নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘যাঁরা ৮ ঘণ্টা সৌহার্দ্য ও শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের উৎসব পালন করতে পারেন না, জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের জন্য ভোট দেওয়ার কোনও অধিকার তাঁদের নেই। নির্বাচন কমিশনকে ভোট পিছিয়ে দিতে বলব।’ মুর্শিদাবাদে রামনবমীর অশান্তির ঘটনার প্রেক্ষিতে এমনই কড়া বার্তা দিল হাইকোর্ট। রামনবমীর অশান্তির ঘটনায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এই ঘটনায় সিবিআই ও এনআইএ তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে আর একটি মুসলিম সংগঠনও। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির সামনে রামনবমীর অশান্তির ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং মুসলিম সংগঠনের আইনজীবীরা জানান, বেলডাঙা ও শক্তিপুর থানার ওই এলাকায় আগেও অনেক ধর্মীয় উৎসব হয়েছে। কিন্তু কোনও দিন কোনও অশান্তি হয়নি। এবারই এমনটা ঘটেছে।এরপরই উদ্বেগ প্রকাশ করে বহরমপুরের ভোট পিছিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ওই কেন্দ্রে ভোটের দরকার নেই। নির্বাচন কমিশনকে বলব ভোট পিছিয়ে দিতে।’ সেইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘এই ঘটনায় কে প্ররোচনা দিল, তা জানা দরকার। কারণ উভয়পক্ষই বলছে, এর আগে কোনও অশান্তির ঘটনা কোনও দিন ঘটেনি। তাহলে এবার নিশ্চয় কোনও প্ররোচনা দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।’ এরপরই রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে হলফনামা আকারে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। পরবর্তী শুনানি ২৬ এপ্রিল। ওইদিন এই ঘটনার উপর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
হাইকোর্টের এই নির্দেশ প্রসঙ্গে বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন পিছিয়ে দেবে কি না, সেটা নির্বাচন কমিশনের উপর নির্ভর করে। নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া কোনও সমাধানের মধ্যে পড়ে না। নির্বাচন করতে হবে এবং তা সুষ্ঠুভাবেই করতে হবে। এটাই আমাদের দাবি।’