আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
অভিষেক তিওয়ারি নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি সেই অভিযোগে জানিয়েছেন, বেলিলিয়াস পার্কের উল্টোদিকে বেশ কিছুটা ফাঁকা জমি রয়েছে। সেখানে কোনও বৈধ পার্কিং লট নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেখানে লরি অথবা গাড়ি দাঁড় করালে দিতে হচ্ছে মোটা টাকা ‘পার্কিং ফি’। অর্থাৎ সরাসরি তোলা নেওয়া হচ্ছে ভুয়ো পার্কিং থেকে। লিখিত অভিযোগে অভিষেক বলেন, ওই অবৈধ পার্কিং থেকে মাসে কমপক্ষে দেড় লক্ষ টাকারও বেশি রোজগার করছেন দুই ব্যক্তি। তাঁদের নাম পাপ্পু মিশ্র এবং রামবিহারী মিশ্র। ১৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লরিচালকদের কাছ থেকে। কখনও পার্কিং ফি আরও বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময় ওই এলাকায় মহিলাদের কটুক্তি করা হয় বলেও অভিযোগ। শুধু পুরসভা কমিশনার বা পুলিস কমিশনার নয়, অভিযোগ জমা পড়েছে ব্যাঁটরা থানা এবং পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সার্ভের দপ্তরেও।
এদিকে, হাওড়া পুরসভার একটি সূত্র এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছে। পুরসভার কোনও বৈধ পার্কিং লট ওই এলাকায় নেই বলে তাদের দাবি। তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? স্থানীয় বাসিন্দা অভিজিৎ চৌবে (নাম পরিবর্তিত) বলেন, তৃণমূলের বড় মাপের নেতাদের মদতে চলছে এই বেআইনি পার্কিং। আদতে বেলিলিয়াস রোডের এই অংশটি শিবপুর বিধানসভার ব্যাঁটরা থানার অন্তর্গত। এভাবে গাড়ি থেকে টাকা লুট করা হচ্ছে, তা পুলিসের জানা উচিত। কার্যত জোর করে তোলা আদায় হচ্ছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে পুরসভা আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে।