ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আবাসনের ফ্ল্যাটে দেবলীনা ও তাঁর মা দীর্ঘদিন ধরে থাকতেন। দেবীর স্বামী দেবাশিস ভৌমিক আলাদা থাকতেন। মা ও মেয়ে সেভাবে কারও সঙ্গে মিশতেন না। দরজা বন্ধ করে ভিতরেই থাকতেন তাঁরা। মঙ্গলবার বিকেল থেকে ওই ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বেরতে শুরু করে। রাতে ওই গন্ধ আরও উৎকট হলে প্রতিবেশীরা বেরিয়ে আসেন। ওই ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে দেখেন, যুবতী খাটের উপর উপুড় হয়ে পড়ে রয়েছেন। ভদ্রমহিলা হাতে খাবারের থালা নিয়ে বসে। কখনও আবার তিনি মেয়েকে ডেকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন। প্রতিবেশীদের প্রশ্নে তিনি বলেন, মেয়ে মাঝেমধ্যে কথা বলছে। কিন্তু খাচ্ছে না। কীসের দুর্গন্ধ জানতে চাইলেও তিনি কিছু বলছিলেন না। এরপর স্থানীয়রা বরানগর থানায় খবর দেন। পুলিস এসে যুবতীর দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। যুবতীর মা বলেন, মেয়ের কিছু হয়নি। ও মারা যায়নি। এরপর পুলিস শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত দেবী ভৌমিককে বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে বুধবার রাতে চিকিৎসারত অবস্থায় দেবীর মৃত্যু হয়। বরানগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রৌঢ়া স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। স্থানীয় কাউন্সিলার শম্পা চন্দ বলেন, প্রচণ্ড গরমে খাওয়া দাওয়া না করায় মা ও মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শুনেছি, মায়ের মানসিক সমস্যা ছিল। ঘটনায় আমরাও হতবাক হয়ে গিয়েছি।