গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ধূপগুড়ির বিধানসভা এলাকায় গ্রেন্দাপাড়া, কারবালা, রেডব্যাঙ্ক, ডুডুমারি, মঙ্গলকাটা চা বাগান রয়েছে। বাগান এলাকায় বুথ রয়েছে ৩০টি। প্রতি বুথে অন্তত প্রায় একহাজার করে ভোটার। সেই মতো এই পাঁচটি বাগান মিলিয়ে ভোটাদাতার সংখ্যা অন্তত ৩০ হাজার। এর সঙ্গে পরোক্ষভাবে চা বাগানের সঙ্গে যুক্ত অথবা চা বাগান এলাকার বাসিন্দা মিলিয়ে ভোটদাতার সংখ্যা ৫০ হাজারের কাছাকাছি। এই ভোট নিজেদের বাক্সে পুড়তে পারলেই জলপাইগুড়ি আসন জয়ে অনেকটা পথ সহজ হয়ে যাবে প্রার্থীদের।
ভোটের নির্ঘণ্ট বাজতেই দুই দলের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা প্রচার করছেন। চা বলয়ের মন পেতে তৃণমূলের হাতিয়ার রাজ্য সরকারের ঘোষণা করা চা বাগানের জমির পাট্টা। তেমনই বিজেপিকে বিঁধতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলার কথাও তাঁরা তুলে ধরবেন। তৃণমূল প্রার্থী বলেন, পরবর্তী ধাপে আমি চা বাগানে গিয়ে প্রচার করব। চা বাগানের নেতা ছিলেন জন বারলা। তিনি সাংসদে গিয়ে চা শ্রমিকদের জন্য কি করছেন, প্রশ্ন প্রার্থী নির্মলবাবুর। বিজেপি প্রার্থী বলেন, এদিন মনোনয়মপত্র জমা দিলাম। চা বাগান এলাকাতেও যাব। সব প্রশ্নেরই আমরা জবাব দেব। বামপ্রার্থী দেবরাজ বর্মন বলেন, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার এই পাঁচটি বাগানের জন্য কিছুই করেনি। তাই ওরা বাগানে যেতে ভয় পাচ্ছে। তবে আমি সেখানে প্রচারে যাব।
চা শ্রমিকদের প্রতি রাজ্য সরকারের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে প্রচার করবে বিজেপি। তবে চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের আঞ্চলিক সভাপতি অজয় মহালি বলেন, আমরা সম্পূর্ণ জমির পাট্টার দাবি করলেও রাজ্যের তরফে মাত্র ৫ ডেসিমেল জমির পাট্টা দেওয়া হচ্ছে। এই এলাকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকা সত্ত্বেও বাগানগুলি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার চা শ্রমিকদের জন্য কিছুই করেনি। সেজন্য প্রচারে আসতে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল ও বিজেপির প্রার্থী। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একমাত্র চা শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বলে দাবি তৃণমূল প্রভাবিত চা বাগান শ্রমিক সংগঠনের নেতা বিরাজ লাকড়ার। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পেই চা শ্রমিকদের ভরসা।
একটা সময়ে এই চা বলয়ে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। যদিও এখনও তার ব্যতিক্রম নয় বলে মনে করছেন গেরুয়া শিবির। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক মাধব রায় বলেন, কেন্দ্রের ১২৭টি প্রকল্পে চা শ্রমিকরা আজ উপকৃত। প্রার্থী শীঘ্রই ওই এলাকায় প্রচারে যাবেন।