শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
সোমবার বিকেল পৌনে ছ’টার সময় লখনউ থেকে রওনা হয়েছিলেন সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেলরা। কিন্তু আবহাওয়ার কারণে কলকাতায় নামা যায়নি। ফ্লাইট ঘুরিয়ে গুয়াহাটিতে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়। রাতের দিকে অবশ্য কলকাতায় ফেরার ক্লিয়ারেন্স মেলে। ঠিক হয়, রাত এগারোটা নাগাদ শহরে পৌঁছবেন নাইটরা। কিন্তু তখনও অবতরণ করা যায়নি কলকাতা বিমানবন্দরে। গুয়াহাটি থেকে ছাড়া চার্টার্ড ফ্লাইট বার কয়েকের চেষ্টাতেও নামতে পারেনি। কারণ সেই ঝড়বৃষ্টি। তখন ফ্লাইট ফের ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বারাণসী। গভীর রাতে সেখানের হোটেলেই চেক-ইন করে গোটা দল। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ বারাণসীর হোটেল থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন নাইটরা। সওয়া একটায় আকাশে ওড়ে বিমান। পৌনে তিনটের সময় কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন শ্রেয়সরা। উৎকণ্ঠার অবসান ঘটে।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার ভোরবেলায় বরুণ চক্রবর্তী, মণীশ পাণ্ডে, বৈভব অরোরা, অনুকূল রায়, চেতন সাকারিয়া, শ্রীকর ভরত, শেরফানে রাদারফোর্দের মতো ক্রিকেটাররা যান কাশী বিশ্বনাথের মন্দিরে। পবিত্র গঙ্গার ঘাট থেকে সূর্যোদয়ের সাক্ষী হন তাঁরা। বিশ্বনাথ দর্শনের পর এবারের আইপিএলে নাইটদের বাজিমাতের সম্ভাবনা আরও বাড়ল বলে মনে করছেন সমর্থকরা। শনিবার ঘরের মাঠে চলতি আসরে শেষ ম্যাচ খেলবে কেকেআর।
হার্দিক পান্ডিয়ারা শহরে আসছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়ের পর। ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। বিধ্বংসী মেজাজে রয়েছেন যশপ্রীত বুমরাহ। বল হাতে অধিনায়ক হার্দিকও ফিরেছেন পুরনো ছন্দে। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে তাঁর তিন উইকেট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। প্লে-অফের সম্ভাবনা না থাকলেও সম্মানের জন্য মরিয়া থাকবেই পাঁচবারের ট্রফিজয়ীরা। ফলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা।
এদিকে, মায়ের অসুস্থতার জন্য আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ছোট্ট বিরতির পর তিনি জলদি যোগ দেবেন নাইট শিবিরে। প্লে-অফে সল্টকে পাওয়ার ব্যাপারে সংশয় রয়েছে কলকাতার। সেজন্যই গুরবাজের উপস্থিতি জরুরি। আর পয়েন্ট টেবিলের যা অবস্থা, তাতে আর একটা জয় পেলেই নক-আউট নিশ্চিত শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজির।