ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এদিন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের নিজের গ্রাম পাপুড়িতে এই জনসভা ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুরের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ সহ অন্যান্যরা। বেলা আড়াইটে নাগাদ হেলিকপ্টারে করে সভাস্থলে আসেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। শুরু থেকেই বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানান। প্রধানমন্ত্রীর সভাকে কটাক্ষ করে বলেন, ওদের ভিড় কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর সভার থেকে এদিন নানুরের সভায় তিনগুণ বেশি ভিড় হয়েছে। এরপর তিনি বলেন, ওরা গরিবের টাকা বন্ধ করে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী উদ্দেশে বলেন, বড় বড় ভাষণ না দিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুন। যদি কাজ করেছেন দেখাতে পারেন, তাহলে আমি আর কোনও প্রার্থীর জন্য ভোট চাইতে যাব না।
এরপর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে বলেন, বিজেপির এক নেত্রী এই জনদরদি প্রকল্প বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। এরপর সেই নেত্রীর কণ্ঠস্বরের রেকর্ডিং মঞ্চে শোনান। তার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ওই নেত্রীকে ওরা সাসপেন্ড করেনি। দলগত কোনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি। তাহলে ধরে নেওয়া যায়, এটার পিছনে দলের সমর্থন আছে। তাই বিজেপি প্রার্থী বা নেতারা এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হওয়া নিয়ে কী বলছেন শুনুন। আমরা যতদিন আছি, কেউ আপনার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার স্পর্শ করতে পারবে না।
অভিষেক আরও বলেন, আমি কী খাব, কী পরব সেটা প্রধানমন্ত্রী ঠিক করতে পারেন না। চতুর্থ দফায় তৃণমূলকে ভোট দিয়ে আপনারা বিজেপির কোমর ভাঙবেন। আর শেষ দফায় ডায়মন্ড হারবার থেকে আমি ওদের ঔদ্ধত্য, গর্ব ও অহঙ্কার চূর্ণ করব।
এরপর বঞ্চনা প্রসঙ্গে বলেন, যেভাবে বাংলাকে বঞ্চিত করেছে, তার যোগ্য জবাব ওরা পাবে। বান্ডিল, বান্ডিল টাকা নিয়ে যেতে গিয়ে ধরা পড়ছে। সেই টাকা দিলে নিয়ে নেবেন। এটা আপনার প্রাপ্য টাকা, বাংলার টাকা। দিলে পাঁচ গুণ চাইবেন। এখানে তৃণমূলকে ভোট দেবেন, আর দেখবেন দিল্লিতে ভূমিকম্প হবে। রাজ্যকে ওরা কিছুই দেয়নি। দশ পয়সা দিয়েছে কি না তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। কেন্দ্রের দয়ায় আমরা বেঁচে নেই।