শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে না পারলেও, সেখানকার বিধানসভা ভোটে ভালো ফল করেছে কংগ্রেস। মাত্র মাস পাঁচেক আগে হওয়া লোকসভা ভোটে বিজেপির বিপুল জয়ের পর ওই দুই বিধানসভার ফলাফলে উজ্জীবিত কংগ্রেস। তারই প্রেক্ষিতে গত ২ নভেম্বর দলের সমস্ত শাখা সংগঠন ও রাজ্য নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সেখানেই স্থির হয়, দেশজুড়ে চলতি আর্থিক মন্দার ইস্যু নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে পথে নামবে দল। সেই বার্তা দিতেই এদিন কলকাতায় বিধান ভবনে সুস্মিতা দেব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন। এআইসিসির অন্যতম মুখপাত্রের দাবি, কংগ্রেস তার সমমনোভাবাপন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে মোদির আর্থিক নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল করতে উদ্যোগ নেবে। এদিন সুস্মিতা বলেন, দেশের আর্থিক মন্দার কথা ধামাচাপা দিতে বিজেপি সরকার জাতীয়বাদের অজুহাত দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিকে তিনি অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা বলে দাবি করলেন। সোমেন মিত্র বলেন, সাতাত্তর সালে মোরারজি সরকারের আমলে আর্থিক সঙ্কটে পড়ে কেন্দ্র দেশের সোনা বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিল। ফের মোদিও তাঁর তৈরি আর্থিক নীতির জেরে অভূতপূর্ব সঙ্কট ডেকে এনেছেন। এবার তাঁরও নজর সোনার দিকে। মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রীর কটাক্ষ, মেয়েদের সোনাও বিজেপি সরকারের আমলে সুরক্ষিত নয়। পাশাপাশি, বিরোধীদের দমন পীড়নেও মোদি সরকারের আগ্রাসী মনোভাব স্পষ্ট বলে কংগ্রেসের দাবি। এদিন সুস্মিতা বলেন, শুধু সোনিয়া গান্ধী বলেই নন, দেশের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে সাংবাদিকদের ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। মোদি তা নিয়ে মুখ খুলছেন না। ব্যক্তির গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘন করছে এই সরকার। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মোবাইল ফোনে আড়িপাতা নিয়ে কেন্দ্রের শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। যদিও বাংলার রাজ্যপাল সেই প্রসঙ্গে ঘুরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দিকেই আড়িপাতা নিয়ে পাল্টা ইঙ্গিত করেছেন। এদিন সুস্মিতা অবশ্য রাজ্যপালকেই বিঁধেছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রের মোদি সরকার কেন আড়িপাতার বিষয়ে মুখ খুলছে না, তা নিয়ে রাজ্যপালের কোনও বক্তব্য শোনা যায়নি। তাঁর কথায়, আর্থিক মন্দার জেরে দেশবাসী বিপদে। তবে বাংলার মানুষের বিপদ আরও বেশি। কেননা, এখানকার সরকার কর্মসংস্থানে নজর দেয়নি। তাই বাংলা থেকে ভিন রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ছে। এখানকার সরকার প্রতি বছর ঘটা করে শিল্প-বাণিজ্য সম্মেলন করলেও তা থেকে কতটুকু লগ্নি বা কর্মসংস্থান হচ্ছে, তা জানা যায় না।