ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
বুধবার মালতীপুরের কাণ্ডারণে জনসভায় যোগ দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দুপুরে হেলিকপ্টারে চেপে সেখানে পৌঁছন তিনি। বিধায়ক ও সাংসদদের পাশে বসিয়ে জনগণের উদ্দেশে ভোট প্রার্থনা করেন অভিষেক। দলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে মালদহের দুটি আসন তৃণমূল পায়নি। এই আক্ষেপ রয়েছে নেতৃত্বের। অভিষেকের প্রতিশ্রুতি, আপনারা এবার আমাদের জেতান। তাহলেই আপনাদের অধিকার দিল্লি থেকে ছিনিয়ে আনব।
মালদহ উত্তরে গত লোকসভায় প্রায় ৮৪ হাজার ভোটে তৃণমূল প্রার্থী মৌসম নুরকে হারিয়ে জয়ী হন বিজেপির খগেন মুর্মু। কংগ্রেসের ঈশা খান চৌধুরী পান তিন লক্ষাধিক ভোট। সেই ভোট তৃণমূলের ঝুলিতে পড়লে মানুষেরই লাভ হত বলে মন্তব্য করেন অভিষেক। তাঁর সন্দেহ, আতাঁত করে ফের এই আসনে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে চাইছে কংগ্রেস।
পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকেও তোপ দাগেন অভিষেক। শাহকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেন, দম থাকলে ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়ান। এখনও মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় আছে। যদি জিততে পারেন, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। বাংলায় ইন্ডিয়া জোট না হওয়া নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’। অভিষেকের কথায়, অধীর-সেলিমদের জন্যই বাংলায় ইন্ডিয়া জোট বাস্তবায়িত হয়নি। অধীররঞ্জন চৌধুরী বিজেপির দালালি করছেন বলেও দাবি অভিষেকের।
এরই পাল্টা মালদহ জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আলবেরুনি জুলকারনাইন বলেন, হারের ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই অধীরের বক্তব্য বিকৃত করে হাওয়া তুলতে চাইছে তারা। উপস্থিত মহিলাদের উদ্দেশ্যে অভিষেক বলেন, দিল্লির যত বড় বিজেপি নেতাই আসুন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে দেব না। বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর কাজ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। যদিও তৃণমূল নেতার বক্তব্যকে গুরুত্বই দিচ্ছেন না খগেন। এবারও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বিজেপি প্রার্থী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মালদহ উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।-নিজস্ব চিত্র