আজ ব্যবসাদিক্ষেত্রে শুভ অগ্রগতি হতে পারে। কর্মস্থলে জটিলতা কমবে। অর্থাগম যোগ আছে। ... বিশদ
মুহূর্তে খুলে যাচ্ছে ট্যাব। অভিযোগকারীর নাম ও ফোন নম্বর তাতে তুলে নেওয়া হচ্ছে। কোনও সমস্যার ঝটিতি সমাধান হচ্ছে। কোনও ক্ষেত্রে মিলছে ভোটের পর সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস। প্রচারে বেরিয়ে তারকা সুলভ নমস্কার বা হাত নেড়ে দায়িত্ব শেষ করছেন না বরানগর বিধানসভা উপ-নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষের দুয়ারে গিয়ে তাঁদের সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়ে প্রকৃত অর্থেই ‘জনতার বিধায়ক’ হতে চাইছেন তিনি।
শুরুতে সায়ন্তিকা মূলত রোড শো এবং কাউন্সিলারদের ঠিক করে দেওয়া এলাকায় গিয়ে প্রচার করছিলেন। সময়ের সঙ্গে বদলে গিয়েছে তাঁর প্রচারের স্টাইল। হ্যান্ডমাইক হাতে পাড়ার অলিগলি চষে ফেলছেন তিনি। গৃহস্থের রান্নাঘরে ঢুকে জড়িয়ে ধরছেন মহিলাদের। বয়স্কদের প্রণাম করছেন, তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছেন। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প মানুষ পাচ্ছেন কি না, এলাকার কী সমস্যা রয়েছে, খোঁজ নিচ্ছেন সেসবের। তাঁর ব্যক্তিগত সেক্রেটারির সঙ্গে থাকছে ট্যাব। কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তখনই ডেকে নিচ্ছেন স্থানীয় কাউন্সিলারকে। কেন সমস্যা, সকলের সামনেই তা জানতে চাইছেন। পুরসভার দৈনন্দিন পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়, দলীয় কর্মীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকলে চটজলদি সমাধানও করে দিচ্ছেন প্রার্থী। রাস্তা, পুকুর সংস্কার, ঘর না পাওয়ার মতো অভিযোগগুলি নথিবদ্ধ করা হচ্ছে। সায়ন্তিকা বলছেন, ‘এখন তো নির্বাচন। আমি লিখে রাখলাম। ভোট শেষ হলেই আপনার সঙ্গে আমি যোগাযোগ করে সব সমস্যার সমাধান করে দেব।’ প্রত্যেক ভোটারের কাছে পৌঁছনোর তাগিদে তীব্র গরমেও কার্যত বরানগরজুড়ে চরকি পাক খাচ্ছেন এই অভিনেত্রী। তাঁর গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে রীতিমতো ঘম ঝরছে পোড়খাওয়া কাউন্সিলারদের। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, ঘর্মাক্ত অবস্থায় হাসিমুখে সেলফির আব্দার মেটানো, কচিকাঁচাদের অটোগ্রাফ দেওয়া, বাচ্চাদের হাতে লজেন্স দিয়ে জনসংযোগকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন। তাই একবাক্যে সবাই বলছেন, ‘রাজনীতিতে লম্বা রেসের ঘোড়া সায়ন্তিকা। তিনি বরানগরের মাটি কামড়ে থাকার জন্য এসেছেন।’ প্রসঙ্গত, এর আগে বাঁকুড়ায় ভোটে হেরে গিয়েও সেখান থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে চলে আসেননি তিনি। হারার পর তিন বছর ধরে এলাকায় থেকে উন্নয়নের কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সায়ন্তিকা বলেন, ‘আমার নৈতিক দায়িত্ব প্রত্যেক ভোটারের কাছে পৌঁছে যাওয়া। তাঁদের কাছে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কথা বলার পাশাপাশি সমস্যার কথা জানা। সবাইকে বলছি, একবার ভরসা ঘরে দেখুন। সায়ন্তিকা বাড়ির মেয়ের মতো পাশে থাকবে।’