বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ইরানের হামলার পরেই তেল আভিভে শীর্ষ সেনাকর্তা ও মন্ত্রীদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তবে এখনও জবাব দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি। এই আবহে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘বন্ধু’ আমেরিকা ও ব্রিটেন। সপ্তাহ শেষের ছুটি কাটছাঁট করে হোয়াইট হাউসে ফিরে নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাঁর অভিযোগ, ইয়েমেন, সিরিয়া ও ইরাকের বিভিন্ন গোষ্ঠী ইরানকে সাহায্য করছে। ব্রিটেনের মুখ্যমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানিয়েছেন, ব্রিটিশ সেনাও ইজরায়েলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একাধিক ড্রোন মাঝ আকাশে ধ্বংস করেছে। তবে ইরানের বিরুদ্ধে ইজরায়েল কোনও পদক্ষেপ করলে তাতে আমেরিকা যোগ দেবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাইডেন। অবশ্য এই ঘোষণার আগেই ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, আমেরিকা যদি ইজরায়েলকে কোনওভাবে সাহায্য করে, তাহলে মার্কিন সেনাঘাঁটিগুলিতেও আক্রমণ করা হবে।
গত বছর ইজরায়েলে প্যালেস্তাইনের জঙ্গিগোষ্ঠী হামাস হামলা চালায়। প্রত্যুত্তরে প্যালেস্তাইন আক্রমণ করে ইজরায়েল। তখন হিজবুল্লা, হুথি ও হামাস সহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীকে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য টানা সাহায্য করছিল ইরান। এর জেরে ইজরায়েলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে। এর মধ্যেই গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে বিমান হামলা হয়। তাতে ইরানের একাধিক শীর্ষ সেনাকর্তার প্রাণ যায়। এরপরই ইজরায়েলে আক্রমণ চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইরান। সেটাই করল তারা। তবে এখানেই থেমে থাকতে নারাজ ইরান। ইজরায়েল পাল্টা জবাব দিলে আরও বড় হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে তেহরান। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি থামানোর জন্য রবিবার সব পক্ষের কাছে আবেদন করেছেন পোপ ফ্রান্সিস।