শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
বৈধ অনুমতিপত্র নিয়ে সুন্দরবনে জঙ্গলে মাছ এবং কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন শেফালি সর্দারের স্বামী দিলীপ সর্দার। ২০২২ সালের ১২ নভেম্বর বাঘের আক্রমণে তাঁর মৃত্যু হয়। অভিযোগ, এরপর প্রায় দু’বছর ধরে বনদপ্তর সহ সমস্ত সরকারি দপ্তরে আবেদন করেও শেফালিদেবী কোনও ক্ষতিপূরণ পাননি। পরে তিনি মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআরের মাধ্যমে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
অন্যদিকে, মইপিটের বাসিন্দা তপতী দণ্ডপাটের স্বামী অমল দণ্ডপাটও বনদপ্তরের অনুমতিপত্র নিয়ে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর তাঁদের নৌকায় হামলা চালায় বাঘ। অন্যরা পালিয়ে গেলেও অমলবাবু বাঘের আক্রমণে গুরুতর আহত হন। পরে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার বিচারপতি ভট্টাচার্যের এজলাসে মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে সওয়াল করা হয়, দিলীপ সর্দারের মৃত্যু হয়েছে মাথায় আঘাত লেগে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তেমনই উল্লেখ রয়েছে। ফলে তিনি বাঘের আক্রমণে মারা গিয়েছেন, এটা বলা যাবে না। পাশাপাশি অমল দণ্ডপাট যেহেতু জঙ্গলের ‘কোর’ এলাকায় বাঘের আক্রমণে মারা গিয়েছেন, তাই ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাবে না বলে সওয়াল করে রাজ্য। কিন্তু শেফালিদেবী ও তপতিদেবীর আইনজীবী কৌশিক গুপ্ত এবং শ্রীময়ী মুখোপাধ্যায় তথ্য সহ পাল্টা সওয়াল করেন। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর দুই বাঘ বিধবাকেই আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি ভট্টাচার্য।