শ্লেষ্মাদি ও বাতজ রোগে দেহকষ্ট হতে পারে। কাজকর্মে বাধার মধ্যে অগ্রগতি। আর্থিক দিক শুভ। ... বিশদ
স্থানীয়রা বলছেন, গ্রামকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প চালু হয়েছিল। এই প্রকল্পের জন্য প্রতিটি বাড়ি থেকে ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। কিছুদিন পরই বুড়ি বালাসন এলাকায় পরিষেবা বন্ধ হয়ে পড়ে। তারপর থেকে যাবতীয় আবর্জনা ওই আন্ডারপাসে ফেলা হচ্ছে। দুর্গন্ধের জেরে দুই পাড়ার লোকদের নাকে রুমাল ঢেকে চলাচল করতে হচ্ছে।
এবিষয়ে গ্রামের মহিলারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাড়ির আবর্জনা ফেলার মতো নির্দিষ্ট জায়গা নেই। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট চালু হওয়ায় খুশি হয়েছিলাম। পরিষেবা হঠাত্ বন্ধ হওয়ায় অনেকে রাস্তার পাশে এবং আন্ডারপাসে আবর্জনা ফেলছেন। প্রসেনজিৎ সরকার নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, প্রকল্প চালুর পরই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম প্রথম আবর্জনা সংগ্রহের গাড়ি আসলেও তারপর থেকে আর আসেনি। কয়েকমাস ধরে গাড়ি না আসায় রাস্তার পাশে অনেকেই আবর্জনা ফেলছেন। ফলে মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ছে। গীতা রায় নামে মহিলার মন্তব্য, আবর্জনা সংগ্রহর জন্য ১০০ টাকা জমা করেছিলাম। কিন্তু স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য হেমন্ত মণ্ডল বলেন, এর আগে গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈঠকে এই সমস্যটি তুলে ধরেছিলাম। এই পরিষেবা চালুর জন্য ফের কথা বলব।
এই ব্যাপারে লোয়ার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, আবর্জনা ফেলার জায়গা না থাকায় ২টি সংসদে এই প্রকল্পের পরিষেবা আপাতত চালু রয়েছে। আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না পাওয়া পর্যন্ত বাকি সংসদে এই পরিষেবা চালু করা যাচ্ছে না। তবে নতুন জায়গা খোঁজা হচ্ছে। দ্রুত এই প্রকল্প চালুর চেষ্টা হবে।