পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, এখন তীব্র গরমে পুড়ছে বাংলাদেশও। ওপার বাংলার রাজসাহীতে দিন দু’য়েক আগে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘বেঙ্গীলো মেঘ নামাইয়া দে’-গানও গেয়েছেন গ্রামবাসীরা। এবার বিয়ে হল এপার বাংলার হাবড়ায়। হাবড়া পুরসভার টুনিঘাটা এলাকায় রয়েছে এক টাকার পাঠশালা। দুঃস্থ পড়ুয়াদের কথা ভেবে জাহাজ সংস্থার এক অস্থায়ী কর্মী সঞ্জীব কাঞ্জিলাল এই পাঠশালা চালান। সম্প্রতি প্রচণ্ড গরমের কারণে পড়ুয়াদের আসার সংখ্যা কমে গিয়েছে। এদিকে আকাশে মেঘের দেখা নেই। চারদিক শুকনো খটখটে। অতিষ্ট গ্রামবাসীরা বৃষ্টির প্রার্থনা জানিয়ে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করলেন। সাত সকালে বেজে উঠল সানাই। কলাগাছ পোঁতা হল। দু’টি ব্যাঙের বসার জন্য সাজাানো হল বিয়ের পিঁড়ি। তাতে সিঁদুর দান করলেন কয়েকজন। তারপর সাত পাকে বাঁধা। শঙ্খ বাজল। উলুধ্বনি উঠল। সব রীতি মেনে হল বিয়ের কাজ সম্পন্ন। তারপর প্রীতিভোজ। শতাধিক মানুষ দুপুরে বিরিয়ানি খেলেন। অনুষ্ঠান শেষে ব্যাঙ দু’টিকে ছেড়ে দেওয়া হল জলাশয়ে। বাচ্চারা এই অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে
খুব খুশি।
অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা সঞ্জীব কাঞ্জিলাল বলেন, ‘বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। আমরা জানি এর সঙ্গে বিজ্ঞানের কোনও সম্পর্ক নেই। তবুও বিশ্বাস থেকেই এই বিয়ের আয়োজন। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যাতে কুসংস্কারের প্রভাব না পড়ে তার জন্য সচেতনতামূলক একটি শিবিরও করা হয়েছে এদিন। আমাদের একটাই প্রার্থনা, বৃষ্টি হোক। তাপমাত্রা কমুক। তাহলেই মানুষ সুস্থ জীবন ফিরে পাবেন।’