পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
তাও আবহাওয়া দপ্তর গরম কমার বিষয়ে আশার কোনও খবর শোনাতে পারছে না। বৃষ্টি তো দূরের কথা। উল্টে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃহস্পতিবার শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া দপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, এদিন এপ্রিল মাসের হিসেবে দ্বিতীয় সর্বাধিক উষ্ণ দিন। ১৯৮০ সালের ২৫ এপ্রিল কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৭ ডিগ্রি। আপাতত যা পরিস্থিতি তাতে আগামী কয়েকটি দিন গোটা দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে কলকাতারও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা আরও বাড়বে। সবমিলিয়ে রেকর্ড ভাঙা তীব্র তাপপ্রবাহের দিকে গুটিগুটি পায়ে এগচ্ছে কলকাতা। সপ্তাহের শেষ দিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছোঁবে, পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। মে মাসের প্রথম দিকেও এই তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি একইরকম থাকবে। প্রসঙ্গত ২০১৪ ও ২০১৬ সালে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৪১.২ ও ৪১.৩ ডিগ্রি। এবার তা ৪২ ডিগ্রির দিকে যাচ্ছে।
এ অবস্থায় ভরসা চিকিত্সকরা। তাঁরা কী বলছেন? কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক উদাস ঘোষ পরামর্শ দিচ্ছেন, ‘চড়া রোদে বাড়ি থেকে বের হবেন না। সরকার থেকেও ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।’ কিন্তু সকলের তো বাড়িতে থাকার উপায় থাকে না। অন্তত কাজের দিনগুলি শহরতলির প্রচুর মানুষ শহরে কর্মসূত্রে আসেন। ফলে অনেককেই বেরতে হয়। এখন যাঁরাই দুপুরে রাস্তায় বেরচ্ছেন তাঁদের পরিত্রাহি দশা। ডাক্তারবাবুরাও বলছেন, ‘এটা ঠিকই আমরা এরকম গরমে অভ্যস্থ নই। তবে একান্তই বেরতে হলে ছাতা নিতেই হবে। শরীর যতটা সম্ভব ঢাকাঢুকি দিয়ে রাখতে হবে। ফুল হাতা জামা পরা উচিত। বাইক-সাইকেল চালালে মুখ অবশ্যই ঢাকতে হবে। দেখা উচিত, কোনও ভাবেই যেন বাইরের রোদ শরীরে সরাসরি না লাগে।’ তাঁদের বক্তব্য, ‘মানুষের দেহের তাপমাত্রা সাধারণত ৩৭ ডিগ্রির মধ্যে তাকে। তার বেশি হলে জ্বর বলা হয়। এই তীব্র গরমে দেহের তাপমাত্রা অনেকটা বেড়ে যায়। তার জন্যই ত্বকে সমস্যা হয়।’ ‘প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। বাড়ি থেকে জল খেয়ে বাইরে বেরতে হবে। ওআরএস বা নুন-চিনির জলও খেতে হবে’-বললেন উদাসবাবু। এক ব্যক্তি বলেন, এখন আত্মীয়-স্বজনরা ফোন করে খবর নিচ্ছেন, গরমে কেমন আছ? আগে যেমন, ঝড়-বৃষ্টি হলে লোকজন খবর নিতেন, এখন গরম পড়লেও তা নিচ্ছেন। কী যে দিনকাল পড়ল! যে গরম পড়ে গিয়েছে এখন সেখান থেকে বাঁচার উপায় ভাবা ছাড়া আর উপায় নেই।
আবহাওয়া দপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী, আপাতত যা পরিস্থিতি তাতে দেখা যাচ্ছে, তাপপ্রবাহ এখনই বঙ্গকে বিদায় জানাচ্ছে না। এই নতুন প্রকারের চোখ জ্বালা, ঠোঁট শুকনো গরম নিয়েই এগতে হবে বঙ্গবাসীকে। বাঁচার উপায় একমাত্র জল। স্বাস্থ্যকর খাবার। সাবধানতা।