পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে থাকা আরসিবি এদিন শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়েছিল ঘুরে দাঁড়াতে। ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক ফাফ ডু’প্লেসি ও বিরাট কোহলি ঝড়ের গতিতে রান যোগ করছিলেন। কিন্তু চতুর্থ ওভারে ডু’প্লেসি ২৫ রান করে নটরাজনের বলে ধরা পড়েন মার্করামের হাতে। ৬ রানে বোল্ড হন উইল জ্যাকস। জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আরসিবি। তবে বরাবরের মতো পরিত্রাতা হয়ে ওঠেন বিরাট। অবশ্য একটা সময় তাঁকেও ছাপিয়ে যান রজত পাতিদার। উদীয়মান এই ভারতীয় ক্রিকেটারটি পাঁচটি ছক্কা ও দু’টি চারের সাহায্যে ৫০ রান করেন। তার ঠিক পরেই আউট হন কোহলি। ৪৩ বলে ভিকে’র সংগ্রহ ৫১। চারটি বাউন্ডারির পাশাপাশি একটি ওভার বাউন্ডারিও হাঁকান তিনি। কোহলি ফেরার পর দলের হাল ধরেন ক্যামেরন গ্রিন। পাঁচটি চারে ২০ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তবে বাকিদের থেকে সেভাবে সাহায্য পাননি অজি অলরাউন্ডারটি। ফিনিশার দীনেশ কার্তিকের সংগ্রহ ৬ বলে ১১। স্বপ্নিল সিং ১২ রানে আউট হন। সানরাইজার্সের হয়ে সর্বাধিক তিনটি উইকেট নেন জয়দেব উনাদকাট। দু’টি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন নটরাজন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ট্রাভিস হেডের উইকেট হারিয়ে জোর ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ। উইল জ্যাকসের বলে তিনি ১ রানে ধরা পড়েন করণ শর্মার হাতে। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে মাথা তোলার চেষ্টা করেছিল সানরাইজার্স। ঝড় তোলার ইঙ্গিত মিলেছিল অভিষেক শর্মার ব্যাটে। কিন্তু ১৩ বলে ৩১ রানে তিনি আউট হতেই আরও চেগে ওঠে আরসিবি। অজ্ঞাতকুলশীল স্বপ্নিল সিং প্রথম ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে লড়াই জমিয়ে দেন। তিনি ফেরান আইডেন মার্করাম (৭) ও হেনরিখ ক্লাসেনকে (৭)। টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ৮৫ রানেই ৬ উইকেট পড়ে যায় হায়দরাবাদের। চাপের মুখে শাহবাজ আহমেদ একদিক আগলে রাখলেও রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ৩৭ বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৫ বলে ৩১ রান করে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। কিন্তু তিনি ফিরতেই কার্যত হার নিশ্চিত হয়ে যায় হায়দরাবাদের। আরসিবি’র বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন স্বপ্নিল সিং, কর্ণ শর্মা ও ক্যামেরন গ্রিন।