বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তাই এবার আর ঝুঁকি নেননি গেহলট। রাজধানী জয়পুর থেকে প্রায় সাড়ে চারশো কিলোমিটার দূরে পিছিয়ে পড়া এলাকা ঝালোর। এখানে ওবিসি, এসসি, সিরভি জাতির বাস। ওবিসির মধ্যে মালি সম্প্রদায় সিংহভাগ। বৈভবের ক্ষেত্রে এটি ‘এক্সট্রা অ্যাডভান্টেজ।’ তিনিও মালি। তবে শুধু জাতপাতের অঙ্কে যে জেতা অসম্ভব, ভালোই জানেন অশোক গেহলট। বৈভবও। তাই প্রচারে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
এবারও না জিতলে বৈভবের রাজনৈতিক কেরিয়ারে প্রশ্নচিহ্ন পড়ে যাবে। তাই জয়পুর ছেড়ে পড়ে আছেন ঝালোরে। সিরোহীতে বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। সেখান থেকেই চলছে নির্বাচনী প্রচার। স্রেফ একা নন। পুরো পরিবার। বৈভবের স্ত্রী হিমাংশী, কন্যা কস্যিনী, অশোক গেহলটের ভাগ্নে রণবীর সিংয়ের পুত্র রাজবীর সিং, জামাতা অতুল সাঁকলা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। ঝালোরে ভোট ২৬ এপ্রিল।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী থেকে শুরু করে প্রদেশ কংগ্রেসের তাবড় নেতানেত্রীদের মাঠে নামানো হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীরাও আসছেন ঘন ঘন। যদিও এখনও পর্যন্ত বৈভবের জন্য প্রচারে আসেননি শচীন পাইলট। মুখে ‘সব মিটে গিয়েছে’ বলে কংগ্রেস দাবি করলেও গেহলট-পাইলট লড়াই এখনও যে তলে তলে জারি, সেটা স্পষ্ট।
ঝালোর লোকসভা কেন্দ্রে এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস আটবার, বিজেপি পাঁচবার জিতেছে। আগে কেন্দ্রটি ছিল সংরক্ষিত। এসসি। এখান থেকেই একসময় জিতছেন কংগ্রেসের বুটা সিং। কিন্তু আসন পুনর্বিন্যাসের জেরে যবে থেকে কেন্দ্রটি সংরক্ষণের বাইরে সাধারণ হয়েছে, সেদিন থেকে কংগ্রেসের হাতছাড়া। এই লোকসভার অধীনে রয়েছে ভিনমাল, রানিওয়ারা, সিরোহী, পিন্ডওয়ারা-আবুর মতো আট বিধানসভা। যার মধ্যে ২০২৩ সালের ভোটে বিজেপির দখলে চার এবং কংগ্রেসের ঝুলিতে তিনটি বিধানসভা। একজন নির্দল বিধায়ক।
রাজস্থানে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদল একপ্রকার দস্তুর। তাই বিধানসভার প্রভাব লোকসভায় পড়বে না বলেই মনে করছে গেহলট পরিবার। বৈভবের বিপরীতে প্রার্থী বিজেপির লুম্বারাম চৌধুরী। প্রথমবার লড়ছেন। তিনবারের বিজেপি এমপি দেবজি মানসিংরাম প্যাটেলের টিকিট কাটা গিয়েছে। তাই বৈভবের লড়াইটা অনেকটাই সহজ বলেই
কংগ্রেসের বিশ্বাস।