ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
প্রচারে অভিনবত্ব আনতে বুধবার খড়্গপুর-বালেশ্বর লোকাল ট্রেনের সওয়ারি হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। ওইদিন সকালে খড়্গপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে দাঁতনের আঙ্গুয়া স্টেশন পর্যন্ত যাত্রা করেন তিনি। প্রায় ঘণ্টাখানেকের এই যাত্রাপথে ট্রেনে যাত্রীদের সঙ্গে জনসংযোগ করতে দেখা যায় অগ্নিমিত্রাকে। তখনই নিত্যযাত্রীদের কাছ থেকে ধেয়ে আসে একের পর এক প্রশ্ন। পাঁচ বছর আগে রেল নিয়ে দিলীপ ঘোষ যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার কিছুই যে পূরণ হয়নি, সেই অভিযোগও ওঠে অগ্নিমিত্রার কাছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেন দেরিতে চলে ট্রেন, সেই প্রশ্নও করেন অনেকে। ট্রেনে চড়ে খড়্গপুর থেকে বেলদা আসছিলেন বেলদার ব্যবসায়ী বিশ্বনাথ দাস। বেলদার কেশিয়াড়ি মোড়ে অবস্থিত ২৪ নম্বর রেলগেটের উপর ওভারব্রিজ কবে নির্মাণ হবে? অগ্নিমিত্রাকে সামনে পেয়েই সেই প্রশ্ন করেন তিনি।
আগে দাঁতন স্টেশনে জগন্নাথ এক্সপ্রেস দাঁড়াত। কিন্তু করোনার পর থেকে আর দাঁড়ায় না। দীর্ঘ বছর আন্দোলন করে বেলদা-হাওড়া লোকাল পেয়েছিলেন বেলদাবাসী। কিন্তু করোনার সময় থেকে সেই লোকাল ট্রেনও বন্ধ। দাঁতনের তপন দাস, বেলদার দীপক গিরি বলেন, বেলদা-হাওড়া লোকাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সরাসরি কলকাতা যেতে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। আগের সাংসদ দিলীপ ঘোষকে এনিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তিনি লোকাল প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও তা চালু হয়নি।
অভিযোগ শুনে অবশ্য তা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। কার্যত তিনি স্বীকার করেন, এই সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধান করার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভোট না মিটলে এবিষয়ে আমার কিছু করার নেই’। অন্যদিকে, বুধবার বিকালে ‘এক ফোনে দিদিভাই’ কর্মসূচি চালুর কথা বলেন অগ্নিমিত্রা। একটি ফোন নম্বর চালু করেছেন তিনি। অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত ওই নম্বরে ফোন করতে পারবেন মেদিনীপুরবাসী। নিজেদের সমস্যার কথা, মেদিনীপুরের উন্নয়নের কথা, নতুন আইডিয়ার কথা সাধারণ মানুষ জানাতে পারবেন এই নম্বরে।
এনিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার কটাক্ষ, ‘বাংলার দিদি একজনই। তিনি মানুষের সমস্যার সমাধানে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন। নতুন করে কোনও পরিযায়ী দিদিভাইকে মানুষ চায় না।