গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এখন সমস্যা এই যে, সাধারণ মানুষ, যাদের বিশেষ শিক্ষাদীক্ষা নেই বা যারা গভীরভাবে চিন্তা করতেও পারে না, তাদের এই উদ্দেশ্য সম্বন্ধে কোন ধারণা থাকে না। যদিও উদ্দেশ্য একটা থাকেই, কারণ জীবন উদ্দেশ্যবিহীনভাবে চলতে পারে না। হয়তো আমরা উদ্দেশ্যটা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি না, তবে না বুঝলেও সেটাই আমাদের সর্বদা পরিচালিত করে। সে-ক্ষেত্রে লক্ষ্য সম্বন্ধে একটা স্পষ্ট ধারণা যদি থাকে তাহলে অকারণ ছোটাছুটি না করে অল্প সময়ে অল্প আয়াসে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি। সারাদিন ধরে নৌকা বেয়ে চলেছি, কিন্তু কোন্ ঘাটে যে পৌঁছাতে হবে তা জানি না। এতে যেমন সময় ও শক্তির অযথা অপচয় হয়, ঠিক তেমনি লক্ষ্যহীনভাবে চললে জীবনেরও অপচয় হয়। এই যে দুর্লভ মানব জীবনটি আমরা লাভ করেছি তা নিশ্চয়ই কিছু পাওয়ার জন্য। আমার যা আকাঙ্ক্ষিত তা পাব, আমার আকাঙ্ক্ষা তৃপ্ত হবে, তবেই তো জীবনের সার্থকতা। কিন্তু এখানে মূল প্রশ্নটি ওঠে যে, যা চাইছি তা সঠিক তো, সেটি ভুল চাওয়া নয় তো? সুতরাং জীবনের গোড়াতেই লক্ষ্যবস্তু স্থির করে নেওয়া দরকার। ঈপ্সিত বস্তু সম্বন্ধে স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হবার আগে একটু চিন্তাভাবনা করা প্রয়োজন। তা না হলে অকারণে একরকম জীবনযাত্রা থেকে আরেকরকম জীবনযাত্রায় যাওয়াই সার হবে। শ্রেয় বস্তু কি, সেটা সহজে আমাদের উপলব্ধিতে আসে না। আজ যা শ্রেয় বলে মনে হয়, ঘটনাচক্রে কাল তার কোন মূল্যই হয়তো থাকে না। তাই প্রথমেই বিচার করে দেখতে হবে, আমরা কি চাই, কি পেলে যথার্থ সুখী হব।