার থেকেও ভয়ঙ্কর।’ 
তোপসে বলল, ‘তুমি কি আজকের কাগজটা দেখেছো ফেলুদা? বিভিন্ন রাজ্যের প্রচারে এর মধ্যেই ওদের বিরুদ্ধে স্লোগান উঠেছে। চান্দা চোর চান্দা চোর বলে।’ 
ফেলুদা খানিকটা অন্যমনস্ক হয়ে বলল, ‘পুলওয়ামা, নোটবাতিল, ইডির হানা, সিবিআইয়ের চমকানি, ইলেকশন বন্ড, সিএএ, এনআরসি আর মগনলাল মেঘরাজ।’
লালমোহনবাবু হতভম্ব মুখ করে শুধু বললেন, ‘দেখুন এর থেকে ঢের সহজ হতো যদি আপনি বলতেন চন্দ্রবিন্দুর চ, বেড়ালের তালব্য শ আর রুমালের মা।’ 
ফেলুদা বলল, ‘বেশ, সহজ করেই বলব, তবে আপনাকে একটা কথা দিতে হবে।’
লালমোহনবাবু চোখ বুজে হাতটা বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘নিন, টেক।’
ফেলুদা বলল, ‘শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকলে আপনার বিপদ হতে পারে। এমনকী জীবন বিপন্নও হতে পারে।’
লালমোহনবাবু একটা উপেক্ষার হাসি হেসে বললেন, ‘আপনি জটায়ুকে বিপদের ভয় দেখাচ্ছেন? গড়পাড়ের লালমোহন গাঙ্গুলিকে?’   
ফেলুদা বলল, ‘আমাদের দেশ ঘোর সঙ্কটে লালমোহনবাবু। মগনলাল মেঘরাজরা আগে চোরাই  মূর্তি বিদেশে বেচত। এখন ক্ষমতায় এসে ওরা পুরো দেশটাকেই বিক্রি করে দিতে চাইছে। দেশটাকে ধর্মের ভিত্তিতে, হিংসার ভিত্তিতে ভাঙতে চাইছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলে এরা তলে তলে নিজেরাই দুর্নীতির হাইরাইজ হয়ে উঠেছে। সেই মৌচাক এবার আমাকে ভাঙতেই হবে। হয় আমি মগনলালের মুখোশ খুলে দেব, নাহয় গোয়েন্দাগিরি ছেড়ে দেব।’   
লালমোহনবাবু বললেন, ‘ওদের বাহুবলীর জোর সম্পর্কে আপনার নিশ্চয় আইডিয়া আছে। এখন রাজনীতি মানেই বাহুবলীদের আস্ফালন। ওদের দলে হাজার হাজার গুণময় বাগচী আছে।’ 
ফেলুদা বলল, ‘আপনি ভুল বললেন লালমোহনবাবু। বডিবিল্ডার গুণময় বাগচীদের কাছে দেহ হল মন্দির। আর মগনলালদের কাছে মন্দির হল ক্ষমতা দখলের অস্ত্র। মগনলাল, মছলিবাবা, ভবানন্দরাই আজ ভারত ভাগ্যবিধাতা, এটাই আমাদের বড় দুর্ভাগ্য।’
লালমোহনবাবু আবৃত্তি শুরু করলেন, ‘হে মোর দুর্ভাগা দেশ, যাদের করেছো অপমান, তাদের ভোটেই এবার তুমি হবে গোহারান।’
লালমোহনবাবুকে থামিয়ে ফেলুদা বলল, ‘রবীন্দ্রনাথের কবিতা নিয়ে আপনাকে প্যারডি করতে কে বলেছে?’
লালমোহনবাবু বললেন, ‘না মানে একটা দেশাত্মবোধের মুড এসে গেল।’
ফেলুদা বলল, ‘ব্যাপারটা এত সরল নয় লালমোহনবাবু। অনেক জটিলতা। কারা কারা টাকা দিয়েছে, টাকা দেওয়ার পর কী কী স্বার্থ তাদের রক্ষিত হয়েছে, কেন ইডি হানা হল, ইডি হানার মাধ্যমে কি কোম্পানিগুলোকে ব্ল্যাকমেল করা হল? তার পরপরই বা কেন সেই কোম্পানিগুলি বন্ড কিনল? কোম্পানিগুলির সঙ্গে মগনলালের কী ডিল হয়েছিল? কেন ওষুধ কোম্পানিগুলি বন্ডে টাকা দেওয়ার পরই বাজারে নির্বিচারে বেড়ে গেল ওষুধের দাম? টাকাগুলো তোলার পর গেল কোথায়? কোন রাজ্যের সরকার ভাঙতে কত টাকা ঢালা হয়েছে? সে টাকার জোগান দিয়েছে কে? কত টাকার বিনিময়ে বিরোধী বিধায়কদের কেনা হয়েছে? সব অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে রে তোপসে! অনেক জাল। সব এক এক করে খুলতে হবে। তার আগে একবার কলকাতায় ফিরে সিধুজ্যাঠার সঙ্গে দেখা করতে হবে। কয়েকটা জিনিস জানার আছে।’ 
তোপসে বলল, ‘ফেলুদা, আমরা আর দিল্লিতে ক’দিন আছি?’
ফেলুদা বলল, ‘আর একটা বিষয় জানার আছে। সেটা মিটলেই চলে যাব। যাকগে, তোপসে তুই একটা লিস্ট করে ফেল। পুরো কেস স্টাডি করে লিখবি কোন কোম্পানির ঘরে কবে ইডি হানা দিয়েছে এবং তার কতদিন পরে বন্ডে শত শত কোটি টাকার তোলা পড়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিটি বন্ডের হিসাব নোট করে রাখবি। ঘুঘু তুমি চুপি চুপি খেয়ে যাও ধান।’ 
তোপসে বলল, ‘আমি এখনই কম্পিউটারে বসে পুরো কেসটার একটা স্ট্যাটিসটিক্স করে ফেলছি।’   
ফেলুদা বলল, ‘আর ওই ‘শত্রু’ দেশের কোম্পানির ব্যাপারটা আলাদা করে লিখে রাখিস। শত্রু দেশ থেকে কেন মগনলাল, ভবানন্দদের তহবিলে টাকা বারবার টাকা আসছে?’
জটায়ু বললেন, ‘ঠিক বলেছেন, ওটা নিয়ে আলাদা করে কাল্টিভেট করা দরকার।’
ফেলুদা বলল, ‘করব, তবে আমার কী মনে হয় জানেন, এটা একটা ফ্রড কোম্পানি। এই নামে খোলা হয়েছিল নির্বাচনী বন্ডে টাকাটা ঢোকানোর জন্য। তারপর সেটা উধাও হয়ে যায়। সকলের চোখে ধুলো দেওয়ার এটা একটা পন্থামাত্র। আরও দেখতে হবে, সুইস ব্যাঙ্ক থেকে কালো টাকা আনার প্রতিশ্রুতির আড়ালে বিদেশের কোন কোন ব্যাঙ্কে মগনলালদের টাকা ঢুকেছে।  যাকগে দেখা যাক। আচ্ছা লালমোহনবাবু, আপনার কাছে সেই সাধুর পোশাকটা আছে তো? সেই যে বেনারসে যেটা পরে গঙ্গার ঘাটে বসেছিলেন?’
জটায়ু বললেন, ‘হ্যাঁ আছে। ওটা কি আবার পরতে হবে নাকি মশাই?’
ফেলুদা বলল, ‘সাধুদের দলে ঢুকে তদন্ত করতে গেলে সাধু সাজতেই হবে।’ 
জটায়ু উল্লসিত হয়ে দু’হাত উপরে তুলে লাফিয়ে উঠে বললেন, ‘ব্রেভো ব্রেভো!’
ফেলুদা তাঁকে থামিয়ে বললেন, ‘দাঁড়ান, এখনই অত লাফাবেন না। আপনার অতি উৎসাহে একবার হাতে পেয়েও ভবানন্দের চ্যালাকে ধরতে পারিনি।’ 
জটায়ু কিছুটা নিরুৎসাহিত হয়ে বললেন, ‘এখন কি একটা প্রশ্ন করতে পারি?’ 
ফেলুদা বলল, ‘করুন।’
জটায়ু কাঁচুমাচু মুখ করে বলল, ‘এই যে ইলেকশন বন্ডের ব্যাপারটা, এটার বাংলা কি আমরা দুর্নীতির হাতবাক্স করতে পারি?’
ফেলুদা বলল, ‘আংশিকভাবে পারেন। দুর্নীতি না হলে আমি তদন্তে নামলাম কেন?’ 
লালমোহনবাবু বললেন, ‘ঠিক ঠিক।’
ফেলুদা বলল, ‘তাহলে লালমোহনবাবু বুঝতে পারলেন, মগনলালের রাজনীতির প্রকৃত উদ্দেশ্য কী?’ 
লালমোহনবাবু হেসে বললেন, ‘আপনার সঙ্গে থাকতে থাকতে এখন বেশ বুঝতে পারি, মগনলালের মূল উদ্দেশ্য হল, অন্যদের ভাঁড়ার শূন্য করে গোপনে গোপনে নিজেদের তহবিল ভরানো। আর রাজনীতিতে নিজেকে আধুনিক হিটলার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা।’
ফেলুদা বলল, ‘বাহ, এই তো আপনার বুদ্ধি ক্রমেই প্রখর রুদ্রকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।’
লালমোহনবাবু বললেন, ‘আপনার সঙ্গে থেকে থেকে মশাই কত কিছু শিখলাম।’
ফেলুদা বলল, ‘তাহলে আপনার পরবর্তী উপন্যাসটা উতরে যাবে বলছেন?’ 
জটায়ু বললেন, ‘সবই আপনার অনুপ্রেরণায়। একটা জবরদস্ত নাম দিতে হবে।’
তপসে বলল, ‘ওই হন্ডুরাসে হাহাকারের মতো?’ 
জটায়ু বললেন, ‘হ্যাঁ, আমাকে তাড়াতাড়ি কলকাতায় ফিরতে হবে। লিখতে হবে আমার আটত্রিশতম উপন্যাস, বন্ড রহস্য ও ব্যান্ডিটস!’ 
20th  March, 2024
ভারতীয় রাজনীতির গভীর সঙ্কট!
মৃণালকান্তি দাস

হিটলার ক্ষমতায় আসার এক বছর আগে, ১৯৩২ সালে জার্মানির নাৎসি পার্টি নিদারুণ অর্থকষ্টে ভুগছিল। ক্ষমতায় এসেই ১৯৩৩-এর ২০ ফেব্রুয়ারি দেশের বড় বড় শিল্পপতিদের বৈঠকে ডেকেছিলেন। সেই সভায় হিটলার শিল্পপতিদের দেশপ্রেমের প্রমাণ দাবি করেন।
বিশদ

রামনামের আর বদনাম চান না ভক্তরা
হারাধন চৌধুরী

চৈত্র মাসের শুক্লা নবমী হল শ্রীরামচন্দ্রের জন্মতিথি। দিনটি রামনবমী হিসেবেই জনপ্রিয়। সেটা এবছর পড়েছে ১৭ এপ্রিল। ভগবান রামচন্দ্র অজানা কাল থেকেই ভারতবর্ষের অসংখ্য মানুষের আরাধ্য।
বিশদ

27th  March, 2024
এজেন্সিরাজ বিজয়ী হলে বিসর্জন যাবে গণতন্ত্র
পি চিদম্বরম

ভেবেছিলাম যে আমরা কেবল একটা ‘অ্যালফাবেট স্যুপের’ ভিতরে আছি। অর্থাৎ আমরা নিমজ্জিত আইটি, সিবিআই, ইডি, এসএফআইও, এনসিবি, এনআইএ এবং অন্যান্য সংক্ষিপ্ত নাম চুবনো একটা ‘সুস্বাদু’ ব্যঞ্জনের ভিতরে।
বিশদ

25th  March, 2024
রাজনীতির রং যেন মর্মে না লাগে!
হিমাংশু সিংহ

এত বিদ্বেষের রং, এত ঘৃণা, এত বিষাক্ত বিভাজন জরুরি অবস্থার পর কেউ দেখেছে? বিরোধীদের ভাঙো, না-হলে এজেন্সি দিয়ে জেলে পোরো। লড়াইটা দুর্নীতি খতমের নয়, উন্নয়নের মাইলফলক ছোঁয়ারও নয়, বিরোধী নিকেশের। বিরোধী হটাও গদি বাঁচাও। বিশদ

24th  March, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মোকাবিলায় মাঠে আরএসএস
তন্ময় মল্লিক

যাঁড়েশ্বর মন্দির সংস্কারের কাজ চলছে। মন্দির যাওয়ার রাস্তাটাও ঢালাই হচ্ছে। সেই রাস্তার ধারে মাংস বিক্রি করছিলেন এক যুবক। নাম ছোটন বাউরি। রাস্তা কারা করছে? মুখ না তুলেই ছোটন উত্তর দেন, ‘রাজ্য সরকার।’ আপনার স্ত্রী লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পান? বিশদ

23rd  March, 2024
বাঙালি আর কতবার পরীক্ষা দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

জাতীয় কংগ্রেসের কোকোনদ অধিবেশনে চিত্তরঞ্জন দাশ ভাষণে বলেছিলেন, ‘আপনারা বাংলাকে মুছে দিতে পারেন না কংগ্রেসের ইতিহাস থেকে’। বাংলার প্রতি জাতীয় স্তরের নেতৃত্বের প্রবল এক বিমাতৃসুলভ মনোভাব চিত্তরঞ্জন দাশ অনেক আগে থেকেই লক্ষ করেছেন। বিশদ

22nd  March, 2024
মোদি জমানায় চিকিৎসা যখন পণ্য!
মৃণালকান্তি দাস

মদ তৈরিতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ডিসটিলড অ্যালকোহল। সেই ডিসটিলড অ্যালকোহলকে জিএসটির আওতায় না রাখার কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
বিশদ

21st  March, 2024
আড়াই মাসের ভোট কার স্বার্থে
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাসুদেব জানা, প্রতিমা মণ্ডলরা কাজের খবরগুলো পান পঞ্চায়েত থেকে। আবার কখনও বিডিও অফিস জানিয়ে দেয়... কাজ আসছে। এবারও পেয়েছিলেন। জাতীয় সড়কের উপর এক কিলোমিটার ব্রিজ হবে। নরঘাট সেতুর ঠিক পাশেই আর একটা। কথা চলছে অনেকদিন ধরেই।
বিশদ

19th  March, 2024
স্বাধীনতা ও উন্নয়ন নির্বাচন করব কি আমরা?
পি চিদম্বরম

দেশের সরকার নির্বাচন করার জন্য একটি সাধারণ জাতীয় উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত। মানুষের সমর্থন ‘ক’ বা ‘খ’ পার্টির মধ্যে ভাগ হয়ে যেতে পারে। ভোটপ্রার্থী দল কখনও কখনও হতে পারে তারও বেশি। তবে সামনে যে উদ্দেশ্যটি থাকবে সেটি সাধারণ হওয়াই কাম্য।
বিশদ

18th  March, 2024
নাগরিক বিভ্রান্তির মধ্যে অবাধ ভোট সম্ভব?
হিমাংশু সিংহ

নাগরিকসত্তাই যে দেশে প্রশ্নের মুখে সেখানে নির্বাচন কি সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব? শনিবার অপরাহ্ণে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর আপাতত এটাই সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন। দশদিন ধরে অনাহার, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি সব ভুলে নাগরিক বিভ্রান্তি কাকে বলে অধীর আগ্রহে দেখছে দেশ।
বিশদ

17th  March, 2024
সিএএ’র হাড়িকাঠে মাথা কে দিতে চায়?
তন্ময় মল্লিক

নীলরতন বিশ্বাস পেশায় গ্রামীণ চিকিৎসক। বাড়ি নদীয়ার ধানতলার পূর্ব নওয়াপাড়ায়। তাঁর জন্ম এদেশে। কিন্তু বাবা এসেছিলেন বাংলাদেশ থেকে। তাঁর পরিবারের সকলের আধার ও ভোটারকার্ড আছে। নাগরিকত্বের ‘পাকা সার্টিফিকেটে’র জন্য আবেদন করবেন কি না জানতে চাইতেই তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, কেন করব? বিশদ

16th  March, 2024
রাষ্ট্রের দাবি এবং বাস্তবে পার্থক্য কতটা?
সমৃদ্ধ দত্ত

ওই যে অশ্বত্থ গাছ। প্রতিদিন ওখানে ২৪ ঘণ্টা কোনও না কোনও মানুষের দেখা পাওয়া পাবে। দিনের বেলা তো অনেক সময় দেখে মনে হয় গ্রামসভার মিটিং ডাকা হয়েছে। তবে সকলের কানে মোবাইল। ছড়িয়ে ছিটিয়ে। কেউ গাছের নীচে। কেউ দাঁ঩ড়িয়ে। অনেকগুলো কণ্ঠস্বর মিলেমিশে যায় এখানে। বিশদ

15th  March, 2024
একনজরে
বাল্টিমোর ব্রিজ দুর্ঘটনায় ভারতীয় নাবিকদের সাহসী ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সময়ে উদ্ধারকাজ শেষ করায় স্থানীয় প্রশাসনেরও প্রশংসা করেছেন তিনি। মঙ্গলবার পণ্যবাহী ...

শুধু ভারত নয়, বিশ্বের দরবারে ধনেখালির পরিচিতি তাঁতের শাড়ির জন্য। তবে এখন আর ধনেখালিতে হাতে টানা তাঁতের মাকুর ঠক ঠক শব্দ সেভাবে শুনতে পাওয়া যায় ...

দোল উৎসবের রাতেও রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত থাকল কোচবিহার জেলার শীতলকুচিতে। মঙ্গলবার রাতে শীতলকুচি ব্লকের গোঁসাইরহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব গোঁসাইরহাট গ্রামের কটবাঁশ গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে ঢুকে হামলার অভিযোগ ওঠে ...

চোটের কারণে দলে ছিলেন না লায়োনেল মেসি। পাশাপাশি বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে। তা সত্ত্বেও কোস্টারিকার বিরুদ্ধে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল আর্জেন্তিনা। মঙ্গলবার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৬৮: রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির জন্ম
১৯২৬: ক্রিকেটার পলি উমরিগড়ের জন্ম
১৯৩০: কনস্টান্টিনোপলের নাম ইস্তাম্বুল ও অ্যাঙ্গোরার নাম আঙ্কারা করা হয়
১৯৩০: বিশিষ্ট ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৪১: কলকাতা থেকে মহানিষ্ক্রমণের পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বার্লিন পৌঁছালেন
১৯৪২: রাসবিহারী বসু জাপানের টোকিওতে ভারত স্বাধীন করার আহ্বান জানিয়ে ভাষণ দেন
১৯৫৪: অভিনেত্রী মুনমুন সেনের জন্ম
১৯৭৫: অভিনেতা অক্ষয় খান্নার জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৬ টাকা ৮৩.৯৫ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৯১ টাকা ১০৬.৫৪ টাকা
ইউরো ৮৯.০৮ টাকা ৯১.৫২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৬৬,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৬৭,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৩,৯৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭৪,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭৪,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৪ চৈত্র, ১৪৩০, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪। তৃতীয়া ৩৩/২১ রাত্রি ৬/৫৭। স্বাতী নক্ষত্র ৩২/৩৪ রাত্রি ৬/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৩৬/৪৮, সূর্যাস্ত ৫/৪৬/৪৮। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫২ গতে ৩/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে পুনঃ ১০/২৮ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৪ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪১ গতে ১/১১ মধ্যে। 
১৪ চৈত্র, ১৪৩০, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪। তৃতীয়া অপরাহ্ন ৪/৩৬। স্বাতী নক্ষত্র অপরাহ্ন ৪/৪৩। সূর্যোদয় ৫/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৪৭। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৬ গতে ৩/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/২২ গতে ১২/৫২ মধ্যে। কালবেলা ২/৪৫ গতে ৫/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪৩ গতে ১/১২ মধ্যে। 
১৭ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: দিল্লিকে ১২ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল রাজস্থান

11:38:34 PM

আইপিএল: ৯ রানে আউট অভিষেক, দিল্লি ১২২/৫ (১৫.৩ ওভার), টার্গেট ১৮৬

11:13:01 PM

আইপিএল: ২৮ রানে আউট পন্থ, দিল্লি ১০৫/৪ (১৩.১ ওভার), টার্গেট ১৮৬

11:02:01 PM

আইপিএল: ৪৯ রানে আউট ওয়ার্নার, দিল্লি ৯৭/৩ (১১.২ ওভার), টার্গেট ১৮৬

10:49:56 PM

আইপিএল: দিল্লি ৭৩/২ (৮ ওভার), টার্গেট ১৮৬

10:36:51 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট রিকি, দিল্লি ৩০/২ (৩.৪ ওভার), টার্গেট ১৮৬

10:13:27 PM