শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
এদিন অমিতবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শে তিনি ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেন এবং আগামী বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে তাঁদের আসতে আমন্ত্রণ জানান। প্রধান মুখ্য উপদেষ্টার কথায়, বেঙ্গালুরু বা মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যগুলির সঙ্গে ব্রাজিলের ব্যবসায়িক সম্পর্ক থাকলেও, পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে তাঁরা তেমন উৎসাহী ছিলেন না এর আগে। কিন্তু তাঁরা এখন সেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ব্রাজিল অর্থনৈতিকভাবে অনেকটাই এগিয়ে। সেখানে জিডিপি’র অঙ্ক প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। মাথাপিছু আয় এখানকার প্রায় পাঁচগুণ। সেদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি টিন, আকরিক লোহা, ফসফেট, হীরে, তামা, বক্সাইটের মতো খনিজ। পাশাপাশি তারা খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ, প্রাণিসম্পদ বিকাশ ও মৎস্যচাষে অনেক এগিয়ে। এদিকে আমরাও ফল ও সব্জি উৎপাদনে যেমন অনেকটা এগিয়ে, তেমনই এখানে মৎস্যচাষ ও পশুপালনও যথেষ্ট ভালো। তাই ব্রাজিলের সঙ্গে আমাদের এই ক্ষেত্রগুলিতে ব্যবসায়িক সম্পর্ক দৃঢ় হতে পারে। ভারতের মোট ইস্পাত রপ্তানির ১২ থেকে ১৪ শতাংশ দখলে রাখে বাংলা। এক্ষেত্রেও তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে পারি আমরা। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ইথানল নীতি ঘোষণা করেছে। অচিরাচরিত শক্তির ক্ষেত্রেও অগ্রণী ব্রাজিল ইথানলকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। এখানেও তারা উৎসাহ দেখিয়েছে। এছাড়া তারা আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি এবং চর্মশিল্প নিয়েও আগ্রহী। যেহেতু বাংলা এবং ব্রাজিলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সাজুয্য আছে, তাই এই রাজ্য নিয়ে উৎসাহ দেখিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। লগ্নি ও ব্যবসার গন্তব্য খুঁজতে আগামী ছ’মাসের মধ্যে ব্রাজিলের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এদেশে প্রতিনিধি দল আসার কথা। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গকে তারা অগ্রাধিকার দেবে বলেই আশাবাদী অমিতবাবু।