কর্মপ্রার্থীদের ধৈর্য্য ধরতে হবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। নিকটস্থানীয় কারও প্রতি আকর্ষণ বাড়বে। পুরোনো কোনও বন্ধুর ... বিশদ
মাত্র এই কটা দিনে ডাক্তারবাবুরাই আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন, নিজের ঘরকে কীভাবে ‘রোগমুক্ত দুর্গ’ বানানো যায়। দেহের বাইরে করোনা ভাইরাস দীর্ঘ সময় প্রাকৃতিক পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে। এই কারণে দীর্ঘ সময় ধরে একই ভাইরাস দ্বারা দূষিত পরিবেশ থেকে ওই পরিবেশে থাকা বহুসংখ্যক মানুষ সংক্রামিত হতে পারে। ফলে পরিবেশের পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা সংক্রমণ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। একই সঙ্গে শিখিয়ে দিয়েছেন, বিনা প্রয়োজনে বাইরে না যাওয়া ও থাকা, বিনা প্রয়োজনে আশপাশের বস্তুসামগ্রী স্পর্শ না করা, যেখানে সেখানে কফ-থুতু না ফেলা, বাইরে থেকে ফিরে হাত ও পা সাবান-জলে ভালো করে ধুয়ে ফেলার প্রয়োজনীয়তাও। যতদিন না ওষুধ বেরোচ্ছে, ততদিন বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব। অর্থাৎ কারও বেশি কাছাকাছি যাওয়া চলবে না। তা হলে রোগের বিস্তার হবে ধীর গতিতে। এমনকী অনেকাংশে তাকে থামিয়েও দেওয়া যাবে। এই জন্য এখন আমাদের দেশে লক ডাউন হয়ে রয়েছে। মহামারীর দিনে এই সহজ কথাগুলি শেখাচ্ছেন ডাক্তারবাবুরা। পরীক্ষা দিতে হবে আমজনতাকেই। আমাদের উপরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে দেশের ভবিষ্যৎ। এবার আমাদের দেশত্ববোধের পরীক্ষা। ভারতকে বাঁচিয়ে তোলার পরীক্ষা। কুর্নিশ জানান সেই নিবেদিতপ্রাণ চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের। গলায় স্টেথো। মুখে মুখোশ। হাতে দস্তানা। মনে গভীর সাহস। গর্ব করুন হাজার হাজার ভয়ডরহীন সাংবাদিকদের কথা ভেবেও। মুখে মাস্ক। কাঁধে ক্যামেরা। হাতে বুম। অথবা, নোটবই। করোনা ভাইরাসের মতো এক অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ। যারা অনবরত হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে অতিমারী কভার করতে করতে ভাবছে, শত্রু নিঃশব্দে পিছু নেয়নি তো? ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে না তো? ঝাঁপিয়ে পড়েনি তো ইতিমধ্যেই? লক্ষ্য একটাই, অদৃশ্য শত্রুকে জিততে দেওয়া যাবে না। এই মরিয়া লড়াই জারি থাকুক।
ভারতের জনসংখ্যা এখন প্রায় ১৩৫ কোটি। এমন ঘনবসতিপূর্ণ দেশে করোনাকে এখনও যেভাবে দ্বিতীয় পর্যায়ে আটকে রাখা গিয়েছে, তার প্রশংসা করতে বাধ্য হয়েছে হু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তা মাইকেল জে রায়ান বলেছেন, অতীতে স্মল পক্স ও পোলিও মহামারীর মোকাবিলা করেছে ভারত। এই দেশ করোনা মহামারীর মতো বিপর্যয় মোকাবিলার ক্ষমতা রাখে। রায়ানের আশা, চলতি মহামারী প্রতিরোধে ভারতই সারা বিশ্বকে পথ দেখাবে। আসুন স্বপ্ন দেখি সেদিনের, যেদিন ভয়ের পরে আসবে জয়।