বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এ বছর ভোটপর্বে মহিলাদের অংশীদারিত্বের ব্যাপারে গুরুত্ব বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন। জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রে ১৪৯টি মহিলা পরিচালিত বুথ করা হয়েছে। ১৩টি থিম নির্ভর বুথও হয়েছে। সেখানেও মহিলাদের অংশীদারিত্বে উজ্জ্বল গণতন্ত্র, ভোটে মহিলাদের অংশগ্রহণের মতো থিম আছে। এমন আবহে জেলাশাসকের এগিয়ে আসাতে আপ্লুত মহিলা ভোটকর্মীরা। জেলাশাসক বলেন, আগে জেলার প্রত্যেক বিধানসভায় এক-দু’টার বেশি মহিলা বুথ হতো না। এখন সংখ্যা অনেক বাড়ানো হয়েছে। নারী শক্তির উপর সকলের ভরসা আছে। আমাদের নারী ব্রিগেড যথেষ্ট শক্তিশালী। প্রথমবার ভোটে অংশ নেওয়ার কারণে আমাদের মহিলা ভোটকর্মীদের একটু ভয় ছিল। পাছে ভুল ত্রুটি কিছু হয়ে যায়। তাই ওঁদের সঙ্গে কথা বলি। সাহস দিই। বলেছি, প্রথমবার কোনও কাজে অংশ নিলে ভুল হওয়ার ভয় থাকে। কিন্তু প্রথম থেকেই সতর্ক থাকলে কোনও ভুল হবে না বলেই বিশ্বাস করি। সেকথাই ওঁদের বলেছি। তাতে ওঁরাও সাহস পায়।
ভূষকাডাঙা ভোলানাথ হাইস্কুলে ভোটের ডিউটি পড়েছে ভোটকর্মী মামণি কুণ্ডু, সঞ্জিতা দাস বণিকের। জেলাশাসকের সঙ্গে কথোপকথনের পর তাঁরা বলেন, জেলাশাসক যে এভাবে আমাদের সাহস জোগবেন ভাবিনি। আগে বিধানসভায় ভোটের ডিউটি করেছিলাম। তারপর এবার করছি। আশা করছি সমস্যা হবে না।
প্রসঙ্গত, জেলায় ভোটকর্মী হিসেবে অংশগ্রহণকারী মহিলার সংখ্যা ছ’শোর বেশি। জেলার ভোট পরিচালনাকারী আধিকারিকদের তালিকাতে রয়েছেন খোদ জেলাশাসক তথা জেলার নির্বাচন আধিকারিক শমা পরভীন। ভোট পরিচালনার বিভিন্ন দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দুই অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রিয়দর্শনী ভট্টাচার্য, তেজস্বী রানা ছাড়াও ধূপগুড়ির মহকুমা শাসক পুষ্পা লেপচা সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিক। নিজস্ব চিত্র