গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
চিকিৎসকরা সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, খুব কম এবং খুব বেশি বয়সিদের ক্ষেত্রে সাবধান থাকতে হবে। রাজ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসের দাপট চলছে। পঞ্চাশোর্ধ্বদের অনেকেই কম সময়ের মধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। দুই ফুসফুসে নিউমোনিয়ার জন্য ভর্তি থাকতে হচ্ছে হাসপাতালে। অল্প বয়সিদের মধ্যে নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব ততটা না-হলেও জ্বরের সঙ্গে কাশি ও গলাব্যথা—এক থেকে দু’সপ্তাহ থাকছে। চিকিৎসকদের মতে, জ্বরে দুমদাম অ্যান্টিবায়োটিক একদম নয়। তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকলে প্রতি ৫ ঘণ্টা অন্তত প্যারাসিটামল দেওয়া যেতে পারে। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে জল, ডাবের জল, রসাল ফল এবং হালকা খাওয়া-দাওয়াই পথ্য। সঙ্গে দরকার বিশ্রাম।
বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সৌমিত্র ঘোষ বলেন, গতবছরের তুলনায় এবছর ভাইরাল ইনফেকশনের দাপট বেশি। এবছর ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসে সংক্রামিত হচ্ছেন বহু মানুষ। যাঁদের বয়স একটু বেশি, তাঁদের অনেকেই নিউমোনিয়ার আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালে ভর্তি রেখে অক্সিজেন, কিছু ক্ষেত্রে স্টেরয়েড দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হচ্ছে। আর অল্পবয়সিদের ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে কাশি থেকে যাচ্ছে অনেক দিন। বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অরুণ মাঙ্গলিক বলেন, ঠান্ডা-গরমের জন্য বাচ্চারা ভুগছে বেশি। তিন থেকে পাঁচদিন ১০২ থেকে ১০৩ ডিগ্রি টেম্পারেচার থেকে যাচ্ছে অনেকের। তারপর জ্বর কমলেও শরীর দুর্বল থাকছে। ওষুধপত্র গ্রহণের পাশাপাশি, পর্যাপ্ত জল খাওয়ার উপরও জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।