গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভদীপ হোলি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার গ্রামের বাড়ি এসেছিলেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে আনন্দে সময় কাটান। বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করতে যাওয়ার নাম করে বিকেলে বাড়ি থেকে বের হন। বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় জানিয়ে ছিলেন, ফিরতে রাত হবে। বাড়ি থেকে বেরিয়ে শুভদীপ বন্ধুদের সঙ্গে হোলির পার্টিতে যোগ দেন। রাতে চারবন্ধু মিলে আদ্রার সাহেব বাঁধে নৌকা বিহারে যান। সেখানেই অসাবধানতাবশত নৌকাটি উল্টে যায়। নৌকায় থাকা চার বন্ধু জলে পড়ে যান। বাকি তিন বন্ধু সাঁতার দিয়ে বাঁধের পাড়ে উঠতে সক্ষম হন। কিন্তু, শুভদীপ জলে তলিয়ে যান। তিন বন্ধু মিলে দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরেও সন্ধান না পেয়ে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিস আসে। রঘুনাথপুরের বিপর্যয় মোকাবিলার টিমকে খবর দেওয়া হয়। রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের সদস্যরা তল্লাশি চালান। কিন্তু, শুভদীপের কোনও সন্ধান পাননি। রাতে শুভদীপের সঙ্গে থাকা এক বন্ধুকে নিয়ে বুধবার সকাল ৮টা থেকে পুনরায় বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের সদস্যরা খোঁজ শুরু হন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর শুভদীপের দেহ উদ্ধার হয়।
জানা গিয়েছে, সন্ধ্যার পর সাহেব বাঁধে নৌকাবিহার বন্ধ। তারপরেও রাতে কীভাবে চার বন্ধু নৌকাবিহারে গেলেন, কে বা অনুমতি দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের সদস্য কাজল বাউরি বলেন, খবর পেয়ে রাতেই আমরা খোঁজ শুরু করি। কিন্তু, ঠিকমতো লোকেশন না জানতে পারার জন্য ভোর ৪টে পর্যন্ত খোঁজ করার পরেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিন সকালে দেহ উদ্ধার হয়।
গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভদীপ কয়েক বছর আগে কলকাতা পুলিসের কনস্টেবল পদে চাকরিতে যোগদান করেন। আড়াই বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। বর্তমানে তাঁর তিনমাসের একটি সন্তান রয়েছে। বৃদ্ধ বাবা, মা ও স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর সংসার। তাঁর পরিবার আদ্রাতেই থাকত। তাঁর মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুভদীপের স্ত্রী সোমা সাম্বি বলেন, গভীর রাত হলেও ও বাড়ি ফেরেনি। আমি অনেকবার যোগাযোগের চেষ্টা করি। কিন্তু, ফোন বন্ধ ছিল। দুশ্চিন্তা হচ্ছিল। পরে আদ্রা থানা থেকে আমাকে ফোন করা হয়। স্বামী নৌকা উল্টে মারা যেতে পারে না। ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করছি।