ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
ঘটনাটি বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গাইঘাটা বিধানসভার গোবরডাঙা খাটুরা হাইস্কুলের। ১৮৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি এখনও পঠনপাঠনে নিজেদের গরিমা ধরে রেখেছে। এলাকার মানুষ রীতিমতো গর্ব করে এই স্কুল নিয়ে। সদ্য বিদায়ী সাংসদ শান্তনু ঠাকুর তাঁর উদ্যোগে পাঁচ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, গোবরডাঙা খাটুরা হাইস্কুলে স্মার্ট ক্লাসের জন্য তিনি ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘২০১৯ সাল থেকে আমি এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। সাংসদ বলছেন উনি বিদ্যালয়ের স্মার্ট ক্লাসের জন্য ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন আমার রীতিমতো ভয় লাগছে, কেউ যদি এর জন্য চাপ দেয় তাহলে তো সমস্যায় পড়ব। বিদ্যালয়ে স্মার্ট ক্লাস আগে থেকেই ছিল। বিদ্যালয়ের কোনও উন্নয়নের কাজ করতে গেলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা ম্যানেজিং কমিটি বিষয়টি অবশ্যই জানবে। কিন্তু কেউই তো কিছু জানে না।’ শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘আমি তো বিদ্যালয়কে এমনি এমনি টাকা দিতে যাইনি। ওদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছিল। তাই দিয়েছি। তবে এই টাকা আমি নিজের হাতে দিই না। জেলাশাসকের মাধ্যমে সেই টাকা যায়। উনি যদি টাকা না নিয়েছেন, সেটা আমাকে লিখে দেননি কেন? আসলে তৃণমূলের চাপে উনি এই ধরনের কথা বলছেন।’ এ বিষয়ে গোবরডাঙা পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা শঙ্কর দত্ত বলেন, ‘এটা বিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ নিজস্ব বিষয়। অথচ, এক্ষেত্রেও বিজেপি প্রার্থী তৃণমূলের নামে কুৎসা ছড়াচ্ছেন। প্রধান শিক্ষক স্পষ্ট বলছেন যে ওঁরা উন্নয়ন খাতে কোনও টাকা টাকা পাননি। তাই এ বিষয়ে রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই। আর সাংসদ এলাকায় কী কাজ করেছেন, সবাই জানে। এলাকায় কতদিন ঘুরেছেন, তাও মানুষ জানে। রাজ্য সরকারের কাজকে তিনি নিজের উন্নয়নের তহবিলের টাকায় কাজ বলে চালাচ্ছেন।’