শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের জামুইয়ের বাসিন্দা নীতীশ মাস ছয়েক আগে ফুলবাগানে দিদির কাছে আসেন। তাঁর জামাইবাবু কলকাতা পুরসভায় সাফাই বিভাগের কর্মী। ফুলবাগান এলাকায় একটি ভুজিয়ার দোকানে কাজ করতেন নীতীশ। একই কোয়ার্টারে থাকে অভিযুক্তরা। তাদের বাবাও পুরসভার সাফাই দপ্তরে কর্মরত। ওই কোয়ার্টারের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রবিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ জলের বোতল নিয়ে ছাদে শুতে যান নীতীশ। সেখানে বসে মদ, গাঁজা খাচ্ছিল আকাশ ও তার তিন ভাই। তারা জলের বোতল চাইলে দিতে রাজি হননি নীতীশ। জোর করে কেড়ে নিয়ে অভিযুক্তরা বোতলের জল পান করার পর সেটি দুমড়ে মুচড়ে ফেলে দেয়। এতে রেগে গিয়ে নীতীশ বলেন, কাজটি ঠিক হল না। তখনই তাঁর উপর আকাশ ও তার ভাইরা চড়াও হয়ে খুন করতে উদ্যত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিসকে জানিয়েছে, গাঁজা কাটার ছুরিটি নীতীশের বুকের বাঁদিকে বসিয়ে দেয় আকাশ। অন্যরা তাঁকে কাঁচি দিয়ে পেট ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে। শুধু তাই নয় প্লায়ার্স দিয়েও মারা হয় মাথায়। ছাদে অচৈতন্য হয়ে পড়েন নীতীশ। এরপরই ছাদ থেকে নেমে পালায় অভিযুক্তরা। তাদের পালাতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় কোয়ার্টারের লোকেরা ছাদে উঠে দেখেন, নীতীশ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিস এসে নীতীশকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়। আকাশকে এলাকা থেকে ধরা হয়। জেরায় সে পুলিসকে জানিয়েছে, সকলে মিলে খুন করেছে নীতীশকে। বাকিদের খোঁজা হচ্ছে।