পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী দিয়ে সাকুল্যে ২৭ হাজার ভোট পেয়েছিল। তবে পঞ্চায়েত ভোটে গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে না পারলেও কংগ্রেস বেশকিছু আসন পেয়েছিল। সেজন্য কংগ্রেস এবার লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ারে প্রার্থী দিতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রদেশ নেতৃত্বের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত ফ্রন্টের প্রার্থী আরএসপির মিলি ওরাওঁকে সমর্থন করতে বাধ্য হয় জেলা কংগ্রেস। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, সিপিএমকে এখন তাদের দল ‘মিত্র’ হিসেবেই দেখে। ফলে এবার লোকসভা ভোটে আরএসপির বদলে যদি সিপিএমের প্রার্থী থাকত তাহলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের দলের রাজনৈতিক সমীকরণও পাল্টে যেত। কিন্তু আরএসপি সম্পর্কে ‘অ্যালার্জি’ রয়েছে কংগ্রেস কর্মীদের। কারণ একটাই ২০১৬ সালে আলিপুরদুয়ার বিধানসভা কেন্দ্রের সেই যন্ত্রণা।
ফলে ১৯ এপ্রিল আলিপুরদুয়ারে ভোট মিটে গেলেও কংগ্রেসের ভোট বাম প্রার্থী কতটা টানল তা নিয়ে এখনও চর্চা চলছেই। যদিও জেলা কংগ্রেস সভাপতি শান্তনু দেবনাথ বলেন, দলের প্রদেশ নেতৃত্বের নির্দেশে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী সর্বতোভাবে বাম প্রার্থী আরএসপির মিলি ওরাওঁকে সমর্থন করেছেন। বাম প্রার্থীর সমর্থনে এবার জোরদার প্রচারও করেছি। ফলে কংগ্রেসের বিপুল ভোট বাম প্রার্থীর ঝুলিতে গিয়েছে।
জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক সিপিএমের জেলা সম্পাদক কিশোর দাস বলেন, কংগ্রসের কর্মী সমর্থকরা এবার বাম প্রার্থীর হয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই প্রচারে নেমেছিলেন। ফলে ভোট মিটে যাওয়ার পর কংগ্রেসের ভোট নিয়ে কারও কোন সন্দেহ থাকা উচিত নয়।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে আলিপুরদুয়ার বিধানভা কেন্দ্রে আরএসপির প্রার্থী নির্মল দাস থাকা সত্বেও বড় শরিক সিপিএম কংগ্রেস প্রার্থী বিশ্বরঞ্জন সরকারকে সমর্থন করেছিল। আরএসপি প্রার্থী নির্মলবাবু সেবার মাত্র সাত হাজার ভোট পেয়েছিলেন। সঙ্গত কারণেই আরএসপির জেলা সম্পাদক সুব্রত রায় বলেন, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে সিপিএম সমর্থন করেছিল কংগ্রেসকে। ফলে আমাদেরও তো যন্ত্রণা ছিল। তবে সেসব এখন অতীত। কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা এবার মনেপ্রাণেই আরএসপি প্রার্থীর হয়ে ভোটে লড়েছেন।