পরিবারের কারও স্বাস্থ্য অবনতিতে মানসিক চিন্তা। অপ্রিয় সত্য কথার জন্য সামাজিক ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। ... বিশদ
আবার বলেছেন—“আমি দীক্ষা দেই না। কিন্তু দীক্ষা তো একপ্রকার হয়েই যাচ্ছে। আমি যে কথা বলি, এটাই তো দীক্ষা। দীক্ষা তিন রকমের আছে—মান্ত্রী দীক্ষা-কানে মন্ত্র দেওয়া, শান্তি দীক্ষা-শক্তি সঞ্চার করা আর সাম্ভবী দীক্ষা-দর্শনমাত্রেই শিষ্য সমাধিতে ডুবে যায়।” আজ ভগবানের প্রবচন শুনতে শুনতে দু’জন ভক্ত সমাধিস্থ হয়েছেন। শিক্ষিকা গায়েত্রী চ্যাটার্জী এবং বারাণসী থেকে আগন্তুক ছেলেটি দীর্ঘক্ষণ সমাধিস্থ রইলেন। যুবক ছেলেটি পিতার সঙ্গে একই হোটেলে রয়েছে। গায়েত্রীর বোন তার মাসির বাড়িতে চলে গেছেন। প্রসঙ্গক্রমে ভগবান পুনরায় বলছেন—“বাইরে থেকে বারোজন এসেছে। এদের আমি থাকার জায়গা দিতে পারছি না।” উপস্থিত স্থানীয় ভক্তদের উদ্দেশ্যে—“আগামীদিন এরা যেন হোটেলে না ওঠে, এটা আমি দেখতে চাই। সোজা কথা, এদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা এখানকার ভক্তদেরই করতে হবে। কি ব্যানার্জী, এটা তোমরা করতে পারবে না?”
শ্রীব্যানার্জী এবং দীপকবাবু ভগবানের আদেশের সাথে সাথেই সম্মতি জানালেন, ‘হ্যাঁ আজ থেকেই এদের সকলের ভার আমরা নিলাম।’
ভগবানের আজ শুভ ৬৩ তম জন্মদিন। আজ ঘটা করে কলকাতার ভক্তেরা ভগবানের জন্মদিন পালনে ব্রতী হয়েছেন। সকাল থেকেই ভক্তদের আগমন আরম্ভ হয়েছে। ফুলের মালা, ফল, মিষ্টি, কেক প্রভৃতি নিয়ে একে একে ভক্তেরা মায়ের বাড়িতে উপস্থিত হচ্ছেন। সকাল নটার মধ্যমগ্রাম লোকাল ধরে একগাছা জবা ফুলের মালা, কিছু ফল, মিষ্টি নিয়ে আমিও মায়ের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছি। ভগবান তাঁর নির্দিষ্ট আসনে উপবিষ্ট। ভক্তেরা একে একে সারিবদ্ধভাবে ভগবানকে মাল্যভূষিত করছেন, ফুল, বেলপাতা, ধান-দূর্বা দিয়ে প্রণাম করছেন। আমিও ভগবানকে মাল্যভূষিত এবং সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করলাম। শ্রীদীপক কুমার দাস এবং শ্রীব্যানার্জীও ভগবানকে মাল্যভূষিত করে ফুল, বেলপাতা ইত্যাদি ভগবানের চরণে নিবেদন করে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করলেন। বারাণসী এবং আসাম থেকে যে ভক্তরা এসেছেন তাঁরাও ভগবানের পাদপূজা করলেন। শ্রীমতী গায়েত্রী চ্যাটার্জী একখানা গাঢ় লালপাড় ধবধবে সাদা সাড়ী পরিধান করে ভগবানের সামনেই নতজানু হয়ে জোড়হাতে বসে রয়েছেন। মনে হচ্ছে স্বাক্ষাৎ সরস্বতী দেবী যেন ভগবানের কাছে কৃপা প্রার্থনা করছেন।