পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
অথচ ইডেনে শুক্রবার শুরুতে দাপট ছিল কেকেআরেরই। দুই ওপেনার সুনীল নারিন ও জনি বেয়ারস্টোর দুরন্ত ব্যাটিংয়ে ঘরের মাঠে প্রথমবার আড়াইশোর বেশি রান তোলে কলকাতা। ৩২ বলে দুরন্ত ৭১ রানের ইনিংসের পথে তিনি মারলেন ৯টি চার ও ৪টি ছয়। ৬টি চার ও ৬টি ছক্কা সহ ৩৭ বলে অপর ওপেনার ফিল সল্টের সংগ্রহ ঝকঝকে ৭৫। কিন্তু তখন কে জানত, ২৬১ রানও জেতার জন্য কম পড়বে? কারা ভেবেছিলেন, চলতি মরশুমে রীতিমতো ধুঁকতে থাকা বেয়ারস্টো এমন রণংদেহী মূর্তি ধারণ করবেন? সত্যিই ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। পাশাপাশি প্রশংসা করতে হবে শশাঙ্ক সিংয়েরও। ৩২ বছর বয়সি এই তারকা উপহার দিলেন ২৮ বলে ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। নিলামে এই শশাঙ্ককে নাকি ভুল করে নিয়ে ফেলেছিল কিংসরা। এমন মধুর ভুল হয়তো বারবার করতে চাইবেন মালকিন প্রীতি জিন্টা।
রান তাড়া করতে নেমে ঝড়ের গতিতে শুরু করে পাঞ্জাব। প্রভসিমরন সিং ও জনি বেয়ারস্টোর দাপটে পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারেই ওঠে ৯৩। মিচেল স্টার্ককে বসিয়ে প্রথম এগারোয় আসা দুষ্মন্ত চামিরা দুই ওভারে দিলেন ৩০। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার অনুকূল রায়ের দুই ওভারে ওঠে ৩৬। শেষ পর্যন্ত নারিনের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হন প্রভসিমরন (২০ বলে ৫৪)। তবে বেয়ারস্টো থামেননি। তাঁর পঞ্চাশ আসে ২৩ বলে। যোগ্য সঙ্গত করেন রাইলি রোসোউ। তবে ভয়ঙ্কর এই জুটিকে ভাঙেন সেই নারিনই। বড় শট খেলতে গিয়ে শ্রেয়স আয়ারের তালুবন্দি হন রোসোউ (২৬)। কিন্তু এই ধাক্কা টের পেতে দেননি চারে নামা শশাঙ্ক সিং। প্রথম বল থেকে মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন তিনি। এদিকে, মাত্র ৪৫ বলে শতরান পূর্ণ করেন বেয়ারস্টো। শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য ৩৪ রানের প্রয়োজন ছিল পাঞ্জাবের। ছয়-চারের বন্যা বইয়ে সহজেই জয়ের কড়ি তুলে নেন বেয়ারস্টোরা।
এদিন নন্দন কাননে টস ভাগ্য সঙ্গী হয়নি নাইট-ব্রিগেডের। তবে প্রথম ওভার থেকেই ঝড় তুললেন ওপেনাররা। পাওয়ার প্লে’তেই স্কোরবোর্ডে ওঠে বিনা উইকেটে ৭৬। মাত্র ২৩ বলেই অর্ধশতরান পূর্ণ করেন নারিন। সল্টের হাফ-সেঞ্চুরি এল ২৫ বলে। ১১তম ওভারে এই জুটি ভেঙে অ্যাওয়ে শিবিরে স্বস্তি ফেরান রাহুল চাহার। বড় শট খেলতে গিয়ে উইকেট ছুড়ে দিয়ে এলেন নারিন (৭১)। সল্ট থামলেন সেঞ্চুরি থেকে ২৫ রান দূরে। এরপর তিনে নামা বেঙ্কটেশ আয়ার অবশ্য শুরু থেকেই চালিয়ে খেলছিলেন। তবে ২৩ বলে ৩৯ করে রান আউট হন তিনি। নারিনের পর দ্রে রাস ঝড়ের জন্য আশায় বুক বাঁধছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু রাসেল জ্বলেই যেন নিভে গেলেন। ১২ বলে তাঁর সংগ্রহ ২৪। ব্যর্থ রিঙ্কু সিংও (৫)। শেষ দিকে দলকে আড়াইশো পার করলেন অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার(২৮) ও রামনদীপ সিং (অপরাজিত ৬)। কিন্তু এই পাহাড় প্রমাণ রানও জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।