পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
ইতিমধ্যেই বনগাঁ ও মেদিনীপুর লোকসভা আসনকে ঘিরে সাংগঠনিক বৈঠক করেছেন সুব্রতবাবু। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। প্রাথমিকভাবে গোষ্ঠী বিবাদ মিটিয়ে দলের সংগঠনকে নির্বাচনমুখী করার উপর জোর দিয়েছেন তিনি। সংগঠনে কোথায় কী সমস্যা, সমাধানের পথ কী, সেটাই দেখছেন বক্সি। মূলত কর্মিসভার উপর বিশেষ জোর তাঁর। এই কর্মিসভার মধ্যে দিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র স্থাপন করে সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করছেন তিনি। তাতে আশানুরূপ ফল হয়েছে বলে দাবি তাঁর। বনগাঁ লোকসভার অন্তর্গত বিজেপির দখলে থাকা কল্যাণী এবং হরিণঘাটা বিধানসভায় কর্মীদের নিয়ে বিশেষ সভা করেছেন সুব্রত বক্সি এবং জয়প্রকাশ মজুমদার। বনগাঁ লোকসভা দেখার জন্য বিশেষভাবে নিয়োগ করা হয়েছে নারায়ণ গোস্বামীকে। বনগাঁ লোকসভার সাতটি বিধানসভার মধ্যে তৃণমূলের দখলে আছে শুধু স্বরূপনগর। কিন্তু সেখানেও দলে বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। বক্সি-জয়প্রকাশ-নারায়ণের তত্ত্বাবধানেই সেখানে সংগঠন মেরামতির কাজ চলছে। বাগদা বিধানসভার কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয় হেলেঞ্চায়। বনগাঁ উত্তর বিধানসভার কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয় বনগাঁ শহরে। একইদিনে সন্ধ্যায় গাইঘাটা এবং বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা নিয়ে সম্মিলিত কর্মিসভা হয় গোবরডাঙা টাউন হলে। এই সভায় পুরনো কর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
একইভাবে মেদিনীপুরে জেলাভিত্তিক এবং বিধানসভা ভিত্তিক কর্মিসভা করেন সুব্রত বক্সি এবং জয়প্রকাশ মজুমদার। নারায়ণগড় এবং কেশিয়ারিতে বিক্ষুব্ধদের দলের কাজে যুক্ত করার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আসানসোল এবং আরামবাগে যে দলীয় সমস্যা ছিল, তা মেটানোর চেষ্টা করেছেন সুব্রতবাবু। তৃণমূলের অভিজ্ঞ সৈনিক সুব্রত বক্সির মতে, এবার বনগাঁ ও মেদিনীপুর দু’টি লোকসভা আসনই আমরা জিতব।