পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের শেষদিকে হাঁসখালির প্রাথমিক স্কুলের এক পড়ুয়াকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে এলাকারই একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে প্রণয়। পরে ওই নাবালিকা যেতে না চাইলে প্রণয় তাকে সিগারেটের ছেঁকা দিত বলে অভিযোগ। এভাবেই তাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয়। নাবালিকা একদিন তার পরিবারের সদস্যদের ঘটনার কথা সব খুলে বলে। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি হাঁসখালি থানায় অভিযুক্ত প্রণয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার ঠাকুমা। তদন্তে নেমে ২৪দিনের মাথায় প্রণয় ও তার পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর বেশ কিছুদিন বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়েছিল অভিযুক্ত। চোরাকারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবারকে নিয়ে কাঁটাতার পার করে বাংলাদেশ পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল। কিন্তু কাঁটাতার টপকানোর আগেই হাঁসখালির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা থেকে অভিযুক্ত ও তার পরিবারের সদস্যদের ধরে ফেলে পুলিস। প্রণয়ের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা শুরু হয়। পাশাপাশি তথ্য প্রমাণ লোপাট, অভিযুক্তকে আশ্রয় দেওয়া এবং দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টার অভিযোগে প্রণয়ের পরিবারের চার সদস্যের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা হয়। মোট ১৬ জন এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে রানাঘাট মহকুমা আদালতে মামলাটি চলার পর গত ২৫ এপ্রিল প্রণয় সহ তার পরিবারের পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। শুক্রবার সাজা ঘোষণা করেন এডিজে সৌমেন গুপ্ত। মামলাকারীর আইনজীবী রাজশ্রী বেহুরা বলেন, মূল অভিযুক্ত প্রণয়কে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। প্রণয়ের পরিবারের বাকি চার সদস্যকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর আমার মক্কেল বিচার পেলেন।